ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ - বই

তাওহীদের মর্মকথা: শায়খুল ইসলাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব রহ. এর সাড়া জাগানো কিতাবুত তাওহীদের ব্যাখ্যা গ্রন্থ এই আল-কাওলুস সাদীদ। সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা করেছেন শায়খ আব্দুররহমান নাসের আস- সাদী। তাওহিদের বিভিন্ন দিক, শিরকের বিস্তারিত পরিচয় ও তার সকল পর্যায় আলোচনা করা হয়েছে এ গ্রন্থে। যে তাওহীদ আল্লাহ মানুষের জন্য অপরিহার্য করেছেন। শিরকে আকবর ও শিরকে আছগর এবং শিরকের সকল প্রকার ও দিক তুলে ধরা হয়েছে এ বইতে।

তাওহীদ ও আকাইদ : অত্র বইয়ে নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলি সন্বিবেশিত হয়েছে। (১) আল্লাহ তাআলার হক, (২) তাওহীদ ; ফজিলত, প্রকার ও প্রভাব, (৩) কালিমায়ে শাহাদাত; অর্থ, শর্ত ও এর বিপরীত বিষয়াবলি, (৪) ঈমান ; রোকনসমূহ ও প্রতিফল, (৫) সম্পর্ক স্থাপন ও সম্পর্কচ্ছেদ, (৬) শেষ দিবস, (৭) ইবাদত ; অর্থ, রোকন ও শর্ত, (৮) কুরআনুল কারীম ; মর্যাদা ও গুরুত্ব, (৯) শরীয়তের দৃষ্টিতে পাঁচটি বিষয় সংরক্ষন, (১০) সৎ‌কাজে আদেশ ও অসৎ কাজে বাঁধা প্রদান, (১১) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবাগণ (১২) বিদআত।

আল আকীদা আত-তাহাবিয়া : প্রখ্যাত মুহাদ্দিস, আল্লামা আবু জাফর আহমদ বিন মুহাম্মদ বিন সালামা আল-ইযদী আত-তাহাবী (মৃতু ৩২১ হিজরী) কর্তৃক সংকলিত আহলে সুন্নাত ওয়াল জাসাআতের আকীদা সমগ্রের সারসংক্ষেপ এ বইটি সকল মাজহাবের অনুসারী আহলে সুন্নাহর সকল ইমাম ও আলেমদের নিকট সমাদৃত হয়েছে সমানভাবে। আরবিসহ বহু ভাষায় এর তর্জমা ও ব্যাখ্যা লেখা হয়েছে।

বইটি উম্মুল কুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের দাওয়া ও উসুলুদ্দীন ফ্যাকাল্টি কর্তৃক সংকলিত। বইটিতে পবিত্র মক্কায় অবস্থিত মাশায়েরসমূহের পরিচিতি ও ইতিহাস, সেখানে গমনকারীর করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা স্থান পেয়েছে। সাথে সাথে এ বিষয়ে প্রচলিত কুসংস্কার- ভুলত্রুটি সম্পর্কেও দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যথার্থভাবে। বইটি সাধারনভাবে সকল মানুষ, ও বিশেষভাবে হজ পালনকারীদের উপকারে আসবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

‘ঈসা মসীহ: ইসলামের এক নবী’ গ্রন্থটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। এ গ্রন্থে ঐতিহাসিক দলীল-প্রমাণসহ দেখানো হয়েছে যে, খ্রীষ্টান পাদ্রী ও তাদের শাসকগোষ্ঠী কীভাবে ঈসা আলাইহিস সালামের একত্ববাদী ধর্মকে আমুল বিকৃত করে পৌত্তলিক ধর্মে রপান্তরিত করেছে। একেশ্বরবাদী খৃষ্টান পণ্ডিতদের স্বীকারোক্তিসমূহ উল্লেখ করা হয়েছে এ বইটিতে। সর্বশেষে ঈসা মসীহ সম্পর্কে ইসলামের আকীদা-বিশ্বাস তুলে ধরা হয়েছে। দাওয়াতী ময়দানে যারা খৃষ্টানদের যুক্তি খণ্ডন করে ইসলামের সত্যতা প্রমাণ করতে চান, তাদের জন্য এ বইটি একটি মুল্যবান পাথেয়।

