আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী - অডিও
আইটেম সংখ্যা: 25
- বাংলা আলোচক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
এ অডিওটিতে আলোচনা করা হয়েছে:- শির্ক হলো সবচেয়ে বড় গুন্নাহ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা সবকিছুর গুনাহ মাফ করে দিবেন কিন্তু শির্কের গুনাহ মাফ করবেন না। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় হলো খালেস তাওবা করা। এ জন্য মুসলিম হিসেবে শির্ক কী এটি ভালো করে জানতে হবে। আমাদের সমাজে অনেক শির্কী কর্মকাণ্ড রয়েছে, যার মাধ্যমে মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে জাহান্নামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যারা শিরক করবে এ দুনিয়াতে ও পরকালের জীবনে তারা চিরদিন জাহান্নামে থাকবে। তাদের কোনো সাহায্যকারী থাকবে না। আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের জন্য জান্নাত হারাম করেছেন।
- বাংলা আলোচক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
1- তাওহীদ হলো মহান আল্লাহ তা‘আলাকে এক বলে জানা, তাঁর কোনো শরীক নেই, একমাত্র তিনিই ইবাদতের উপযুক্ত –এ কথা বিশ্বাস করা ও মেনে নেওয়া। এ দুনিয়ার একমাত্র মালিক আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা, সব কিছুর মালিক ও পরিচালক একমাত্র তিনিই। তিনিই জীবনদাতা ও মরণদাতা বলে বিশ্বাস করা, আল্লাহকে ছাড়া অন্য কারো অতিপ্রশংসা করা যাবে না, কাউকে মালিক মানা যাবে না এটিই হলো তাওহীদের মূল কথা। 2- মানুষ সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর ইবাদত করা। একদিন মানুষ মারা যাবে, তারপর আল্লাহর কাছে সবকিছুর হিসাব দিতে হবে। কাফেররা মনে করে সবকিছু এমনি এমনি সৃষ্টি হয়েছে, আল্লাহর কোনো অস্তিত্ব নেই। পরকালে কাফেরদের ঈমান না আনার কারণে কঠিন ‘আযাব ভোগ করতে হবে এ নাফরমানীর কারণে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা তা কুরআনে স্পষ্ট বর্ণনা করেছেন। সুতরাং আলোচক তাওহীদ কী ও তাওহীদের গুরুত্বের ওপর বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।
- বাংলা আলোচক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
এ লেকচারটিতে গোসল ও তায়াম্মুম করার পদ্ধতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত মোতাবেক গোসল করা। গোসল করার পদ্ধতি: ১। মনে মনে সঙ্কল্প করে বিসমিল্লাহ বলবে। ২। অযু করবে তবে পা ধৌত করার কাজ গোসলের কাজ শেষ করার পর করবে। ৩। মাথার উপর ৩ বার পানি দিবে। ৪। সমস্ত শরীর ভালোভাবে ধৌত করবে। যখন পানি পাওয়া যাবে না তখন তায়াম্মুমের মাধ্যমে কীভাবে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং সর্বশেষে তায়াম্মুম করার পদ্ধতিসমূহ তুলে ধরা হয়েছে।
- বাংলা আলোচক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
এ লেকচারটিতে সালাত আদায় করার পূর্বশর্ত তথা অযু করা পদ্ধতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। যেমন, ১। মনে মনে সংকল্প করে অযু শুরু করতে হবে। ২। বিসমিল্লাহ বলে অযু শুরু করবে। ৩। দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধৌত করতে হবে। ৪। মুখে ও নাকে ৩ বার পানি দিয়ে কুলি বা পানি প্রবেশ করিয়ে ভালো ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ৫। মুখমণ্ডল ধৌত করা। ৬। দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ৩ বার ধৌত করতে হবে। ৭। মাথা ১ বার মাসেহ করা। ৮। পায়ের গোড়ালি থেকে আঙুল পর্যন্ত ভালোভাবে পানি দিয়ে ধৌত করতে হবে। মূলকথা হলো পবিত্রতা অর্জন করতে হলে কুরআন ও হাদীসের যাবতীয় পদ্ধতি অনুসুরণ করতে হবে।
- বাংলা আলোচক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
এ লেকচারটিতে সালাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে বিশদ আলোকপাত করা হয়েছে। সালাত হলো সকল খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রধান মাধ্যম। আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে এ সালাত মুসলিমদের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাধ্যমে প্রেরণ করেছেন। সালাত মুসলিমদের জীবনে অন্যতম একটি অংশ। আল্লাহ তা‘আলা সূরা আল-বাকারাতে বলেছেন “তোমরা সালাত প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত আদায় কর এবং রুকুকারীদের সাথে রুকু কর।” আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেছেন, “সালাত সকল মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখে।”
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
আল্লাহ তা‘আলার ইবাদতের পরে পিতা-মাতার খিদমত করার ব্যাপারে কুরআন ও হাদীসে অসংখ্য আয়াত উল্লেখ রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, তাঁর সাথে কাউকে শরীক কর না এবং তোমাদের পিতা-মাতার সাথে সৎ ব্যবহার কর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্র কাছে সবচেয়ে প্রিয় বিষয়গুলো হলো ১। সময় মত সালাত আদায় করা। ২। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও ভালো ব্যাবহার করা। ৩। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। পিতা-মাতার খিদমত ও অধিকার সম্পর্কে উক্ত আলোচনায় বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
