ইসলামি শরিয়ত নারীকে দিয়েছে মহান এক দায়িত্ব। আর তা হল ছেলে-সন্তান দীক্ষিত করা ও সৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা, যারা সঠিক অর্থে আল্লাহ তাআলার ইবাদত করবে, আল্লাহর মর্জি মোতাবেক পৃথিবীকে নির্মাণ করবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টির উপরই আলোকপাত করা হয়েছে। সাথে সাথে পুরুষদের মাঝে কর্মরত নারীকে আহ্বান করা হয়েছে যাতে সে শরিয়ত-নির্ধারিত সীমানায় ফিরে আসে এবং ইসলামের দাবি অনুযায়ী তার যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যায়।
মানুষ এমন এক সৃষ্টি যার মাঝে ঘটেছে বৈপরিত্যের বিপুল সমাহার। একই সঙ্গে সে প্রখর মেধা, তীক্ষ্ন জ্ঞান, নব সৃজন, নয়া উদ্ভাবন ও নিজেকে নিয়ে চিন্তা করার মতো শক্তির অধিকারী। তেমনি সে রূপকথা ও কল্পকাহিনী নির্মাণ এবং তার যথেচ্ছ ব্যবহারেও সক্ষম। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টির উপরই আলোকপাত করা হয়েছে।
ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষকে উৎসাহ যোগায়, উদ্দীপনা দেয়, সামনে এগুতে সাহস যোগায়, যা মানুষকে উপকার করে তা অর্জন করতে শেখায়, ধৈর্য ধারনে উৎসাহ দেয়, মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতা ও আবিস্কারের মানসিকতা সৃষ্টি করে, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, অন্যকে ভালোবাসতে উদ্বুদ্ধ করে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহর সতকীকরণ- ধরন-ধারণে, আকার-প্রকৃতিতে- বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে আপতিত হয়। কখনো ব্যাপক বিধংসী ঘূর্ণিঝড়ের আকৃতিতে, কখনো নির্বাধ-দুর্দমনীয় বন্যার আকারে, কখনো বা যুদ্ধের আকারে, কখনো প্রচণ্ড ভূমিকম্পের আকারে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করে থাকেন। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টি নিয়েই সংক্ষেপে আলোচনা করা হয়েছে।
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান শূকরের গোশতের বহু ক্ষতিকারক দিক উন্মোচিত করেছে। অঙ্গলি নির্দেশ করে দেখিয়ে দিয়েছে কী কারণে শূকরের গোশত বর্জন করা আবশ্যক। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টিকেই আলাচোনায় আনা হয়েছে বোধগম্য ভাষায়।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্থে খ্যদ্য ও পানীয় বিষয়ে ইসলামের বিধি-বিধান সবিস্তারে আলোচনা করা হয়েছে। প্রবন্ধটি খ্যাতনামা ফকীহ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম ইবন আব্দুল্লাহ আত-তুইজিরী কর্তৃক প্রণীত মুখতাসারুল ফিকহ আল-ইসলামী গ্রন্থ থেকে উত্কলিত।
জান্নাতের পথে : বইটিতে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার বিভিন্ন আমলের ব্যাখ্যা ও তার ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে।আল্লাহর অপার রহমত ও ক্ষমা প্রাপ্তি এবং জান্নাতের বিভিন্ন নেয়ামত প্রসঙ্গেও বইটিতে আলোচনা রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা কেন মানুষকে সৃষ্টি করলেন? এ জন্য যে তারা পশুর মত খাওয়া-দাওয়া করবে? না তাদের জীবনের কোন লক্ষ-উদ্দেশ্য আছে? এ প্রবন্ধে বস্তুবাদী জীবন-দর্শনের অসারতা তুলে ধরা হয়েছে।
দ্বাদশ-ইমামী শিয়া ধর্মের মূলনীতিসমূহের সুস্পষ্ট রূপরেখা: শিয়া-সুন্নী ঐক্যের যে দাওয়াত দেখা যাচ্ছে, তা গ্রন্থকার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে তা অসম্ভবতা ফুটিয়ে তুলেছেন। তিনি তাদের গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি নিয়েছেন যে, তারা মূলত: ঐক্য চায় না, বরং তারা চায় তাদের মতামত প্রচার ও প্রসার করতে। কারণ, যারা শিয়া মাযহাব রচনা করেছে তারা ঐক্যের কোন সুযোগ সেখানে অবশিষ্ট রাখে নি।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে প্রাচ্যবিদ্যা পরিভাষাটি যথার্থভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যাতে স্থান পেয়েছে খ্যাতনামা মুসলিম চিন্তাবিদদের দীর্ঘ গবেষণার ফলাফল ও বস্তুনিষ্ঠ মন্তব্য।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওহাব আত-তামীমী রহ. এর একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা, যাতে জাহেলী যুগের এমন ১০০ টি মাসায়েল উল্লেখ করা হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেগুলোর বিরোধিতা করেছেন।
আল্লাহর বান্দাদের ওপর যতগুলো অনুগ্রহ আছে তার মাঝে অন্যতম প্রধান অনুগ্রহ হলো পানাহার। মানুষের শরীর গঠন, বর্দ্ধন ও টিকে থাকার মূল উপাদান হচ্ছে পানাহার। এ নি‘আমতের দাবি হলো এর দাতার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। পানাহারের অনেকগুলো আদব ও বিধান রয়েছে বক্ষমান প্রবন্ধে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
পুরোনো বছর চলে যায়, আসে নতুন বছর। আল্লাহর বিধিত নিয়ম। ইয়াহূদী-নাসারাসহ অনেক অমুসলিম নববর্ষ উদযাপন করে। তাদের দেখে বহু মুসলিম নববর্ষ উদযাপন করে এ দিনে আনন্দ-ফুর্তিতে মেতে উঠে। হিজরী সাল হলো মুসলিম উম্মাহর সন। হিজরী সালের আগমনে আমাদের কী করা উচিৎ? নাকি কোনো কিছু করার বিধান নেই ইসলামী শরী‘আতে? এ বিষয় বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করা হয়েছে এ প্রবেন্ধ।
আমাদের বর্তমান প্রকাশনাটি নারীর হজ ও উমরা বিষয়ে একটি মৌলিক গ্রন্থ। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য বিধানাবলি বিশদভাবে বর্ণনার পাশাপাশি নারীর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য কিছু বিধানের অনুপুঙ্খ বর্ণনা স্থান পেয়েছে গ্রন্থটিতে। হজ পালনের পূর্বে এ গ্রন্থটির অধ্যয়ন বাংলা ভাষাভাষী নারী হজ পালনকারীদের ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক বলে মনে করি।