আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস : আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস : আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস বান্দার কাছে প্রাপ্য আল্লাহর প্রধানতম অধিকার। এ অধিকারের যথাযথ প্রতিফলন ব্যতীত বান্দার কোন আমলই গ্রহনযোগ্যতা পাবে না। এই প্রবন্ধে সংক্ষিপ্ত আকারে বিষয়টি আলোচনা করা হল ।
সংক্ষিপ্ত অথচ তথ্যসমৃদ্ধ এ প্রবন্ধটি ইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতায় নারীর অবস্থান বিষয়ে একটি সফল রচনা বলা যায়। বস্তুনিষ্ঠভাবে রচনাটি অধ্যায়ন করলে ইসলামী আদর্শই যে নারীর জন্য কল্যাণকর তা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে দৃষ্টিগ্রহ্য হবে বলে বিশ্বাস।
জাহেলী যুগে নারীকে নিকৃষ্ট বস্তু মনে করা হত, সে যুগে কেউ পবিত্র থাকতে হলে নারী থেকে দুরে থাকতে হত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই সর্বপ্রথম নারীর প্রকৃত অধিকার দান করেছেন এবং একথা ছাবেত করেছেন যে, শরীয়তের নির্দেশ অনুযায়ী নারীর সাথে সম্পর্ক রাখা পবিত্রতার বিপরীত নয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে বিষয়টি সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে।
রোজা : রোজা ইসলামের এক শ্বাশত বিধান, যা মানুষের জৈবিক ও আধ্যাত্মিক নানা অনুষঙ্গে ঋজুতা সঞ্চার করে মানসিক ও শারীরিকভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে তোলে। রোজার এ বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ লাভের অন্যতম শর্ত হচ্ছে রোজার তাৎপর্য ও মাহাত্ম সঠিক উপায়ে উপলব্ধি করা এবং তদনুসারে আমলে ব্রতী হওয়া। বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে রোজার মাহাত্ম, তাৎপর্য ও বিধি-বিধান বর্ণনার প্রয়াস চালান হয়েছে।
আল কুরআন ও বিজ্ঞানে ভ্রুণের ক্রমবর্ধন ও মানুষের সৃষ্টি রহস্য: একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রন্ধ। ভ্রুণের সৃষ্টি ও ক্রমবর্ধনের পর্যায় বর্ণায় আল কুরআনের স্পষ্ট বক্তব্যমালা এবং আধুনিক বিজ্ঞানের আবিষ্কারসমূহের তুলনামূলক আলোচনা স্থান পেয়েছে আজকের এ প্রবন্ধে।
এ নিবন্ধে রজব মাস ও তাতে রোজার ফজিলত সম্পর্কে প্রচলিত বিভিন্ন হাদিসের শুদ্ধতা ও অশুদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে প্রতীয়মান হয় যে, রজব সংক্রান্ত কিছু হাদিস রয়েছে জয়িফ আর কিছু রযেছে জাল, যার ওপর আমল করা দুরস্ত হবে না।
এটা ধারণ করা ভুল হবে যে একজন ইমামের দায়িত্ব কেবল নামাজে ইমামতি পর্যন্তই সীমিত। ইমামকে বরং পালন করতে হবে দাওয়া-তালিম-তরবিয়, মানুষের চরিত্রগঠন, মসজিদকেন্দ্রিক সমাজগঠন, ইত্যাদির ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে।
একজন সফল গার্ডিয়ানের কিছু মৌলিক গুণাবলি রয়েছে যা অর্জিত হলে ছেলেমেয়ে ও পোষ্যদেরকে, মননে-আখালাকে-চরিত্রে যথার্থরূপে বড় করে তোলা অনেকটাই সম্ভব হয়ে ওঠে। বর্তমান প্রবন্ধে এগুণগুলো সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে।
সন্তান ইমান ও তাকওয়ায় বলিষ্ঠ হয়ে বড় হবে। নিজের, পরিবার পরিজনের, সমাজের ও রাষ্ট্রের কল্যাণে তার যোগ্যতা ব্যয় হবে, উপরন্তু পরকালের মুক্তি ও কল্যাণের উদ্দেশে সর্বশক্তি নিয়োজিত করে কাজ করে যাবে, এ ধরনের আকাঙ্ক্ষা প্রতিটি মুমিন পিতার থাকাটা স্বাভাবিক। তবে এ-প্রকৃতির সন্তান অর্জনের জন্য প্রয়োজন সালেহা বা সতী-সাধ্বী নারীর, যিনি তার সন্তানদের সুশিক্ষিত, আদর্শমান করে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় সকল যোগ্যতায় সিদ্ধ। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
