জান্নাত ও জাহান্নাম বিষয়ে জুমার প্রথম ও দ্বিতীয় খুতবার অনুবাদ, যা শায়েখ আলী আব্দুর রহমান আল-হুজাইফী গত ০২/০৩/১৪৩০ হি. তারিখে মসজিদে নববীতে প্রদান করেন।
ঈদে মীলাদুন্নবী (শরীয়তের দৃষ্টিতে কতটুকু শুদ্ধ) : ঈদে মীলাদুন্নবী উপলক্ষে সমাজের মানুষ যে সকল বিদআতের আবিস্কার করেছে তা নিয়ে বক্ষ্যমান প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহর মহানুভবতা : আল্লাহর এক মহানুভবতা যে মানুষ অন্তরে যে সকল অপরাধ করার কথা কল্পনা করে তা ক্ষমা করে দেন, যদি না সে করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করে। পক্ষান্তরে ভাল কাজ করার নিয়ত করার সাথে সাথে সওয়াব তিনি লিখে দেন। আর তিনি প্রত্যেক ভাল কাজের সওয়াব দশগুণ থেকে বাড়িয়ে বহুগুণ পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। প্রবন্ধে এ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরিত্র ও গুণাবলি : মুসলমান হোক কিংবা অমুসলমান – পৃথিবীর তাবৎ সৃষ্টির জন্যে অনুসরনীয় একক আদর্শ হচ্ছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। চরিত্র মাধুর্যের সেই অনুপম আদর্শ আমাদরে জন্যে চারিত্রিক যে নির্দেশনা রেখে গেছেন তার সফল রূপায়ন ইহকালীন ও পরকালীন সফলতার জন্যে একান্ত প্রয়োজনীয়। প্রবন্ধটি এ বিষয়ে পাঠককে সঠিক নির্দেশনা প্রদানের একটি সরল প্রয়াস।
নসীহত বা সদুপদেশ ও অন্যের জন্য কল্যাণ কামনার অর্থ-ক্ষেত্র-দিগন্ত বিষয়ক আলোচনা স্থান পেয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস, ‘দীন হলো নসীহত,’ আমরা বললাম, ‘কার জন্য? তিনি বললেন : আল্লাহ, তাঁর রাসূল, মুসলমানদের নেতৃবর্গ ও সাধারণ মানুষের জন্য।(মুসলিম)। এ হাদীসটির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও স্থান পেয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে।
একটি সুখপাঠ্য প্রবন্ধ। এতে স্থান পেয়েছে কল্যাণ ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে পরস্পরে সহযোগিতা করার গুরুত্ব ও আবশ্যকতা, কল্যাণ ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে পরস্পরে সহযোগিতা করার বিভিন্ন দিক এবং যেসব ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়ানো নিষিদ্ধ তার আলোচনা।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে নেক আমলের প্রতি যত্ন, সর্বাবস্থায় নেক আমল ধরে রাখার গুরুত্ব ও আবশ্যকতা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রবন্ধে সন্নিবেশিত প্রতিটি আয়াত ও হাদীসে-থাকা আহকাম ও মাসায়েলগুলোও সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
সৎ কাজ সম্পাদনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এক্ষেত্রে অন্যদেরকে অতিক্রম করে সর্বাগ্রে চলার নীতি অবলম্বন করা উচিত। সৎ কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে অলসতা, দায়িত্বহীনতা, বিলম্বকরণ ইত্যাদি কোনো মুমিনের চরিত্রের অংশ হতে পারে না। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়গুলোর প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।
মুরাকাবা অর্থাৎ আল্লাহ আপনার চলন-বলন-উঠা-বসা সব কিছু দেখছেন। আপনি আল্লাহর দৃষ্টিকে কখনো এড়াতে পারেন না, এ অনুভূতি হৃদয়ে জাগ্রত করা। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে মুরাকাবার গুরুত্ব, মুরাকাবার গুনে গুণান্বিত হওয়ার পথ ও পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
মানবজীবনে সময়ের গুরুত্ব খুব চমৎকারভাবে বিশ্লিষ্ট হয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে। সময়ই জীবন, অতঃপর যে ব্যক্তি তা অবহেলায় কাটালো সে জীবনকেই ধ্বংস করল, আর যে ব্যক্তি তা ইহ-পরকালীন কল্যাণে ব্যয় করল সে সফলকাম হল।
একজন নারী কীভাবে মাহে রমজানের দিবস-রজনী যাপন করবে, নিজ ও পরিবার-পরিজন বিষয়ে, এ পবিত্র মাসে, নারীকে কী ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হবে তার অনুপূঙ্খ বর্ণনা রয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে।
রমজানের ফজিলত, রমজানের সুযোগগুলোর সঠিক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা, মাহে রমজানের কিছু বরকত ইত্যাতি বিষয়কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে এ প্রবন্ধের আলোচনা। সবাই উপকৃত হবেন বলে আশা।
প্রবন্ধটি মুসলমান মা-বোনদের জন্য নিবেদিত। সংক্ষিপ্ত হলেও এতে স্থান পেয়েছে রমজান ও সিয়াম বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। আশা করি মুসলমান মা-বোন মাত্রই প্রবন্ধটি পড়ে উপকৃত হবেন।