ষাটজন মিসকিনকে এক সাথে খাদ্য দান কি জরুরী? নিজ পরিবারভুক্তদের কাফ্ফারার খাদ্য দেয়া যাবে কি?
মুফতিবৃন্দ : ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি - আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া - সানাউল্লাহ নজির আহমদ
অনুবাদ: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা: আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
প্রকাশক: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
বর্ণনা
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন রমজানে ইফতার করেছি, এখন ৬০ জন মিসকিনকে খাদ্য দান করতে চাই। প্রশ্ন : এক সাথে দান করা জরুরী, না প্রতিদিন ৪ বা ৩ জন মিসকিন খাওয়ানোর সুযোগ রয়েছে, আমার পরিবারভুক্ত কেউ যদি গরিব হয়, তাদেরকে খাদ্য দান কি বৈধ হবে? যেমন আমার মা ও ভাই বোন?
- 1
ষাটজন মিসকিনকে এক সাথে খাদ্য দান কি জরুরী? নিজ পরিবারভুক্তদের কাফ্ফারার খাদ্য দেয়া যাবে কি
PDF 435.6 KB 2019-05-02
- 2
ষাটজন মিসকিনকে এক সাথে খাদ্য দান কি জরুরী? নিজ পরিবারভুক্তদের কাফ্ফারার খাদ্য দেয়া যাবে কি
DOCX 4.7 MB 2019-05-02
সম্পূর্ণ বিবরণ
ষাটজন মিসকীনকে এক সাথে খাদ্য দান কি জরুরি? নিজ পরিবারভুক্তদের কাফফারার খাদ্য দেওয়া যাবে কি?
هل يجب أن يطعم ستين مسكينًا دفعة واحدة؟ وهل يطعم أهله من الكفارة؟
< بنغالي- Bengal - বাঙালি>
ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি
فتاوى اللجنة الدائمة
অনুবাদক: সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদক: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া
ترجمة: ثناء الله نذير أحمد
مراجعة: د/ أبو بكر محمد زكريا
ষাটজন মিসকীনকে এক সাথে খাদ্য দান কি জরুরী? নিজ পরিবারভুক্তদের কাফফারার খাদ্য দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন: আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো রমযানে সাওম ভঙ্গ করেছি, এখন ষাটজন মিসকীনকে খাদ্য দান করতে চাই। প্রশ্ন: এক সাথে দান করা জরুরি, না প্রতিদিন ৩/৪ জন মিসকীন খাওয়ানোর সুযোগ রয়েছে। আমার পরিবারভুক্ত কেউ যদি গরীব হয়, তাদেরকে খাদ্য দান কি বৈধ হবে? যেমন আমার মা ও ভাই বোন?
উত্তর: আল-হামদুলিল্ললাহ
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সহবাস ব্যতীত অন্য কোনো কারণে রমযানে ইফতার করলে কাফফারা ওয়াজিব হয় না; বরং জরুরি হচ্ছে তাওবা করা ও যেদিন ইফতার হয়েছে, তার কাযা করা। আর যদি সহবাসের কারণে ইফতার হয়, তবে তাতে তাওবা এবং কাযা উভয় জরুরি। কাফফারা হচ্ছে একজন মুমিন গোলাম আযাদ করা। যদি তাতে অক্ষম হয়, লাগাতার দু'মাস সিয়াম পালন করা, যদি তাতে অক্ষম হয় তবে ষাটজন মিসকীনকে খাদ্য দান করা।
যদি গোলাম আযাদ বা লাগাতার ষাটটি সিয়াম পালন করতে অক্ষম হয়, তখন ষাটজন মিসকীনকে এক সাথে খাদ্য দান করা যাবে, আবার সাধ্যমত কয়েক ধাপেও খাদ্য দান করা যাবে, তবে ষাটের সংখ্যা পূর্ণ করা জরুরি। উর্ধ্বতন কিংবা অধস্তন নিজ বংশের কাউকে তা প্রদান করা বৈধ নয়। উর্ধ্বতন যেমন, পিতা-মাতা, দাদা-দাদী। অধস্তন যেমন, নিজ সন্তান, সন্তানের সন্তান পুরুষ কিংবা নারী।
সূত্র:
ফতোয়া লাজনায়ে দায়েমা
শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায
শাইখ সালেহ আল-ফাওযান
শাইখ আব্দুল আযীয আলে শাইখ
শাইখ আবু বকর আবু যায়েদ
ফতোয়া লাজনায়ে দায়েমা: দ্বিতীয় ভলিউম (৯/২২১)
বিষয়ভিত্তিক ক্যাটাগরি: