যেভাবে স্বাগত জানাব মাহে রমজানকে: রমজান বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ, যাতে রয়েছে রমজানের ফজিলত ও রোজার হাকীকত-মাহাত্ম্য সম্পর্কে আলোচনা। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান অবস্থা ও তা থেকে নিষ্কৃতির পথ ও পদ্ধতির বর্ণনা। রমজানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উসওয়া-আদর্শের উপরেও আলোকপাত করা হয়েছে।
নেতৃত্ব এক মহান দায়িত্ব। যে ব্যক্তির ঘাড়ে এ দায়িত্ব বর্তাবে অবশ্যই তাকে নেতৃত্বের শর্ত পূরণ করে প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, যাপন করতে হবে প্রতিটি ক্ষণ আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে। কেননা কেয়ামতের ময়দানে তাকে এ দায়িত্ব বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হতে হবে।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে নবজাতকের কিছু আহকাম বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেমন শিশুর জন্মকে সুসংবাদ হিসেবে নেয়া, খেজুর চিবিয়ে শিশুর চোয়ালে ঘর্ষণ করা, শিশুর মাথার চুল মণ্ডন করা এবং চুলের ওজনে রূপা সদকা করা, শিশুর সুন্দর নাম রাখা ইত্যাদি।
আল্লাহ তাআলা কর্তৃক পৃথিবীবক্ষে প্রতিস্থাপিত পরিবেশ খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, বৃক্ষ-লতা, কীট-পতঙ্গ পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের সুনিপুন ভারসাম্য রক্ষায় পালন করে যাচ্ছে নিরবাচ্ছিন্ন ভূমিকা। আল কুরআন পৃথিবীর এ পরিবেশকে অক্ষণ্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছে, এবং এতে যেকোনো প্রকার বিপর্যয় সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে স্পষ্ট ভাষায়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধ এ বিষয়টির উপরই আলোকপাত করেছে।
ইসলামী অর্থনীতিবিদগণের মতে শুধু বস্তুগত কল্যাণ ইসলামী অর্থনীতির উদ্দেশ্য নয়। সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক কল্যাণ সাধন করা ইসলামী অর্থনীতির অন্যতম লক্ষ্য। বক্ষ্যমান প্রবন্ধে এ বিষয়ের ওপরই আলোকপাত করা হয়েছে।
ইলম অর্জন, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা লাভ, ইহ ও পরকালীন কল্যাণের পথ পথান্তর বিষয়ে স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা অর্জন শিশুর একটি মৌলিক অধিকার। এ অধিকার প্রদানে, এ বিষয়ে শিশুর যথাযথ পরিচর্যায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্থাপন করেছেন সর্বোচ্চ আদর্শ। আমাদের সালাফে সালেহীনগণও এক্ষেত্রে রেখেছেন উজ্জ্বল উদাহরণ। বর্তমান প্রবন্ধে এ বিষয়টির ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
মাতা-পিতার হাত ধরেই সন্তান প্রবেশ করে কোলাহলময় পৃথিবীতে, গাত্রে লাগায় ইহজাগতিক আলো-বাতাস। মাতা-পিতার কাছ থেকেই শেখে প্রথম শব্দমালা। তাই মাতা-পিতার স্কন্ধেই অর্পিত সন্তানকে যথার্থরূপে মর্দে মুমিন তথা মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তোলার দায়িত্ব। বর্তমান প্রবন্ধে এ বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
ইসলামি শরিয়ত নারীকে দিয়েছে মহান এক দায়িত্ব। আর তা হল ছেলে-সন্তান দীক্ষিত করা ও সৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা, যারা সঠিক অর্থে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করবে, আল্লাহর মর্জি মোতাবেক পৃথিবীকে নির্মাণ করবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টির উপরই আলোকপাত করা হয়েছে। সাথে সাথে পুরুষদের মাঝে কর্মরত নারীকে আহ্বান করা হয়েছে যাতে সে শরিয়ত-নির্ধারিত সীমানায় ফিরে আসে এবং ইসলামের দাবি অনুযায়ী তার যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যায়।
মানুষ এমন এক সৃষ্টি যার মাঝে ঘটেছে বৈপরিত্যের বিপুল সমাহার। একই সঙ্গে সে প্রখর মেধা, তীক্ষ্ন জ্ঞান, নব সৃজন, নয়া উদ্ভাবন ও নিজেকে নিয়ে চিন্তা করার মতো শক্তির অধিকারী। তেমনি সে রূপকথা ও কল্পকাহিনী নির্মাণ এবং তার যথেচ্ছ ব্যবহারেও সক্ষম। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টির উপরই আলোকপাত করা হয়েছে।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে উৎসাহ যোগায়, উদ্দীপনা দেয়, সামনে এগুতে সাহস যোগায়, যা মানুষকে উপকার করে তা অর্জন করতে শেখায়, ধৈর্য ধারনে উৎসাহ দেয়, মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা ও আবিস্কারের মানসিকতা সৃষ্টি করে, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, অন্যকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহর সতকীকরণ- ধরন-ধারণে, আকার-প্রকৃতিতে- বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে আপতিত হয়। কখনো ব্যাপক বিধংসী ঘূর্ণিঝড়ের আকৃতিতে, কখনো নির্বাধ-দুর্দমনীয় বন্যার আকারে, কখনো বা যুদ্ধের আকারে, কখনো প্রচণ্ড ভূমিকম্পের আকারে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করে থাকেন। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টি নিয়েই সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান শূকরের গোশতের বহু ক্ষতিকারক দিক উন্মোচিত করেছে। অঙ্গলি নির্দেশ করে দেখিয়ে দিয়েছে কী কারণে শূকরের গোশত বর্জন করা আবশ্যক। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টিকেই আলাচোনায় আনা হয়েছে বোধগম্য ভাষায়।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্থে খ্যদ্য ও পানীয় বিষয়ে ইসলামের বিধি-বিধান সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। প্রবন্ধটি খ্যাতনামা ফকীহ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম ইবন আব্দুল্লাহ আত-তুইজিরী কর্তৃক প্রণীত মুখতাসারুল ফিকহ আল-ইসলামী গ্রন্থ থেকে উত্কলিত।
জান্নাতের পথে : বইটিতে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার বিভিন্ন আমলের ব্যাখ্যা ও তার ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে।আল্লাহর অপার রহমত ও ক্ষমা প্রাপ্তি এবং জান্নাতের বিভিন্ন নেয়ামত প্রসঙ্গেও বইটিতে আলোচনা রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কেন মানুষকে সৃষ্টি করলেন? এ জন্য যে তারা পশুর মত খাওয়া-দাওয়া করবে? না তাদের জীবনের কোন লক্ষ-উদ্দেশ্য আছে? এ প্রবন্ধে বস্তুবাদী জীবন-দর্শনের অসারতা তুলে ধরা হয়েছে।
দ্বাদশ-ইমামী শিয়া ধর্মের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট রূপরেখা: শিয়া-সুন্নী ঐক্যের যে দাওয়াত দেখা যাচ্ছে, তা গ্রন্থকার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে তা অসম্ভবতা ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি তাদের গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি নিয়েছেন যে, তারা মূলত: ঐক্য চায় না, বরং তারা চায় তাদের মতামত প্রচার ও প্রসার করতে। কারণ, যারা শিয়া মাযহাব রচনা করেছে তারা ঐক্যের কোন সুযোগ সেখানে অবশিষ্ট রাখে নি।