ইচ্ছাকৃত সাওম ভেঙ্গে ফেলার বিধান ()

ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি

মাহে রমযানে সাওম ভঙ্গের হুকুম কী? ইলমী গবেষণা ও ফাতওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, যা হলো নিম্নরূপ: যে ব্যক্তি সাওম ভঙ্গের কোনো একটি বিষয়ের সাথে জড়িত হলো তার ভাঙ্গা সাওমের কাফফারা কীভাবে প্রদান করা সম্ভব হবে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।

    |

    ইচ্ছাকৃত সাওম ভেঙ্গে ফেলার বিধান

    حكم الإفطار في نهار رمضان متعمداَ

    < বাংলা - بنغالي - Bengali >

    ইলমী গবেষণা এবং ফাওতয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি

    اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء

    —™

    অনুবাদক: জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের

    সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

    ترجمة: ذاكر الله أبو الخير

    مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا

    ইচ্ছাকৃত সাওম ভেঙ্গে ফেলার বিধান

    প্রশ্ন: যে ব্যক্তি রমযান মাসে শর‘ঈ কোনো ওযর ব্যতীত ইচ্ছাকৃত সাওম ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার কাফফারা কী?

    উত্তর: যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত সহবাসের মাধ্যমে সাওম ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার ওপর তাওবাসহ কাযা ও কাফফারা আবশ্যক। আর কাফফারা হচ্ছে:

    ১. কোনো মুমিন গোলাম আজাদ করা।

    ২. যদি তা করতে না পারে তাহলে দুই মাস লাগাতার সাওম রাখা।

    ৩. আর যদি তা করতে না পারে তাহলে ষাটজন গরীব-মিসকীনকে খাদ্য দেওয়া।

    স্ত্রীর ওপরও অনুরূপ আবশ্যক যদি তাকে বাধ্য করে জোরপূর্বক সহবাস করা না হয়।

    আর যদি পানাহারের মাধ্যমে সাওম ভেঙ্গে ফেলে, তাহলে তার ওপর কাযা ও তাওবা আবশ্যক, কাফফারা আবশ্যক নয়।

    সমাপ্ত