ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ - বই

এ নিবন্ধে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে জান্নাতে নারীদের অবস্থা ও অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।

লেখক এ নিবন্ধে রাত-দিন সৃষ্টির হিকমত, তাতে বিদ্যমান আল্লাহর আশ্চর্য কুদরত এবং রাতে দ্রুত ঘুমানোর উপকারিতা ও দেরিতে ঘুমানোর অপকারিতা বর্ণনা করেছেন। আরো বর্ণনা করেছেন দিনে বিশেষ করে ফজর ও আসরের পর ঘুমানোর ক্ষতি এবং ঘুম সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ তিনি তুলে ধরেছেন।। ইনশাআল্লাহ পাঠকবর্গ এর দ্বারা উপকৃত হবেন।

লেখক বলেন: “আমার এ গ্রন্থ রাতের সালাত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত রচনা। এখানে আমি তাহাজ্জুদের অর্থ, কিয়ামুল লাইলের ফযিলত, উত্তম সময়, রাকাত সংখ্যা, আদব ও কিয়ামুল লাইলের সহায়ক উপকরণ উল্লেখ করেছি। অনুরূপ তারাবীর সালাতের অর্থ, হুকুম, ফযিলত, সময়, রাকাত সংখ্যা ও তাতে জামাতের বিধান উল্লেখ করেছি। আরো উল্লেখ করেছি বেতের সালাত, বেতের সালাতের হুকুম, ফযিলত, সময় ও বিভিন্ন প্রকার, রাকাত সংখ্যা ও তাতে কিরাতের বর্ণনা ইত্যাদি। প্রত্যেকটি মাসআলা আমি দলিলসহ বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।”

কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান: প্রবন্ধটিতে কুরবানী প্রচলনের ইতিহাস, কুরবানীর প্রকারভেদ, উদ্দেশ্য, গুরুত্ব, বিধান, পশু-বাছাইয়ের নিয়ম-পদ্ধতি, কুরবানীতে অংশীদ্বারিত্বের হুকুম, যবেহের নিয়মাবলি ইত্যাদি বিধানসমূহ স্থান পেয়েছে।

আলোচ্য রচনায় আল-কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে হজের কিছু শিক্ষা ও মর্মার্থ তুলে ধরা হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত হজ্জ উমরা ও যিয়ারত: গ্রন্থটিতে হজ উমরা ও যিয়ারত সংক্রান্ত কাজসমূহের দলীলভিত্তিক আলোচনার স্থান পেয়েছে। এটি মূলত কয়েকজন গবেষকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সংক্ষিপ্ত রূপ, যাদের অন্যতম ছিলেন, ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া -গবেষক ও সম্পাদক হিসেবে এবং নুমান আবুল বাশার ও আলী হাসান তৈয়ব -তারা এ গবেষণা কর্মটির পিছনে যথেষ্ট শ্রম দিয়েছেন। গ্রন্থটি সম্পর্কে আমরা এটুকু বলতে পারি যে, বাংলা ভাষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন এবং এ সংক্রান্ত সবচেয়ে সুন্দর গ্রন্থ।

আলোচ্য রচনায় আল-কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে হজ্জ, উমরা ও যিয়ারতের সঠিক পদ্ধতি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এবং পাশাপাশি মাসনূন কিছু দো’আ উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবন্ধকার এখানে কুরআন শিক্ষার বিধান, পদ্ধতি ও ফযিলত সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন, সাথে সাথে কুরআন না শিক্ষা করার পরিণতিও তুলে ধরেছেন।

রমযানের বিষয়ভিত্তিক হাদীস : শিক্ষা ও মাসায়েল, লেখক বলেছেন: “সিয়াম, ইতিকাফ, রমযানের কিয়াম ও লাইলাতুল কদর ইত্যাদি বিষয়ে ষাটটি দরস তৈরি করেছি, যা থেকে বিশেষভাবে দীনের দাঈ‘ ও মসজিদের ইমামগণ এবং সাধারণভাবে সকল মুসলিম উপকৃত হবেন, ইনশাআল্লাহ। প্রত্যেক দরসের ভিত্তি রেখেছি কুরআন ও হাদীসের ওপর, যদি শিরোনামের অনুকূলে কোনো আয়াত পেয়েছি, তাহলে তা উল্লেখ করেছি, অতঃপর হাদীস উল্লেখ করেছি। আর শিরোনামের অনুকূলে কোনো আয়াত না থাকলে সরাসরি উক্ত বিষয়ের হাদীস উল্লেখ করেছি। হাদীস বাছাই করার ক্ষেত্রে দলীল হিসেবে পেশ করার উপযুক্ত সহীহ ও হাসান হাদীসগুলো নির্বাচন করেছি, দুর্বল হাদীস এড়িয়ে গেছি। আল্লাহ সবাইকে এর দ্বারা উপকৃত হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।

আলোচ্য রচনায় আল-কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে রামাদান মাসে একজন মুমিনের দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

এটি একটি সংক্ষিপ্ত অথচ অতি গুরুত্বপূর্ণ বিয়ষে রচিত আরবী গ্রন্থের অনুবাদ। লেখক এতে পবিত্র কুরআনের সঙ্গে পূর্বসূরী নেককারদের শিক্ষণীয় ঘটনা এবং কুরআনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তা তুলে ধরেছেন।

প্রবন্ধটিতে উমরার বিশুদ্ধ পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ শরী‘আত বর্ণিত সঠিক পদ্ধতিতে একজন উমরাকারী মীকাত থেকে কীভাবে ইহরাম বাঁধবে, মক্কায় কাবার কাছে গিয়ে কি করবে, তাওয়াফ ও সাঈ কিভাবে সম্পন্ন করবে।

