শাওয়ালের ছয় রোজায় কি ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি?

বর্ণনা

ফতোয়াটি শায়খ মুহাম্মাদ সালেহ আলমুনাজ্জিদ কর্তৃক প্রদত্ত একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: রমজানপরবর্তী শাওয়ালের ছয় একসাথে ধারাবাহিকভাবে আদায় করে নেয়া কি জরুরি, ভিন্ন-ভিন্নভাবে আদায় করলে কি হবে না? আমি এ রোজাগুলো তিন দফায় রাখতে চাই। অর্থাৎ সপ্তাহান্তের ছুটির দুই দিনে রোজাগুলো আদায় করতে চাই।

Download
এ পেইজ এর দায়িত্বশীলের কাছে টীকা লিখুন

সম্পূর্ণ বিবরণ

    শাওয়ালের ছয় সিয়ামের ক্ষেত্রে কি ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি?

    هل يشترط التتابع في صيام الست من شوال؟

    < بنغالي- Bengal - বাঙালি>

    শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ

    محمد صالح المنجد

    —™

    অনুবাদক: মু. সাইফুল ইসলাম

    সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    ترجمة: محمد سيف الإسلام

    مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا

    শাওয়ালের ছয় সিয়ামের ক্ষেত্রে কি ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি?

    প্রশ্ন: রমযান পরবর্তী শাওয়ালের ছয় একসাথে ধারাবাহিকভাবে আদায় করে নেওয়া কি জরুরি, ভিন্ন-ভিন্নভাবে আদায় করলে কি হবে না? আমি এ সাওমগুলো তিন দফায় রাখতে চাই। অর্থাৎ সপ্তাহান্তের ছুটির দুই দিনে সাওমগুলো আদায় করতে চাই।

    উত্তর: আলহামদুলিল্লাহ

    শাওয়ালের সাওম ধারাবাহিকভাবে একসাথে রাখা জরুরি নয়। একসাথে বা ভিন্ন-ভিন্ন উভয়ভাবেই শাওয়ালের রোযা আদায় করা যায়। শাওয়ালের সাওম যত দ্রুত রাখা যায় ততোই কল্যাণ। ইরশাদ হয়েছে: (তোমরা কল্যাণকর্মে প্রতিযোগিতা করো), (তোমরা দ্রুত অগ্রসর হও তোমাদের রবের পক্ষ থেকে মাগফিরাতের প্রতি) মূসা আলাইহিস সালাম বলেছেন: (হে আমার রব, আমি তাড়াতাড়ি করে আপনার নিকট এসেছি, যাতে আপনি আমার উপর সন্তুষ্ট হন।) আর দেরি করাটা খোদ একটি সমস্যা ও আপদ। শাফেঈ এবং হাম্বলী মাযহাবের অনুসারীগণ এ অভিমতই ব্যক্ত করেছেন। তবে দ্রুত আদায় না করলেও কোনো সমস্যা নেই। সে হিসেবে যদি মাসের মাঝখানে অথবা শেষে আদায় করে নেওয়া যায় তবুও কোনো অসুবিধা হবে না।

    ইমাম নববী রহ. বলেছেন: আমাদের মাযহাবের আলেমদের বক্তব্য হলো: শাওয়ালের ছয় সাওম আদায় করা মুস্তাহাব। এ বিষয়ে বর্ণিত হাদীস তাদের প্রমাণ। তারা আরো বলেছেন: শাওয়ালের সাওম ধারাবাহিকভাবে একসাথে মাসের শুরুতেই আদায় করা মুস্তাহাব। যদি ভিন্ন-ভিন্নভাবে রাখা হয় অথবা শাওয়াল চলে যাওয়ার পরে রাখা হয় তবুও তা জায়েয হবে। হাদীসের বক্তব্যে যেহেতু ব্যাপকতা রয়েছে, কাজেই এরূপ ব্যক্তি মূল সুন্নত আদায় করেছে বলে ধরে নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে কোনো ইখতিলাফ নেই। ইমাম আহমদ ও দাউদের বক্তব্য এটাই। (আল মাজমু' শারহুল মুহাযযাব)