শূকরের গোশত অপবিত্র হওয়ার মাসআলা

বর্ণনা

শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ - হাফিযাহুল্লাহ-শূকরের অপবিত্রতা বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেন, প্রশ্নটি হল “ আমি পড়েছি যে, যেসব থালা-বাসন, চামচ, চাকু শূকরের গোশতের স্পর্শে এসেছে সেগুলো সাতবার পানি দিয়ে এবং একবার বালু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, কথাটা কি শুদ্ধ? এ ব্যাপারে কি কোনো হাদীস এসেছে? একবার সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলেই কি হয়ে যাওয়ার কথা নয়?

এ পেইজ এর দায়িত্বশীলের কাছে টীকা লিখুন

সম্পূর্ণ বিবরণ

প্রশ্ন

' আমি পড়েছি যে, যেসব থালা-বাসন, চামচ, চাকু শূকরের গোশতের স্পর্শে এসেছে সেগুলো সাতবার পানি দিয়ে এবং একবার বালু দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, কথাটা কি শুদ্ধ? এ ব্যাপারে কি কোনো হাদীস এসেছে? একবার সাবান দিয়ে ধুয়ে নিলেই কি হয়ে যাওয়ার কথা নয়?'
উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ
শূকরের গোশত হারাম, অবৈধ। হোক তা গোশত অথবা চর্বি, অথবা যে কোনো অংশ। আল কুরআনে এ মর্মে স্পষ্ট বাক্য উচ্চারিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে:

﴿ حرّمت عليكم الميتة والدم ولحم الخنزير ﴾ المائدة /3.

(তোমাদের উপর হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত ও শূকরের গোশত।) [ সূরা আলমায়িদা:৩]
আর মুসলমানগণ শূকরের সকল অংশ হারাম হওয়ার ব্যাপারে ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন, যাকে শরীয়তের পরিভাষায় ইজমা বলা হয়। শূকরে যে ক্ষতি-অপকারিতা-অপবিত্রতা রয়েছে তার কারণেই আল্লাহ তাআলা শূকরের গোশত হারাম করে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে :

﴿ قُلْ لا أَجِدُ فِي مَا أُوحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلا أَنْ يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنْزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ ﴾ الأنعام/145

(বল, আমার নিকট যে ওহী পাঠানো হয়েছে তাতে, আমি আহারকারীর উপর কোনো হারাম পাই না, যা সে আহার করে। তবে যদি মৃত কিংবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শূকরের গোশত হয়; কারণ, নিশ্চয় তা অপবিত্র।) সূরা আল আনআম:১৪৫]

আর শূকরের গোশত রোগজীবানু সর্বস্ব । বিজ্ঞান যতোই আগাচ্ছে শূকরের গোশত ভক্ষণের নতুন নতুন কুফল আবিষ্কৃত হচ্ছে।

তাই মুসলমানের উচিত যেখানে এই নিকৃষ্ট গোশত ভক্ষণ করা হয় সেখানে গমন না করা; যাতে নিজের অজান্তেই তা খেয়ে ফেলা থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

থালা-বাসন ধোয়ার ব্যাপারে বলব যে, এই নিকৃষ্ট গোশতের নাপাকী যেভাবে চলে যায় সেভাবে ভাল করে ধুয়ে নিলেই চলবে। এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ মত হল যে, শূকরের গোশত অন্যান্য নাপাকীর মতোই। তা সাতবার ধৌত করা এবং পরিশেষে একবার মাটি দিয়ে পবিত্র করার কোনো কথা নেই।

দেখুন: ইবনে উসাইমীন, আশশারহুল মুমতে ১/৩৫৬