মদিনার ফজিলত : মদিনা সেই পুন্যভূমির নাম, যেখানে রাসূলের আবির্ভাব ও তাকে কেন্দ্র করে ইসলামের প্রসার-বিস্তৃতি ঘটেছে। ইসলামে মদিনার ফজিলত অনেক। তবে, ইসলামের অন্য যে কোন ফজিলত ও বরকতময় অনুষঙ্গের মতই এই ফজিলতকেও নানা সময় নানা ভাবে বিকৃত করার অপচেষ্টা হয়েছে। নিবন্ধটিতে মদিনার শরিয়ত সমর্থিত ফাজায়েল, সে সংক্রান্ত হুকুম-আহকাম ইত্যাদি শরিয়তের আলোকে বর্ণনার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে।

সূরা আল-ফাতিহা মূলত একটি প্রার্থনা বিশেষ, যা আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন। অবশিষ্ট কুরআন হলো তাঁর পক্ষ থেকে এর জবাব, যার মধ্যে মানবকুলের জন্য সহজ-সরল ও সঠিক জীবন-পথের পুর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। শাইখুল ইসলাম মুহাম্মাদ ইবন আব্দুল ওয়াহহাব রহ. কর্তৃক রচিত সূরা আল-ফাতিহা-এর এ তাফসীরখানা অতি সংক্ষিপ্ত হলেও তিনি এর মধ্যে আল্লাহর সাথে বান্দার মোনাজাত ও ইবাদাতে তাওহীদ -এ দু’টি বিষয় অত্যন্ত চমৎকার ও যুক্তিপূর্ণভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।

মুসলমান হিসেবে একজন ব্যক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়, সে মুমিন বান্দা। আত্মায়-ক্বলবে, মানবীয় আচরণের যাবতীয় অনুষঙ্গে যে ব্যক্তি ঈমান আনয়ন ও রূপায়নে অভিলাষী, তার প্রথমে ঈমানের যাবতীয় দিক সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ অবগতি প্রয়োজন। বইটি এমন অনুসন্ধিৎসু পাঠকের জন্য।

তুমি আল্লাহকে জেনেছ? তার দীনকে? রিসালাত নিয়ে যিনি প্রেরীত হয়েছেন তোমাদের নিকট, চেন তাকে? পরজগতের দীর্ঘ সফরের সূচনায় ব্যক্তি সর্বপ্রথম যে বাস্তবতার মুখোমুখী হবে, তা এই তিনটি প্রশ্ন ও তার উত্তর। প্রশ্নগুলো কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ইসলামের তিন মূলনীতি।

মসজিদে নববী শরীফের যিয়ারত ও যিয়ারতকারীর জন্য কতিপয় সতর্কতা ও নির্দেশনা

এই বইটির মধ্যে 90টি হাদীসের মূল্যবান শিক্ষণীয় বিষয় এবং বর্ণনাকারী সাহাবীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় রয়েছে। মুসলিম সমাজের প্রয়োজন মোতাবেক এই নির্বাচিত হাদীসগুলির যোগাযোগ রয়েছে তিনটি বিষয়ের সাথে: 1- সঠিক আকীদা বা ইসলামী মতবাদ। 2- সঠিক আকীদা বা ইসলামী মতবাদ মোতাবেক আমল বা কার্য সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ প্রদান। 3- ইসলামের প্রকৃত আদর্শ মোতাবেক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার প্রতি লক্ষ্য রাখা।

এই বইটির মধ্যে 70 টি হাদীসের মূল্যবান শিক্ষণীয় বিষয় এবং বর্ণনাকারী সাহাবীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়। এই হাদীসগুলির যোগাযোগ রয়েছে তিনটি বিষয়ের সাথে: 1- সঠিক আকীদা। 2- সঠিক আকীদা মোতাবেক আমল বা কার্য সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ প্রদান। 3- ইসলামের প্রকৃত আদর্শ মোতাবেক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার প্রতি লক্ষ্য রাখা।

এই বইটির মধ্যে 60 টি হাদীসের মূল্যবান শিক্ষণীয় বিষয় এবং বর্ণনাকারী সাহাবীর সংক্ষিপ্ত পরিচয়। এই হাদীসগুলির যোগাযোগ রয়েছে তিনটি বিষয়ের সাথে: 1- সঠিক আকীদা বা ইসলামী মতবাদ। 2- সঠিক আকীদা বা ইসলামী মতবাদ মোতাবেক আমল বা কার্য সম্পাদনের প্রতি উৎসাহ প্রদান। 3- ইসলামের প্রকৃত আদর্শ মোতাবেক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় রাখার প্রতি লক্ষ্য রাখা।