ইলম অর্জন, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা লাভ, ইহ ও পরকালীন কল্যাণের পথ পথান্তর বিষয়ে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা অর্জন শিশুর একটি মৌলিক অধিকার। এ অধিকার প্রদানে, এ বিষয়ে শিশুর যথাযথ পরিচর্যায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্থাপন করেছেন সর্বোচ্চ আদর্শ। আমাদের সালাফে সালেহীনগণও এক্ষেত্রে রেখেছেন উজ্জ্বল উদাহরণ। বর্তমান প্রবন্ধে এ বিষয়টির ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মাতা-পিতার হাত ধরেই সন্তান প্রবেশ করে কোলাহলময় পৃথিবীতে, গাত্রে লাগায় ইহজাগতিক আলো-বাতাস। মাতা-পিতার কাছ থেকেই শেখে প্রথম শব্দমালা। তাই মাতা-পিতার স্কন্ধেই অর্পিত সন্তানকে যথার্থরূপে মর্দে মুমিন তথা মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার দায়িত্ব। বর্তমান প্রবন্ধে এ বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
সত্যবাদিতা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিকট একটি প্রিয় ও কাঙ্ক্ষিত গুণ। পক্ষান্তরে অসত্য ও মিথ্যাবাদিতা ঘৃণিত সবার কাছে। সত্য-মিথ্যা প্রিয়-অপ্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে সকল জাতিই একমত। সত্যাবাদিতার গুণটি তাই স্বভাবতই অধিক গুরুত্বপূর্ণ ইসলাম ধর্মে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ সম্পর্কেই সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করা হয়েছে।
এইডস একটি মরনব্যাধি, যা মানবজাতি ইতঃপূর্বে কখনো দেখ নি। এইডস বিষয়ক অত্যাধুনিক গবেষণা, যা এইডসের মৌল কারণসমূহ উদ্ঘাটনে সচেষ্ট হয়েছে, তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিসের সত্যতাকেই প্রমাণ করছে যেখানে তিনি বলেছেন: কোনো জাতির মধ্যে যখন অশ্লীলতা দেখা দিবে এবং মানুষ তা প্রকাশ্যে করতে থাকবে, তখন তাদের মাঝে মহামারী ও এমন ব্যাধি প্রকাশ পাবে যা তাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে ছিল না। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে ইসলামের দৃষ্টিতে এইডসের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে সংক্ষপে আলোচনা করা হয়েছে।
মানুষের জীবন সবসময় একরকম যায় না। সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, দারিদ্র্য-সচ্ছলতা, সুস্থতা-অসুস্থতা, সুদিন-দুর্দিন ইত্যাতির আবর্তে ঘূর্ণয়মান মানুষের জীবন। জাতি ও গোষ্ঠীর জীবনও অভিন্ন প্রকৃতির ঘেরাটোপে আবদ্ধ। জয়-পরাজয়, সম্মান-লাঞ্ছনা, প্রতিপত্তি-অপদস্থতা, উত্থান-পতন ইত্যাদির মধ্য দিয়ে পেরুতে থাকে একটি জাতির জীবন। আর এসবই ঘটে প্রজ্ঞাময় আল্লাহ তাআলার হিকমত অনুযায়ী। প্রবন্ধটি এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই।
এ নিবন্ধে ইসলামি অর্থনীতির মূলনীতি ও বৈশিষ্ট্যাবলি আলোচিত হয়েছে যা প্রমাণ করে যে ইসলাম সত্যিই একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবন বিধান। ইসলামি অর্থনীতিই পারে সকল মানুষের মৌলিক অধিকারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে।