উক্ত পোস্টারটিতে জাহান্নামের অগ্নি হতে মুক্তি অর্জনের জন্য রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি যোহরের (ফরয সালাতের) পূর্বে চার রাকাত এবং পরে চার রাকাত সালাত নিয়মিত যত্নসহ আদায় করবে, সে ব্যক্তি জাহান্নামের জন্য হারাম হয়ে যাবে।
উক্ত পোস্টারটিতে তাকবীরে তাহরীমার মর্যাদা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি একনিষ্টতার বজায় রেখে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ৪০দিন জামা‘আতের সাথে ১ম তাকবীরের (তাকবীরে তাহরীমাহ) সাথে সালাত আদায় করবে, সে ব্যক্তি দু’টি বিষয় থেকে মুক্তি পাবে। একটি হচ্ছে জাহান্নামের অগ্নি থেকে মুক্তি আর অন্যটি হচ্ছে মুনাফেকী থেকে মুক্তি।
কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব নেওয়া হবে। সালাত যদি ভালো হয় তাহলে সে কৃতকার্য, আর না হয় সে অকৃতকার্য হবে ও ধ্বংস হবে। পোস্টারটিতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে সালাত সংক্রান্ত একটি হাদীস উল্লেখ করা হয়েছে।
আমরা অনেকেই মনে করি যে, যার অর্থ-সম্পদ, যশ-খ্যাতি ইত্যাদি নেই সে-ই প্রকৃতপক্ষে নিঃস্ব অথচ হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী উম্মতের মধ্যে সে-ই প্রকৃত নিঃস্ব যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সালাত, সিয়াম, যাকাত ইত্যাদি নিয়ে উপস্থিত হবে অথচ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। উক্ত পোস্টারটিতে এ হাদীসটি-ই আলোচনা করা হয়েছে।