শিয়া ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মধ্যে পার্থক্য
মুফতি : মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
অনুবাদ: জাকের উল্লাহ আবুল খায়ের
সম্পাদনা: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রকাশক: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
বর্ণনা
এ ফতওয়াটিতে শিয়াদের মধ্যে ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মধ্যে পার্থক্য কি তা আলোচনা করা হয়েছে।
- 1
শিয়া ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মধ্যে পার্থক্য
PDF 473.3 KB 2019-05-02
- 2
শিয়া ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মধ্যে পার্থক্য
DOCX 4 MB 2019-05-02
সম্পূর্ণ বিবরণ
শিয়া ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের মধ্যে পার্থক্য
الفرق بين أهل السنة والجماعة والشيعة
< بنغالي >
শাইখ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ
الشيخ صالح المنجد
অনুবাদক: জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
ترجمة: ذاكر الله أبو الخير
مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا
শিয়া ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের মধ্যে পার্থক্য
প্রশ্ন: শিয়া ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের মধ্যে পার্থক্য কী, বিষয়টি জানা আমার খুব প্রয়োজন। তাই বিষয়টি স্পষ্ট করলে খুব খুশি হবো
উত্তর:
আলহামদু লিল্লাহ
শিয়ারা বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত:
তাদের একদল এমন আছে যারা আলী, হাসান, হুসাইন ও ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের উপাস্য বলে জানে এবং তাদের ইবাদত করে। তারা ইয়া আলী, ইয়া হাসান, ইয়া হুসাইন ইত্যাদি বলে তাদেরকে ডাকে। এ ধরনের শিয়ারা অবশ্যই কাফির।
অপর একদল বলে, জিবরীল (মুহাম্মদের নিকট অহী নিয়ে এসে) খিয়ানত করেছে, নবুওয়াতের হকদার আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নয়।
অপর দল ইমামীয়া, তাদের অপর নাম রাফেযী, আবার তাদেরকে ইসনা 'আশারিয়্যাও বলা হয়। তারা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুএর ইবাদতকারী। তারা তাদের ইমামগণকে ফিরিশতা ও নবীদের থেকেও উত্তম বলে দাবী করে।
এভাবে শিয়াদের বিভক্তি অসংখ্য। কতক কাফির আবার কতক কাফির নয়। একদল আছে যারা বলে, আবু বকর, উমার ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু উত্তম। এরা অনেকটা নমনীয় ও সহনশীল দল। তারা কাফির নয়, তবে তারা অবশ্যই ভ্রান্ত ও গোমরাহ। কারণ, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু চতুর্থ আর আবু বকর, উমার ও উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুম এরা তিনজন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর আগে তিন খলিফা। এ তিন খলিফা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অবশ্যই উত্তম। যখন কেউ তাকে তাদের তিনজনের উপর প্রাধান্য দেয়, সে অবশ্যই ভুল করল এবং সাহাবীদের ঐকমত্যর বিরুদ্ধাচরণ করল তবে সে কাফির হবে না। এ ছাড়াও শিয়াদের বিভিন্ন শ্রেণী, দল ও উপদল রয়েছে। যদি কেউ আরও বিস্তারিত জানতে চায় সে যেন ইমামদের লিখিত কিতাবগুলি অধ্যয়ন করে। যেমন, মুহিব্বুদ্দিন আল-খতীব রহ.-এর 'আল-খুতুতুল আরিদ্বা, শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ.-এর 'মিনহাজুস সুন্নাহ', এহসান এলাহী যহীর এর 'শিয়া ও সুন্নাহ' ইত্যাদি কিতাবসমূহ পড়ে। , যাতে শিয়াদের দল উপদল, তাদের ভুল-ভ্রান্তি ও তাদের ভয়াবহতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা তাদের অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই।
শিয়াদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি হলো, ইমামীয়া-ইসনা আশারিয়া ও নুসাইরিয়া ফের্কাদ্বয় এদেরকে রাফেযা বলা হয়। কারণ, তারা যায়েদ ইবনে আলীকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, যখন তিনি শাইখাইন -আবু বকর ও উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে প্রত্যাখ্যান করতে অস্বীকার করেন, তখন তারা তার বিরোধিতা করে এবং তাকে প্রত্যাখ্যান করে। সুতরাং , যে কেউ ইসলামের দাবি করলেই মুসলিম হবে না। ইসলামের দাবি করলে তার দাবিকে কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে যাচাই করতে হবে। যে এক আল্লাহর ইবাদত করে, রাসূলকে বিশ্বাস করে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তার অনুসরণ করে, সেই কেবল মুসলিম। আর যে নিজেকে মুসলিম দাবি করে; কিন্তু সে ফাতেমা, বাদাবী ও 'ঈদুরুস প্রমুখদের ইবাদাত করে সে মুসলিম নয়। অনুরূপভাবে যারা দীনকে গালি দেয়, দীন সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করে, সালাত ছেড়ে দেয়, তাকে মুসলিম বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে সে মুসলিম নয় অথবা কেউ যদি দীনে ইসলাম নিয়ে উপহাস- বিদ্রূপ করে, সালাত, যাকাত, সাওম অথবা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে বিদ্রূপ বা তাকে অস্বীকার করে অথবা বলে, মুহাম্মদ মূর্খ বা সে তার রিসালাতকে পূর্ণ করে নি, মানুষের নিকট পৌঁছায় নি, এরা সবাই কাফির। আল্লাহ আমাদের হিফাযত করুন (শাইখ ইবন বায রহ.-এর মাজমু'ফতওয়া: ২৫৭/২৮)
বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরি: