মাহে রমযান রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস। এ মাসে জান্নাতের সবক’টি দরজা খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের সবক’টি দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। বক্ষমাণ নিবন্ধে বিষয়টি সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে।
ভেলেন্টাইন ডে বা ভালবাসা দিবস : কাফেরদের সাথে সাদৃশ্য রাখার বিষয়টি এখন ব্যাপকভাবে মুসলিম সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে অনুপ্রবেশ করেছে। কাফেরদের উৎসবের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের সাথে সাদৃশ্য স্থাপন করছে যুবসমাজের অনেকেই। ভালবাসা দিবস এরকমই একটি অপসংস্কৃতি। প্রবন্ধে লেখক ভালবাসা দিবসের ইতিহাস, ভালবাসা দিবস উদযাপনের শরয়ী বিধান উল্লেখ করেছেন। আশা করি পাঠক মাত্রই এর দ্বারা উপকৃত হবেন।
পুরোনো বছর চলে যায়, আসে নতুন বছর। আল্লাহর বিধিত নিয়ম। ইয়াহূদী-নাসারাসহ অনেক অমুসলিম নববর্ষ উদযাপন করে। তাদের দেখে বহু মুসলিম নববর্ষ উদযাপন করে এ দিনে আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে উঠে। হিজরী সাল হলো মুসলিম উম্মাহর সন। হিজরী সালের আগমনে আমাদের কী করা উচিৎ? নাকি কোনো কিছু করার বিধান নেই ইসলামী শরী‘আতে? এ বিষয় বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করা হয়েছে এ প্রবেন্ধ।
কাহিনি-নির্ভর বর্ণনা-পদ্ধতি মূল বিষয়বস্তু আত্মস্থ করতে শ্রোতা ও পাঠককে খুব দ্রুত আকৃষ্ট করে। ফলে সহজেই তারা তা গ্রহণ করে নেয় ও সে অনুসারে আমল করেত শুরু করে। এ জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক সময় সাহাবায়ে কেরামদের জন্য কাহিনি-নির্ভর উদাহরণ পেশ করতেন। হাদিসে বর্ণিত এ জাতীয় একটি কাহিনিকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি যা ঈমান ও আমল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবে বলে আশা রাখি।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদিস অনুসারে, মানব জাতির প্রতিটি হাড়ের পরিবর্তে সদকা ধার্য করা আছে। দু’জনের মাঝে সুষ্ঠু মীমাংসা করা সদকা। যানবাহনে আরোহণকালীন কাউকে সাহায্য করা সদকা; যেমন কাউকে যানবাহনে উঠিয়ে দেয়া, বা কোনো জিনিস যানবাহনে ওঠাতে সাহায্য করা। কল্যাণমূলক কথা বলা সদকা। নামাজে আসতে প্রতিটি কদমে কদমে সদকা। রাস্তা হতে কষ্টদায়ক কোনো জিনিস হটানোও সদকা। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ জাতীয় সদকা বিষয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
আয়শা রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে মানুষের প্রকৃতিগত দশটি স্বভাবের কথা উল্লেখ হয়েছে। উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় রচিত হয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি। অন্তর ও বহির উভয় দিক থেকে পরিচ্ছন্ন মানুষ গড়ে তোলাই যে ইসলামের অন্যতম লক্ষ্য, হাদিসটি তার প্রতিই ইঙ্গিতবহ।
শাবানের পনেরোতম রজনী উদযাপনের বিধান : সাংস্কৃতিক নানা সংকীর্ণতা ও হীনমন্যতার ফলে বর্তমান সমাজ-ইতিহাসের কালপর্ব হতেই-শবে বরাত নামে ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের উৎপত্তি করেছে ; যার প্রামাণ্য কোন দলিল আমরা কুরআন ও হাদিসের কোথাও পাইনা। সামাজিক এ অবক্ষয় দূর করার জন্যে প্রয়োজন কুরআন ও হাদিস অনুসারে এ বিষয়ে পুঙ্খানপুঙ্খ অনুসন্ধান ও দিক নির্দেশনা- পুস্তিকার একটি শুদ্ধ প্রয়াস।
রজব মাস সম্পর্কে জ্ঞাতব্য : বিভিন্ন সময় ও মাসকে কেন্দ্র করে এবাদত কেন্দ্রিক যে সমস্ত অপসংস্কার ও বেদআত গড়ে উঠেছে- রজব মাস, তাতে নানাবিধ এবাদত পালন, রোজা রাখা, রাত জাগা, সামাজিকভাবে উদযাপনের আয়োজন করা তার অন্যতম। শরিয়তের সুস্থ বিচারে এ ব্যাপারে আমরা কোন প্রকার দলীল পাই না। বিষয়টি নিয়ে কুরআন ও হাদিস দ্বারা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এটি। পাঠক খুবই মুগ্ধ হবেন আশা করি।
‘হিফয করার পদ্ধতি ও আদর্শ হিফয বিভাগ’ বইতে মৌলিকভাবে কুরআনুল কারিম হিফয করার পদ্ধতি, হাফিযদের ফজিলত ও আদর্শ হিফয খানার নীতি ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। অনুষঙ্গ হিসেবে রয়েছে কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত ও তার ফজিলত সংক্রান্ত একাধিক শিরোনাম, এবং কুরআনুল কারিম শিখানোর বিনিময় গ্রহণ করা, কুরআন সংক্রান্ত কতিপয় মাসআলা ও হিফয খানার কতিপয় বিদআত ও কুসংস্কারের প্রামাণিক আলোচনা।
আজ আমাদের কারো নিকট অস্পষ্ট নেই যে, মুসলিম সমাজে জাল ও দুর্বল হাদিসের ছড়াছড়ি। অনেকে এর ভয়বহতা না জেনে এসব হাদিস গ্রহণ করেন এবং তা প্রচার করেন। অথচ তারা জানেন না জাল ও দুর্বল হাদিসগুলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মিথ্যা রচনা ও অপবাদ। যার সম্পর্কে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন: “আমার উপর যে এমন কথা বলল, যা আমি বলেনি, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নাম বানিয়ে নেয়”। [বুখারি] মুসলিম উম্মাহর সংশোধন ও সুন্নত সংরক্ষণের জন্য এখানে রমযান সংক্রান্ত জাল ও দুর্বল হাদিসগুলো আলোচনা করা হয়েছে।