এটি একটি সংক্ষিপ্ত পত্র বিশেষ, যা শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব রহ. লিখেছিলেন। এখানে তাওহীদ ও শির্কের গুরুত্বপূর্ণ চারটি নীতিমালা স্থান পেয়েছে। আর মুশরিকদের দ্বারা দাবী করা শাফা‘আত ও তাওহীদপন্থীদের সাব্যস্ত করা শাফা‘আতের পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে।
গ্রন্থটি শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব রহ. এর কালজয়ী গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ। যেখানে তিনি জাহেলী যুগের আরব ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা কি কি খারাপ রীতি-নীতিতে বিশ্বাসী ছিল তা তুলে ধরেছেন। তিনি কুরআন ও সুন্নাহ থেকে জাহেলী যুগের মানুষের এমনসব কর্মকাণ্ড বের করতে সমর্থ হয়েছেন যা সাধারণত মানুষের মধ্যে এখনও সংঘটিত হচ্ছে।
মূল্যবান একটি পুস্তিকা, যাতে তাওহীদ ও তার প্রকার, শিরক-কুফরী-নেফাকের পরিচয় ও প্রকার, ইসলাম, ঈমান ও ইহসানের পরিচয় ও রুকন প্রভৃতি আকীদার মৌলিক বিষয়ের আলোচনা ৫০টি প্রশ্নোত্তরের আলোকে কুরআন ও হাদীসের দলীলসহ স্থান পেয়েছে।
সূরা আল-ফাতিহা মূলত একটি প্রার্থনা বিশেষ, যা আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। অবশিষ্ট কুরআন হলো তাঁর পক্ষ থেকে এর জবাব, যার মধ্যে মানবকুলের জন্য সহজ-সরল ও সঠিক জীবন-পথের পুর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহহাব রহ. কর্তৃক রচিত সূরা আল-ফাতিহা-এর এ তাফসীরখানা অতি সংক্ষিপ্ত হলেও তিনি এর মধ্যে আল্লাহর সাথে বান্দার মোনাজাত ও ইবাদাতে তাওহীদ -এ দু’টি বিষয় অত্যন্ত চমৎকার ও যুক্তিপূর্ণভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
তুমি আল্লাহকে জেনেছ? তার দীনকে? রিসালাত নিয়ে যিনি প্রেরীত হয়েছেন তোমাদের নিকট, চেন তাকে? পরজগতের দীর্ঘ সফরের সূচনায় ব্যক্তি সর্বপ্রথম যে বাস্তবতার মুখোমুখী হবে, তা এই তিনটি প্রশ্ন ও তার উত্তর। প্রশ্নগুলো কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ইসলামের তিন মূলনীতি।
কাশফুশ শুবহাত বা সংশয় নিরসন: ইমাম মুজাদ্দিদ মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহহাব রাহেমাহুল্লাহ্ রচিত একটি মূল্যবান পুস্তিকা। এতে মুশরিকদের বিভিন্ন ধরনের সন্দেহ উল্লেখ করে তা বাতিল ও নিরসন করেছেন; বান্দাদের উপর আল্লাহ্র হক ও অধিকার ‘তাওহীদুল ইবাদাহ’ বা ‘ইবাদতে তওহীদ’ এর বর্ণনা বিস্তারিতভাবে করেছেন এবং তাওহীদুর রুবূবিয়াহ ও তাওহীদুল ইলাহীয়া বা ইবাদাতে তাওহীদের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করেছেন।