লন্ডন ভিত্তিক এস টিভির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান Islam Essentials এর ৪৮তম পর্ব, যাতে ঈসা আ. এর অলৌকিক জন্ম সম্পর্কে প্রকৃত সত্য এবং ক্রিসমাস পালনের ব্যাপারে আমাদের করণীয় তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও জীবনঘনিষ্ঠ নানা বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর স্থান পেয়েছে এতে।
এ নিবন্ধে নববর্ষসহ বিজাতীয় নানা অনুষ্ঠানগুলো উৎযাপন করা, তাতে অংশ গ্রহণ করা কিংবা তার প্রতি সমর্থন জানানোর নিষেধাজ্ঞা কুরআন, সুন্নাহ ও আদর্শ পূর্বসূরিদের দৃষ্টিতে প্রমাণ করা হয়েছে।
ইতিহাসে কারা ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী আবিস্কার ও প্রবর্তন করল, আর কিভাবে সেটা শিয়াদের থেকে সুন্নিদের মধ্যে প্রসার লাভ করলো এবং কারা সে কাজটির পিছনে কাজ করেছিল, সে ইতিহাস ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট এতে তুলে ধরা হয়েছে।
মুসলিম জাতিকে উপহাস করার জন্য খৃষ্টানরা প্রতি বছর ১লা এপ্রিলকে অত্যন্ত জাকজমকের সাথে ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ‘এপ্রিল ফুল’ ইতিহাসের একটি জঘণ্যতম, ঘৃণ্য এবং হৃদয়বিদারক লোমহর্ষক ইতিহাস। এ দিনে লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভাই-বোনেরা নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছিল; কিন্তু আজ মুসলিম সন্তানরা খৃস্টানদের অনুসরণে সে দিনটিকে হাসি-খুশির দিন হিসেবে পালন করে থাকে। তাই সম্মানিত আলোচক মুসলিম জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানা ও মিথ্যা ইতিহাস পরিহার করার জন্য কুরআন ও হাদীসের আলোকে ‘এপ্রিল ফুল ও মিথ্যা ইতিহাস’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
মুসলিম জাতিকে উপহাস করার জন্য খৃষ্টানরা প্রতি বছর ১লা এপ্রিলকে অত্যন্ত জাকজমকের সাথে ‘এপ্রিল ফুল’ পালন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ‘এপ্রিল ফুল’ ইতিহাসের একটি জঘণ্যতম, ঘৃণ্য এবং হৃদয়বিদারক লোমহর্ষক ইতিহাস। এ দিনে লক্ষ লক্ষ মুসলিম ভাই-বোনেরা নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছিল; কিন্তু আজ মুসলিম সন্তানরা খৃস্টানদের অনুসরণে সে দিনটিকে হাসি-খুশির দিন হিসেবে পালন করে থাকে। তাই সম্মানিত আলোচক মুসলিম জাতিকে সঠিক ইতিহাস জানা ও মিথ্যা ইতিহাস পরিহার করার জন্য কুরআন ও হাদীসের আলোকে ‘এপ্রিল ফুল ও মিথ্যা ইতিহাস’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
এটি মূলত জুমাবার মসজিদে প্রদত্ত জুমাপূর্ব আলোচনা। এতে কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিতে নির্মোহভাবে ভ্যালেনটাইনস ডে উদযাপন সম্পর্কে শরীয়তের অবস্থান বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে।
ডিসেম্বরের একত্রিশতম রাত্রি উদযাপন একটি জঘন্য বিদ‘আত। বিভিন্ন মুসলিম ও অমুসলিম বিশ্বে এর অশুভ উদযাপন ও যুবক-যুবতিদের অবৈধ আচরণে মগ্ন হওয়া লক্ষ্যণীয়। এ প্রবন্ধে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তা থেকে সাবধান করা হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ: ইতিহাস ও বিধি-বিধান: প্রবন্ধটিতে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, প্রথমে এটি হিজরী সনের সৌর হিসেব অনুসারে নির্ধারতি হয়েছিল, পরবর্তীতে এটি হিন্দুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অমুসলিম সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।
এ নিবন্ধে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ভালোবাসা ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের হুকুম বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এ দিবসের জন্ম ইতিহাস তুলে ধরে একে এড়িয়ে যাবার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে।
‘ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপন : মুসলিমদের করণীয়’ প্রবন্ধটিতে বাংলা নববর্ষ উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’ উদযাপনের মতো যে অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে এবং তাতে যেসব কুসংস্কার ও দ্বীন-বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে থাকে তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক মুসলিমের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।
উৎসব পালন, মানুষের একটি স্বভাবজাত আচরণ, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে একটি সামগ্রিক ফিনমিনন। তবে ইসলাম-প্রবর্তিত উৎসব মেজাজে, ধরন-ধারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন; কেননা তা হল আন্তর-বিশ্বাস ও জীবনসংলগ্ন। বিজাতীয় দিবস-উৎসবে অংশগ্রহণ মুসলমানের জন্য সাজে না, বৈধ নয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে লেখক এ বিষয়গুলোকেই উন্মোচিত করেছেন যৌক্তিক ভাষায়।
এপ্রিল ফুল বা এপ্রিলের মিথ্যাচার: মিথ্যা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুনাহের কাজ; নিকৃষ্টতম পাপকাজসমূহের মধ্যে তা উল্লেখযোগ্য। তা নেফাকীরও একটি আলামত বা নিদর্শন। মিথ্যুকের কর্মকাণ্ড ঈমানের পরিপন্থী। আর বর্তমানে মানুষের মধ্যে; এপ্রিল ফুল বা এপ্রিলের মিথ্যাচার নামে একটি রীতি প্রচলিত রয়েছে। তা হচ্ছে; তারা শরীয়তের প্রতি কোনো প্রকার গুরুত্ব না দিয়েই মনে করে থাকে যে; এপ্রিল মাসের প্রথম দিনে মিথ্যা ও বোকা বানানো বৈধ; এ গর্হিত কাজের কারণে অনেক অনাচার ও খারাপ পরিণতি সম্মুখীন হতে হয়। এ প্রবন্ধ বিষয়টিকে উত্তমভাবে তুলে ধরে মিথ্যা; তার প্রকারভেদ; পরিণতি ও বিধি-বিধান সম্পর্কে আলোকপাত করেছে।
ভেলেন্টাইন ডে বা ভালবাসা দিবস : কাফেরদের সাথে সাদৃশ্য রাখার বিষয়টি এখন ব্যাপকভাবে মুসলিম সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে অনুপ্রবেশ করেছে। কাফেরদের উৎসবের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের সাথে সাদৃশ্য স্থাপন করছে যুবসমাজের অনেকেই। ভালবাসা দিবস এরকমই একটি অপসংস্কৃতি। প্রবন্ধে লেখক ভালবাসা দিবসের ইতিহাস, ভালবাসা দিবস উদযাপনের শরয়ী বিধান উল্লেখ করেছেন। আশা করি পাঠক মাত্রই এর দ্বারা উপকৃত হবেন।