অত্র বইটির মধ্যে প্রকৃত ইসলাম একটি সত্য ধর্ম তার উপাদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এবং প্রকৃত ইসলামের সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য, বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতার বিষয়গুলি উপস্থাপন করা হয়েছে। এর সাথে সাথে বইটির মধ্যে মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান, ঈমানের বৈশিষ্ট্য এবং ঈমানের উপকারিতার বিষয়গুলি উল্লিখিত হয়েছে। আর বিশ্বনাবী আল্লাহর রাসূল মুহাম্মাদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর পরিচয় এবং তাঁর প্রতি সকল জাতির মানব সমাজের দায়িত্ব কি তাও উপস্থাপন করা হয়েছে।

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা, এখানে লেখক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ তুলে ধরেছেন। একটি আদর্শ ও সুন্দর সমাজ গঠন করতে হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। কেননা তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, নানা, মুরব্বী, মুনীব ও আদর্শ স্বামী। অত্র গ্রন্থে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ তুলে ধরা হয়েছে।

জামা‌‘আতে সালাত আদায়: গ্রন্থটিতে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে জামা‘আতের সাথে সালাত আদায়ের তাৎপর্য, ফযীলত, আহকাম, উপকারিতা ও আদাবসমূহ দলীল-প্রমাণসহ বর্ণিত হয়েছে।

দীন ইসলামের ভিত্তি হচ্ছে পাঁচটি বিষয়ের ওপর। এ পাঁচটি ভিত্তি সম্পর্কে মানুষের প্রশ্নের অন্ত নেই, জিজ্ঞাসার শেষ নেই। তাই নির্ভরযোগ্য প্রখ্যাত আলিমে দীন, যুগের অন্যতম সেরা গবেষক আল্লামা শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন রহ. ঐ সকল জিজ্ঞাসার দলীল ভিত্তিক নির্ভরযোগ্য জবাব প্রদান করেছেন উক্ত বইটিতে। প্রতিটি জবাব পবিত্র কুরআন-সুন্নাহ ও পূর্বসূরী নির্ভরযোগ্য উলামাদের মতামত থেকে দেওয়া হয়েছে। সেই জবাবগুলোকে একত্রিত করে বই আকারে বিন্যস্ত করেছেন জনাব ‘ফাহাদ ইবন নাসের ইবন ইবরাহীম আল-সুলাইমান’। নাম দিয়েছেন ‘ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম’। এ অংশে তিনি হজ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

আদর্শ মনীষী আবু তাওবাহ হালবি বলেছেন: “মুয়াবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের জন্য পর্দা স্বরূপ, যে এই পর্দা উঠাবে, সে তার ভেতর প্রবেশ করারও দুঃসাহস দেখাবে”। এ কারণেই লেখক মুয়াবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহুকে আলোচনার বিষয়বস্তু বানিয়েছেন।

লেখক বলেন, সাহাবীগণ এখন কবরে, স্বীয় রবের প্রতিদান ভোগ করছেন। তাদের সম্পর্কে গোস্বা প্রকাশ, হিংসার বীজ বপন ও তাদের সম্মান নষ্ট করে কাফিরদের অনুসারী মুনাফিক বা যিন্দিক ব্যতীত কেউ প্রশান্তি পেতে পারে না। তাদের প্রতিবাদ করার উদ্দেশ্যেই সাহাবীগণকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পুস্তিকা লিখছি, যেন আমার ওপর থাকা তাদের হক কিছুটা হলেও আদায় হয় এবং উম্মত তার সঠিক নির্দেশনা খুঁজে পায়... ... আমার আরেক উদ্দেশ্য, ভুলে যাওয়া মুসলিমদেরকে সাহাবীগণের মর্যাদা স্মরণ করানো ও তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের রাগিয়ে তোলা।

‘দুররাতুল বায়ান ফী উসূলিল ঈমান’ বা “ঈমানের মৌলিক নীতিমালা সংক্রান্ত মণিমুক্তা” গ্রন্থটি আকীদার গ্রন্থসমূহের মধ্য থেকে একটি সুন্দর মৌলিক গ্রন্থ। লেখক এখানে অধিকাংশ আক্বীদার মাসআলার অবতারণা করেছেন এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা তুলে ধরেছেন। কিতাবটি মসজিদে এবং বিভিন্ন দারসের হালকাসমূহে ব্যাখ্যা করে আক্বীদা শিক্ষা দেওয়ার মতো উপযোগী করে প্রস্তুত করা হয়েছে।