শায়খ আব্দুর রহমান হাসান হাবানকা হিজরী ১৩৪৫ মোতাবেক ১৯২৭ সনে, দামেস্কে আল ময়দান এলাকায় জন্ম গ্রহণ করেন। তাওজীহ আল ইসলামী ইনিষ্টিটিউট থেকে তিনি শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি আল আযহার বিশ্ব বিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে তিনি সিরিয়ার ওয়াকফ মন্ত্রণালেয়ে ইসলামী শিক্ষা বিভাগের পরিচালক হিসাবে দায়ীত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সনে তিনি সৌদী আরবে চলে যান। সেখানে রিয়াদে ইমাম মুহাম্মাদ বিন সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসাবে কাজ করেন। এরপরে তিনি মক্কার উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। প্রায় ত্রিশ বছর তিনি এ পদে দায়ীত্ব পালন করেন। তিনি ১৪২৫ সনের ২৮ শে জমাদিউল আখের মোতাবেক ১৪ আগষ্ট ২০০৪ তারিখে মৃত্যু বরণ করেন।
মুহাম্মাদ আব্দুস সাত্তার আত তুনসাবী: ১৯৪৬ সালে দেওবন্দ থেকে ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি পাকিস্তানের জমিয়তে আহলুস সুন্নাহ্-র প্রধান। তিনি শিয়া মতবাদ বিষয়ক গবেষক। তাদের আকিদা-বিশ্বাস খন্ডনে তার বেশ কিছু গ্রন্থ রয়েছে।
তিনি হলেন, আব্দুল মালেক আল জুআইনী বিন আব্দুল্লাহ বিন ইউসূফ বিন মুহাম্মাদ আল জুআইনী আন নিশাপুরী। যার উপনাম হল, আবুল মাআলী। তার উপাধি হল, ইমামুল হারামাইন। তার জন্ম ৪১৯ হিজরীর মুহাররম মাসে। বিভিন্ন বিষয়ে তার রয়েছে অনেকগুলো সংকলন। যেমন আল বুরহান ফী উসূলির ফিকহি। আত তালখীছ ফী উসূলিল ফিকহি। ওয়াল ওয়ারাকাত ফী উসূলিল ফিকহী।
মুহাম্মাদ হিসামুদ্দীন আল খতীব: ১৯৪৫ ইং সনে দামেস্কে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি আরবী ভাষা ও সাহিত্যে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তিনি বিভিন্ন আরব দেশে আরবী ভাষার উপর শিক্ষকতা অর্জন করেছেন। তিনি সিরিয়া ও মরক্কোতে খতীবের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বেশ কিছু সংকলন আছে : ১- আহলুল জান্নাত (জান্নাতের অধিবাসী) ২- আহলুন নার (জাহান্নামের অধিবাসী) ৩- মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি দয়ালু ছিলেন? ৪- অভ্যন্তরীণ ইতিহাস ইত্যাদি।
মুহাম্মাদ ওমর ফারুক আব্দুল্লাহ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল, মদীনা মুনাওয়ারা এর গ্র্যাজুয়েট। তিনি “সংক্ষিপ্ত ইসলামী ফিকহকোষ” গ্রন্থটি বাংলা অনুবাদে অংশগ্রহণকারীদের অন্যতম।
আলী ইবন নায়েফ আশ-শুহূদ: কুরআন ও সুন্নাহর একজন গবেষক। সিরিয়ায় জন্ম, ১৬/৭/১৯৫৬ ইং। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর বিশেষত্ব গ্রন্থ রয়েছে; যেমন হাদীস ও তার বিধান, ফিকহ ও এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি, তাফসীর ও এতদসংক্রান্ত বিধি-বিধান, ইত্যাদি।