ব্যক্তিত্ব
আইটেম সংখ্যা: 2307
- বাংলা
- বাংলা
তিনি শাইখ আবদুল হামীদ মাহমূদ তাহমায, আল-হামাভী, তিনি সিরিয়ার হামা নগরীতে ১৩৫৬ হি. মোতাবেক ১৯৩৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। সেখানেই বেড়ে উঠেন, সেখানকার মাদ্রাসায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। তারপর দামেশক বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়াহ অনুষদ থেকে সেখানকার দ্বিতীয় ব্যাচ হিসেবে ১৯৫৯ সালে গ্রাজুয়েশন প্রাপ্ত হন। তিনি ১৫ সফর ১৪৩১ হি. মোতাবেক ৩০/১/২০১০ সালে রিয়াদ নগরীতে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
- বাংলা
তিনি হলেন শাইখ আব্দুল মতীন ইবন আবদুর রহমান ইবন কলীমুদ্দীন ইবন হাফিজুল্লাহ্, আবু মুতী আস-সালাফী। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলার পালাপাথর? গ্রামে তিনি ১লা জানুয়ারি ১৯৫৪ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন লাভ করেন। অতঃপর সৌদি আরবের ওয়াক্ফ, দাওয়াহ, পথনির্দেশ ও ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে দা‘ঈ হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলাদেশে ও অন্যত্র শিক্ষা ও দাওয়াহ বিস্তারে ভূমিকা রেখেছে। আল্লাহ্র পথে দাওয়াত, তাওহীদেরে প্রসার এবং শির্ক ও বিদ‘আতের প্রতিরোধে তার অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বাংলা ও উর্দু গ্রন্থ রচনা করেন এবং আরবি থেকে বাংলায় বেশ কিছু উপকারী গ্রন্থের অনুবাদ করেন। তার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের অন্যতম হচ্ছেন: ১. তার পিতা শাইখ আব্দুর রহমান ইব্ন কলীমুদ্দীন রহ. ২. শাইখ হাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ আল-আনসারী রহ. ৩. শাইখ আব্দুল মুহসিন ইবন হামাদ আল-আব্বাদ। ৪. শাইখ আব্দুল কাদের শাইবাতুল হামদ। প্রমুখ। তিনি ১৪৩১ হিজরীর ১লা সফর মারা যান। আল্লাহ্ তাকে রহমত করুন।
- বাংলা
- বাংলা
- বাংলা
আব্দুল মুহসিন ইবন আব্দুল আযীয আল-‘আসকার : রিয়াদে ১৩৮৬ হিজরিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেন ও পড়াশোনা করেন। তিনি ১৪০৮ হিজরিতে রিয়াদের ইমাম মুহাম্মাদ ইবন সাউদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা অনুষদের গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেন। অতঃপর একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা অনুষদের বালাগাত বিভাগে শিক্ষকতায় যোগ দেন। পরবর্তীতে একই বিভাগ থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
- বাংলা
- বাংলা
- বাংলা
- বাংলা
- বাংলা
- বাংলা
- বাংলা
- বাংলা
- বাংলা
তিনি আবদুর রহীম ইবনুল হুসাইন ইবন আবদুর রহমান, যিনি হাফেয আল-ইরাকী নামে খ্যাত। ৭২৫ হি.তে জন্ম নেন। তিন বছর বয়সে তার পিতার মৃত্যু হয়। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় তিনি দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হন। তিনি তার পিতার উস্তাদ শাইখ তাকীউদ্দীনের কাছে যেতেন এবং তার কাছ থেকে জ্ঞান আহরন করতেন। তিনি আট বছর বয়সেই কুরআন হেফয করেন। তারপর বিভিন্ন জ্ঞান জগতে পরিব্রজন করেন। প্রথমেই কিরাআত ও আরবী ভাষার উপর পাণ্ডিত্য অর্জন করেন। কখনও কখনও তিনি একদিনে চারশত লাইনও মুখস্ত করতেন, আর এতেই নিমগ্ন থাকতেন। তখন তাকে প্রধান বিচারপতি ইযযুদ দ্বীন ইবন জামা‘আহ বলেন, এ বিদ্যায় কষ্ট বেশী তবে উপকারিতা কম। তোমার রয়েছে প্রচণ্ড মেধা, তুমি এটাকে অন্য দিকে প্রবাহিত কর। তিনি তাকে ইলমে হাদীসের প্রতি ইঙ্গিত করলেন; ফলে তিনি হাদীসের প্রতি মনোযোগী হলেন, এবং তৎকালীন অনেক মুহাদ্দিসের কাছ থেকে হাদীস গ্রহণ করেন। তিনি ইলমুল হাদীসকে খুব ভালোবেসেছিলেন, এতেই