সালাতের সময়সূচি: গ্রন্থকার শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন সালাতের ওয়াক্তসমূহের দলীলভিত্তিক আলোচনা উপস্থাপনা করেছেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সুন্দর সমাধান পেশ করেছেন।

কুরআন ও সুন্নার আলোকে এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধে তরুণদের করণীয়: এ প্রবন্ধে এইচ আই ভি সম্পর্কে তথ্য ও তত্ত্বমূলক আলোচনার পাশাপাশি কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়, আর এ ব্যাপারে যুবকদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

আযান ও ইকামত: লেখক এ কিতাব সম্পর্কে বলেন: “এ বইটি একটি ছোট পুস্তিকা, এতে আমি অতি সংক্ষেপে আযান ও ইকামতের হুকুম, অর্থ, ফযিলত, নিয়ম-পদ্ধতি, মুয়াজ্জিনের আদব, আযান ও মুয়াজ্জিনের শর্তসমূহ, সুবহে সাদেকের পূর্বে প্রথম আযান, কাযা ও দুই সালাত এক সাথে আদায় করার সময় আযান ও ইকামতের বিধান, মুয়াজ্জিনের জবাব দেয়ার ফযিলত, আযানের পর মসজিদ থেকে বের হওয়ার হুকুম এবং আযান ও ইকামতের মাঝখানে বিরতি ইত্যাদি বিষয়গুলো দলিলসহ আলোচনা করার প্রয়াস পেয়েছি।

এ বইটিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে যে ধরনের ত্যাগ ও জুলুম-নির্যাতনের স্বীকার হন, তা আলোচনা করা হয় এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা দাওয়াতী ময়দানে দাওয়াত দিতে গিয়ে কি কি ধরনের হিকমত ও কৌশল অবলম্বন করেন তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়।

নাজাফ সম্মেলন: মুহিব্বুদ্দিন আল-খতিব বলেন, এ সম্মেলনটি মুসলিমদের ইতিহাসে শিয়া ও সুন্নীদের জন্য এক বিরাট সম্মেলন হিসেবে বিবেচিত, বরং এটিই প্রথম সম্মেলন, এরপর এর ধরনের সম্মেলন আর সংঘটিত হয় নি; যদিও এর প্রয়োজন ছিল। কারণ সাফাভী রাজবংশ এখনও ভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য এখনো প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। সুতরাং পূর্ববর্তী সাফাভীরা যে অন্যায়ের প্রচলন করেছে বর্তমান কালের শিয়ারাও সে একই আকীদায় বিশ্বাসী। তারা তাকীয়্যা, ইসলামের প্রতি ভালবাসার যতই প্রকাশ করুক না কেন, তারা মূলত ইসলাম বিদ্বেষী। বাদশাহ নাদির শাহের সময়ে অনুষ্ঠিত সে সম্মেলনে তারা ঐক্যের স্বার্থে তাদের অনেক অন্যায় কাজ পরিত্যাগ করতে রাজী হয়েছিল, তন্মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল, ১-সাহাবায়ে কিরামকে গালি দেয়া, কাফির বলা, আবু বকর, উমর, উসমানের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করা। ২- মুত‘আ বিয়ে বাতিল করা। ইত্যাদি

নারী: ইসলামের পূর্বে ও পরে— গ্রন্থটিতে একজন নারীকে ইসলাম কী কী সম্মান দিয়েছে এবং ইসলামের আগমনের পূর্বে নারীদের অবস্থা কি ছিল তা তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে একজন পাঠক বুঝতে পারবে যে, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামের ভূমিকা কী?

ফিকহুন নসীহত বা উপদেশতত্ত্ব: নসীহত দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ রুকন। অথচ মানুষ এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ভুলে যেতে বসেছে। যাদের নসীহত করার যোগ্যতা নেই, তারাও নসীহত করতে শুরু করে। আলোচ্য গ্রন্থে নসীহতের মর্মার্থ, বিভিন্ন অভিধান এবং কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে তুলে ধরা হয়েছে। নসীহতের আদব, বৈশিষ্ট্য, নসীহতের পদ্ধতি, বিবেচ্য বিষয় ও বর্জনীয় বিষয়ও এখানে আলোকপাত করা হয়েছে।

হিল্লা বিয়া অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি যখন তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়, তখন স্ত্রী তার উপর হারাম হয়ে যায়, যতক্ষণ না স্ত্রী সে ব্যতীত অন্য স্বামীকে বিয়ে করে। যেমন আল্লাহ তার কুরআনে উল্লেখ করেছেন, যেরূপ এসেছে তার নবীর সুন্নতে এবং যার উপর সকল উম্মতের ঐক্যমত। কোন ব্যক্তি যখন এ নারীকে তালাক দেয়ার নিয়তে বিয়ে করে, যেন সে তার পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হয়, তখন এ বিয়ে হয় হারাম ও বাতিল। লেখক এ বইয়ে কুরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতে হিল্লা বিয়া সম্পর্কে বিশদভাবে বর্ণনার প্রয়াস পেয়েছেন। প্রথমে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস, অতঃপর এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মুফতিদের কয়েকটি ফতোয়া ও তালাক সংক্রান্ত দু’টি আয়াত তাফসিরসহ উদ্ধৃত করেছেন। আশা করছি সকল শ্রেণির পাঠক এ থেকে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।