একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ যাতে আলোচিত হয়েছে ইসলামে মানবাধিকারের আদর্শিক ভিত্তি,বিভিন্ন জাতির মানবাধিকার বিষয়ক ধারণার ক্রমোন্নতি,মানাবধিকারের ক্ষেত্রে মানুষের দেয়া থিউরিসমূহের ত্রুটি ও এ ক্ষেত্র ইসলামি ভাবধারার পূর্ণাঙ্গতা,ভারসাম্য ও জীবন ও জগতের স্বচ্ছ প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণতা।
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সবাই আদম সন্তান আর আদমকে বানানো হয়েছে মাটি দ্বারা। সুতরাং মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই। হ্যাঁ যে মানুষ মানবতাবোধের অধিক মর্যাদা দিয়ে মানব তথা সৃষ্টির সেবার মাধ্যমে মহান স্রষ্টার নির্দেশ অধিক পালন করবে, সে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী হবে।
ইসলামি আকিদার রয়েছে এক বনার্ঢ ইতিহাস, যা অন্য কোনো ইজম বা বিশ্বাসের নেই। এ আকিদা ক্ষণিকের মধ্যেই ঘুরিয়ে দিয়েছে মানুষের গতিপথ, পালটে দিয়েছে তাদের জীবন যাত্রার পদ্ধতি। মুহূর্তে উন্নীত করেছে পৌত্তলিকতা থেকে একত্ববাদে, কুফর থেকে ইসলামে, মুক্ত করেছে মানুষের আনুগত্য আর দাসত্ব থেকে। এ নিবন্ধে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
এ নিবন্ধে ইসলামি আকিদার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন ইসলামি আকিদার ব্যাপকতা, স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও ভারসাম্যপূর্ণতা। এ সব বিষয় উদারহণসহ এ নিবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীবৃন্দ : নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবীবৃন্দ এ উম্মতের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ব্যক্তিত্ব। তাদের মর্যাদা অনেক। তবে তাদের পরস্পরের মাঝে মর্যাদার ভিন্নতা রয়েছে। আমরা তাদেরকে ভালবাসি, তাদের কারো ভালবাসায় বাড়াবাড়ি করিনা। যে তাদেরকে ভালবাসেনা আমরা তাকে অপছন্দ করি, তাদের ভালবাসা ধর্ম এবং তাদের অপছন্দ করা কুফরী, মুনাফেকী। প্রবন্ধে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে।
ইসলাম আত্মা ও শরীরের মাঝে ভারসাম্য কায়েম করে। সকল ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা ও ইনসাফ ধরে রাখে। ইসলাম জড়জগতের বাইরে কিছু অদৃশ্য বিষয়ের প্রতি ঈমান আনতে বলে এবং দুনিয়ার জীবনকে আখেরাতের শস্যক্ষেত্র বলে আখ্যায়িত করে। জড়বাদ হচ্ছে সম্পূর্ণ এর উল্টো একটি বিষয় যা জড়পদার্থ এবং যা কিছু জড়বাদী অভিজ্ঞতা-পরীক্ষা নিরীক্ষার আওতায় আসে তা ভিন্ন অন্য কিছুর প্রতি বিশ্বাস করে না। তাই জড়বাদী দর্শনকেন্দ্রিক গড়ে ওঠে যে-জীবন তা হল উদ্দেশ্যবিহীন জীবন। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টিকেই পরিষ্কার করা হয়েছে।
বর্তমানযুগে মুসলিমবিশ্বে এমন অনেক যুবা ও তরুণ রয়েছে যারা আধুনিক বস্তুবাদী সভ্যতার সন্তানদের অনুকরণ-অনুসরণ, বিশেষ করে তাদের স্থূল চাকচিক্যময় জীবন,খেল-তামাশা ইত্যাদির অনুসরণ করে নিজেদেরকে মর্যাবান করছে বলে ভাবছে। অথচ তারা নিজেদের প্রকৃত মর্যাদা ও সম্মান ইসলাম ব্যতীত কোথাও খুঁজে পাবে না। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টির প্রতিই আলোকপাত হয়েছে।
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন শেষ নবী ও রাসূল। তিনি প্রেরিত হয়েছেন জগৎবাসীর জন্য আদর্শ ও রহমত হিসেবে। তাঁর আবির্ভাবের সময় থেকে কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বাস ও আচরণের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র তাঁকেই অনুসরণ করে চলতে হবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি এসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই সাজানো।
বর্তমান প্রবন্ধে ইখলাসের দুই সূরা অর্থাৎ সূরা কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ ও সূরা কুল য়্যা আইয়ুহাল কাফিরুন, এই সূরা দ্বয়ে যেসব দীক্ষণীয় দিক রয়েছে তা বিষদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এ সূরা দ্বয়ের কুরানিক শিক্ষাসমূহ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হলে একজন মুমিনের জীবনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন আসতে বাধ্য।