তার অধিকাংশ সময় ব্যক্ত করতেন, শেষপর্যন্ত এ বিষয়েই তিনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। তার যুগে সবাই তার স্বীকৃতি দিত, যেমন সুবুকী, আলা‘য়ী, ইযযুদ্দীন ইবন জামা‘আহ, ইবন কাসীর, ইসনাওয়ী, তারা সবাই তার প্রশংসা করতেন। তিনি বিভিন্ন ভাষায় পারদর্শী ছিলেন, কিরাআত, ফিকহ ও উসুল, নাহূ, ভাষা, ইত্যাদি। তার সম্পর্কে কাযী ইবন জামা‘আহ বলেন, তিনি ব্যতীত মিসরে যারাই মুহাদ্দিস হবার দাবী করবে, তার সে কথা দাবীই সার। ইবন জামা‘আহ নিজেও তার কাছ থেকে বুঝে নিতেন। তার লেখা গ্রন্থের মধ্যে বিখ্যাত হচ্ছে, ইখবারুল আহইয়াহ বি আখবারিল এহইয়াহ, চার খন্ডে। (আবু হামেদ আল-গাযালীর এহইয়াউ উলূমিদ্দিন এর হাদীসসমূহের তাখরীজ)। আল-কাসফুল মুবীন আন তাখরীজে এহইয়াউ উলূমিদ্দিন। তাকরীবুল আসানীদ ফী তারতীবিল মাসানীদ। এটি আহকামের হাদীস সম্বলিত। তাছাড়া তিনি হাদীসের জ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ ‘আত-তাবসেরাহ ওয়াত তাযকেরাহ’ও রচনা করেন। যাকে আলফিয়াহও বলা হয়। আত-তাকয়ীদ ওয়াল ঈদ্বাহ, যা ইবনুস সালাহের লেখা ইলমে হাদীসের গ্রন্থের ব্যাখ্যা। তাছাড়া আরও নাসিরুদ্দীন আল-বায়দ্বাভীর উসুলী গ্রন্থ আল-মিনহাজ এর ব্যাখ্যা গ্রন্থ আন-নুজুমুল ওয়াহহাজ ও লিখেন। তাছাড়া মুরসাল হাদীসের উপর একহাজার কবিতার একটি গ্রন্থ লিখেন, যার নাম আদ-দুরারুস সানিয়্যাহ। তিনি ৮০৬ হি. সনে ৮১ বছর বয়সে মারা যান। তার জানাযা ছিল বিখ্যাত জানাযা।
- বাংলা
* নাম: আল-হুসাইনী আস-সাইয়্যেদ আলী আবদুলগনী আল-আযযাযী * নাগরিকত্ব: মিশরী * জন্ম তারিখ: ৫/১২/১৯৫৬ * শিক্ষাগত যোগ্যতা: ১- আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিরাআত এর উপর উচ্চতর ডিগ্রি লাভ, ১৯৮৬-১৯৮৭ ২- সনদ সহ শাতেবিয়া ও দুররার পদ্ধতিদ্বয়ে কিরাআতে সনদ লাভ। ৩- ইমাম হাফস, তার উস্তাদ থেকে (আত-তাওয়াসসুত ফীল মুনফাসেল) এর শাতেবিয়্যা এর নিয়মানুসারে যে কিরাআত রয়েছে, সেটার সনদ লাভ। ৪-ইমাম হাফস, তার উস্তাদ থেকে (আল-কাসর ফীল মুনফাসেল) এর তাইবা এর নিয়মানুসারে যে কিরাআত রয়েছে, সেটার সনদ লাভ। * গুরুত্বপূর্ণ যে সকল কাজ তিনি করেছেন: ১- শিশুদের জন্য বারবার উচ্চারণ করে পূর্ণ কুরআনের অডিও সম্পন্ন করা। ২- ‘তাওয়াসসুত ফিল মুনফাসেল’ এর মাধ্যমে পূর্ণ কুরআনের অডিও সম্পন্ন করা। ৩- ইমাম ওয়ারশ তার উস্তাদ নাফে‘ থেকে যে বর্ণনা করেছেন সেটা অনুসারে পূর্ণ কুরআনের অডিও সম্পন্ন করেন, যা মুতাওয়াতির বর্ণনায় জনপ্রিয় আল-মাজদ চ্যানেলে প্রচারিত হয়। ৪- কিভাবে কুরআন পাঠ শিক্ষা দিতে হবে, সে ব্যাপারে একটি কুরআনের মুসহাফ তৈরী করণ। ৫- ছাত্রদের মধ্যে তিলাওয়াতে বিধি-বিধানে সিডি পেশ করেছি, যাতে তাজভীদের বিধান বর্ণিত হয়েছে।
- বাংলা
কারী খলীফা মুসবিহ আহমাদ আত-তুনাইজী, তের বছর বয়সে আল-যাইদ তাহফিযুল কুরআনিল কারীম সেন্টারে কুরআন হেফয শেষ করেন। শাইখ গোলাম হুসাইন থেকে অনুমতি প্রাপ্ত হন। মদীনাতে শাইখ ইবরাহীম আল-আখদার শাইখুল কুররা এর কাছে পড়ালেখা করেন। তিনি তাকে হাফস আন আসেম এর বর্ণনার অনুমতি প্রদান করেন। তিনি নাফে‘ এর কেরাআতকে তার দুই বর্ণনাকারী ওয়ারশ ও কালূন এর বর্ণনা অনুসারে শাইখ মুহাম্মাদ ইসাম আল-কুদাতের কাছে পড়েন এবং তিনি তাকে পঠন পাঠনের অনুমতি প্রদান করেন। কর্মজীবন: * সংযুক্ত আরব আমিরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। * বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা ইমারাতের অধিন সাধারণ চাকুরীপ্রদান বিভাগে প্রধান হিসেবে চাকুরীরত আছেন। * সারজায় কুরআনুল কারীম ও সুন্নাহ ইনষ্টিটিউট এর পরিচালকবৃন্দের সদস্য। যেখানে প্রায় ৯০০০ ছাত্র-ছাত্রী কুরআন পাঠ করে।
- বাংলা
- বাংলা
- বাংলা