- বাংলা আলোচক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
আল্লাহ তা‘আলার দিকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল আগমন করেছেন। তারা আল্লাহ তা‘আলার দিকে দাওয়াত দিয়েছেন। বর্তমানে আলেম সমাজ এ দাওয়াতের কাজটি করবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমাদের কাছে যদি আমার একটি হাদীস পৌঁছে থাকে তাহলে তোমরা তা প্রচার করো। সুতরাং মানুষকে সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ করা প্রত্যেক মুমিনের ঈমানী দায়িত্ব।
- বাংলা আলোচক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
পরিভাষায় তাওবা হলো অন্যায় কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া। তাওবা সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে অসংখ্য আয়াত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করো। কেননা আমি আল্লাহর নিকিট প্রতিদিন একশত বার তাওবা করি। উক্ত আলোচনায় আলোচক হাদীসের আল্লাহ কীভাবে মানুষকে মাফ করে দেন ও কেমন খুশি হন তা বর্ণনা করেছেন। তাই একজন মুসলিমের জীবনে তাওবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ যার মাধ্যমে পরকালিন মুক্তি লাভ করতে পারবে।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
উক্ত অডিওটিতে আলোচনা করা হয়েছে:- ১। সালাতে ডানে বামে তাকানো নিষেধ। ২। সালাতে রঙিন জায়নামাজ না নিয়ে আসা ও লাল নীল রঙিন কাপড় পরিধান না করা। ৩। ইচ্ছা করে সালাতের মধ্যে কথা বললে সালাত নষ্ট হয়ে যাবে। ৪। ইচ্ছা করে কিবলা দিক বাদ দিয়ে ডানে ও বামে তাকালে সালাত নষ্ট হয়ে যায়। ৫। বায়ুপথ দিয়ে বাতাস বের হলে অযু নষ্ট হওয়ার সাথে সাথে সালাতও নষ্ট হয়ে যায়। ৬। সালাতের মধ্যে হাসলে সালাত নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সালাত পড়ার সময় আমাদেরকে এসব খেয়াল রেখে সালাত আদায় করতে হবে। সালাতের পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে সালাত আদায় করতে হবে। রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে সালাত আদায় করেছেন সকল মুসলিমকে সেভাবে সালাত আদায় করতে হবে। সালাতের পদ্ধতি ও নিয়ম এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
রমযান মাসের ত্রিশ দিন পার করার পর ঈদের দিনে ঈদের সালাত পড়তে হয়। ঈদের দিনে বেশকিছু করণীয় আছে। উক্ত আলোচনায় ঈদের সালাতের বিধান ও ঈদের দিনের করণীয় কী তা বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
মানুষের জীবন দুই ধরনের, ইহকালিন জীবন ও পরকালিন জীবন। পরকালিন জীবনের জন্য রয়েছে জান্নাত ও জাহান্নাম। যে সকল মানুষ আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক চলবে সে জান্নাতে যাবে। আর যারা আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক চলবে না সে জাহান্নামে যাবে। জান্নাত কত বড়, জান্নাতের ফলমূল কেমন হবে, জান্নাতের যাবতীয় ভোগ বিলাসের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
- বাংলা আলোচক : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
মানুষ এ দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন রকমের বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেক রকম পদক্ষেপ নিয়ে থাকে যার বেশিরভাগই ইসলামের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। যেমন, বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি, মানুষের বদ নজর থেকে রক্ষা, শয়তানের প্ররোচনা ও ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকার জন্য। ছেলে-মেয়ে হওয়ার জন্য, ব্যবসায় বাণিজ্য উন্নতির জন্য, পরীক্ষায় পাশের জন্য নানা রকম তাবিজকবচ ও পাথর ব্যবহার করে থাকেন যা বেশিরভাগ শির্কের সাথে জড়িত। এসব থেকে মুসলিম উম্মাহকে বাঁচতে হলে বেশকিছু নীতিমালা মেনে চলতে হবে। আলোচ্য অডিওটিতে নিরাপত্তা লাভের বিভিন্ন উপায়সূমহ আলোচনা করা হয়েছে।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
ইসলামিক বিধান মোতাবেক যাকাত ও সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ কেমন হবে, কার ওপর তা ওয়াজিব এবং কীভাবে যাকাত ও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে?-এ নিয়ে আলোচক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
আলোচ্য লেকচারটিতে দুনিয়ার প্রতি লোভ-লালসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। দুনিয়ার জীবন কৌতুক ও খেলাধুলা ছাড়া আর কিছুই নয়। পরকালিন জীবন হচ্ছে আসল জীবন। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, দুনিয়ার জীবন আর আখিরাতের জীবনের মধ্যে পার্থক্য হলো সুমুদ্রে একটি আঙ্গুল ডুবালে যতটুকু ডুববে ততটুকু হলো দুনিয়ার জীবন, বাকি সুমুদ্রের পানির সমান হলো পরকালের জীবন। তাই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দুনিয়ার প্রতি লোভ-লালসা না করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
