এটা সঙ্গত নয় যে, মহিলাদের সারা শরীর ঢাকা থাকবে আর মুখমণ্ডল থাকবে খোলা। অথচ মানুষের প্রথম দৃষ্টিটিই পড়ে মুখের ওপর। তারপর সেখান থেকেই অন্তরে খারাপ বাসনার সৃষ্টি হয়। পবিত্র কুরআনে নারীদের হিজাব এবং তদসংক্রান্ত প্রায় আটটি আয়াত আছে। সেগুলো থেকেও একথা জানা যায়, শরীয়তের দাবী কেবল শরীর ঢাকা নয়, বরং মুখমণ্ডল ঢাকাও জরুরী।
প্রবন্ধকার এখানে মৃত ব্যক্তির জন্য কোন কোন কাজ করলে তা সুন্নাত মোতাবেক হবে ও কাজে লাগবে, তা নির্দেশ করেছেন। সাথে সাথে প্রচলিত কিছু বিদ‘আতের ব্যাপারে সাবধান করেছেন।
বাংলাদেশের একটি অনলাইন সংবাদপত্রে হজে না গিয়ে জনসেবার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের ঘটনা পড়ে আপ্লুত হয়েছিলাম। পরে শুনলাম ঘটনার লেখক একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষকে ‘নেক সুরতে’ ধোঁকা দেবার উদ্দেশ্যে নিজের উর্বর মস্তিষ্ক ও সরস কলম থেকে তার ওই লেখা প্রসবিত হয়েছিল। এ বছর কুরবানীর ঈদের আমেজ শেষ হবার আগেই আরেক অনলাইন পত্রিকার ব্লগে এমনই ছদ্মবেশি মানব শয়তানের দেখা মিলল। যার ‘নেক সুরতে’ ধোঁকা দেবার পদ্ধতি দেখে খোদ শয়তানও তাজ্জব না হয়ে পারে না। এ নিবন্ধে কুরবানী ও হজ বিষয়ে তার মতলবী প্রচারণার অসারতা ও এর পেছনের কারণ তুলে ধরা হয়েছে।
একটি মুসলিম দেশে ইসলাম শুধু মুসলিমদের অমুসলিমদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতেই বলে না, রাষ্ট্রে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সুখ-সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করে। পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহয় একাধিক স্থানে অমুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার তুলে ধরা হয়েছে। অমুসলিমরা নিজ নিজ উপাসনালয়ে উপাসনা করবেন। নিজ ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মালয়কে সুরক্ষিত রাখবেন। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তারা সমান। তাদের প্রতি কোনো প্রকার বৈষম্য ইসলাম বরদাশত করে না।
এ প্রবন্ধে শরীয়াহ্ এর পরিচয়, উৎস এবং শরীয়াহ্ আইন যে কুরআনেরই বিধান এবং কুরআন থেকে উৎসারিত সে বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি শরীয়াহ্ যে প্রগতিশীল, আধুনিক ও উন্নয়নধর্মী সেটিও তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ।
একদিকে হজ যেমন ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ, তেমনি আর্থিক ও শারীরিকসহ সব ধরনের ইবাদতের সমন্বয়ক হবার ফলে শ্রেষ্ঠতম ইবাদত। এতে সব ধরনের ইবাদতের সমাবেশ ঘটে। কারণ, যিনি হজ করেন তিনি যেন রোযা রাখেন, সালাত আদায় করেন, ইতিকাফ করেন, যাকাত প্রদান করেন এবং আল্লাহর রাস্তায় রাত জাগেন ও জিহাদ করেন। আখিরাতে অনেক লাভ ছাড়াও হজ মানুষের জন্য পার্থিব অনেক কল্যাণ ও উপকারিতার বয়ে আনে। হাদীছে রাসূলের বিশাল ভাণ্ডারে হজ ও উমরার ফযীলত সম্পর্কে অনেক বাণী বিবৃত হয়েছে। সেসবই তুলে ধরা হয়েছে এ নিবন্ধে।
প্রবন্ধকার এখানে রমযানে একজন মুমিনের কী কী কাজ করা উচিত তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি ত্রিশটির মত আমলের কথা উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে কিছু আমল রয়েছে যা শুধু রমযানেই করা হবে। আবার কিছু আমল রয়েছে যা সারা বছরই করা হবে, তবে রমযানে করার গুরুত্ব বেশী। প্রতিটি আমলের সাথে দলীল-প্রমাণাদিও সন্নিবেশিত করেছেন।
রমযান বরকতময় মাস। মুবারক মৌসুম, যাতে প্রতি রাতেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় অগণিত মানুষকে। বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে কুরআন-সুন্নাহ’র আলোকে রমযানের পূর্বপ্রস্তুতি ও সূচনাপর্বের করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।
আমাদের ব্যক্তি জীবন থেকে নিয়ে প্রতিটি স্তরে জুলুম পরিহার করতে হবে। যে কোনো ধরনের অনাচার থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় সবাইকে একদিন এমন বিচারকের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে যার কাছে কোনো কারচুপি বা দুর্নীতি করে বাঁচার সুযোগ নেই। যিনি সব শাসকের শাসক এবং সব বিচারকের নির্ভুল বিচারক।
বক্ষমাণ নিবন্ধে মর্মস্পর্শী কয়েকটি নিগৃহ নারীর জীবনযন্ত্রণার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের করণীয় কী, কেন আমরা এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখব তাও তুলে ধরা হয়েছে। সাথে সাথে আমাদের দেশে নারীদরদী! দাবীদার লোকদের কিছু চিত্র তুলের ধরার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।
শ্রম ইতিহাসে ইসলামই প্রথম শ্রমিকের প্রতি যথার্থ দৃষ্টি দিয়েছে। তাকে দিয়েছে সম্মান ও মর্যাদা আর শ্রমের স্বীকৃতি। পক্ষান্তরে কোনো কোনো সনাতন ধর্মে শ্রমের অর্থ ছিল দাসত্ব ও বশ্যতা। আবার কোনো ধর্মে এর অর্থ ছিল লাঞ্ছনা ও অবমাননা। এ প্রবন্ধে লেখক ইসলাম শ্রমিককে যে সকল অধিকার দিয়েছে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তা তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছেন।
বাংলাভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ ও তাফসীর রচনার ইতিহাস, মূল আবরী থেকে কুরআনের মর্ম অনুধাবনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং এ দু’ধারায় খেদমতের ভূত-ভবিষ্যৎ বেশ কিছু জরুরি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
পহেলা বৈশাখ: ইতিহাস ও বিধি-বিধান: প্রবন্ধটিতে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, প্রথমে এটি হিজরী সনের সৌর হিসেব অনুসারে নির্ধারতি হয়েছিল, পরবর্তীতে এটি হিন্দুদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অমুসলিম সংস্কৃতিতে পরিণত হয়।