মানুষের হিদায়াতের জন্য কুরআন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে সঠিকভাবে চলার জন্য কুরআন নাযিল করেছেন। কীভাবে মানুষ কুরআনের মাধ্যমে হিদায়াত লাভ করবে তা আল্লাহ তা‘আলা বিভিন্ন সূরাতে তুলে ধরেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা বলেন, মানুষ কি চিন্তা করেন না এ কুরআন সম্পর্কে? আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি মানুষকে বুঝার জন্য, কে আছে উপদেশ গ্রহণ করার। উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি? সহীহ হাদীসে উল্লেখ রয়েছে, সবচেয়ে উত্তম সে ব্যক্তি যে নিজে কুরআন পড়ে এবং অন্যকে কুরআন শিক্ষা দেন। উক্ত অডিওটিতে কুরআন পাঠ করার অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
আলোচ্য অডিওটিতে নিম্নোক্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ১। ই‘তেকাফ অর্থ বিছিন্ন হওয়া। ২। ই‘তেকাফে বসা সুন্নাতে মুয়াআক্কাদা। ৩। প্রত্যেক বছর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই‘তেকাফে বসতেন। ৪। পুরুষদেরকে মসজিদে ই‘তেকাফ বসতে হবে আর মহিলারা ঘরে ই‘তেকাফ করবে। ৫। ই‘তেকাফে অবস্থায় বেশি বেশি নফল সালাত, যিকির ও দো‘আর মাধ্যমে কাটানো অধিক কল্যাণকর।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা‘আলা সূরা কদরের মধ্যে লাইলাতুল কদরের ফযীলত বর্ণনা করেছেন। লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম রাত। লাইলাতুল কদরের ফযীলত ও গুরুত্ব অনেক। যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরের রাতে ইবাদত করবে, সে এক হাজার মাসের নেকী পাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরের রাত পেয়ে ইবাদত করল না, সে সকল প্রকার সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশ দিন বেশি বেশি ইবাদত করতেন ও পরিবার পরিজনকে ইবাদত করার তাগিদ দিতেন।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
1- সালাতের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা মাসায়েল রয়েছে তা এ লেকচারটিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের সমাজে অনেকে সালতের আগে ও পরে বিদ‘আত আমল করে থাকে । যেমন, চোখে আঙুল দিয়ে চুমু খাওয়া, গাড় মাসাহ করা, টাখনুর নিচে কাপড় রাখা, তাকবীরে তাহরীমা তথা আল্লাহু আকবার বলার সময় কানের সাথে হাত লাগানো, পেশাব করার পর কুলূপ নিয়ে দশ-বিশ ও একশ কদম হাঁটতে থাকা -এগুলো স্পষ্ট বিদ‘আত। সালাতের সাথে সম্পর্কিত প্রচলিত বিদ‘আত সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। 2- সালাতের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা মাসায়েল -এ পর্বে আর কিছু মাসআল-মাসায়েল আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের অনেকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাত মোতাবেক মসজিদে প্রবেশ করে দুই রাকা‘আত তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় করেন না যা সুন্নাত পরিপন্থী কাজ। জামা‘আতে সালাত আদায়ের সময় পায়ের সাথে পা না মিলিয়ে দাঁড়ানো এ কাজটিও সুন্নাত পরিপন্থী কাজ যা অনেক মুসলিম ভাই করে থাকেন। সালাতে বুক বাঁধার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ কোনো পার্থক্য কুরআন ও হাদীসে নেই, যা আমাদের সমাজে নারী ও পুরুষ সালাতে পার্থক্য করে থাকেন। সালাতের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা-মাসায়েলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা হলো, সালাতে প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা। সালাতে সূরা ফাহিতা পাঠের পর আমীন বলা ও হাত উঠানো।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
কীভাবে একজন মুসলিম সালাতে সালাম ফিরানোর পর দো‘আ পড়বে তা সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসব দো‘আ পাঠ করতেন, যা সহীহ হাদীস গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে তা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
- বাংলা আলোচক : আবুল কালাম আযাদ আল-মাদানী সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
উক্ত অডিওটিতে সাওমের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসায়েল তুলে ধরেছেন। এ মাসআলাগুলো জানা প্রত্যেক সাওম পালনকারীর জন্য জানা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ১। রমযান মাসে সাহরীর আযান দেওয়া সুন্নাত। ২। সাহরী খাওয়ার সময় আযান হয়ে গেলে খাবার শেষ করে উঠবে। ৩। ইফতারি তাড়াতাড়ি করা এবং সাহরী দেরীতে করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। ৪। খেজুর অথবা পানি দিয়ে ইফতার করা। ৫। ইফতার করার সময় হাদীস মোতাবেক দো‘আ পাঠ করা। ৬। সাওম পালনকারীকে ইফতার করানো। ৭। সাওম অবস্থায় সকল প্রকার মিথ্যা কথা, গীবত, সুদ ও ঘুষ থেকে দূরে দূরে থাকা। তাছাড়া সাওমের সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ আরো বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।