এটি আল-কুরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসীরের প্রথম অংশ। সরল ও সাবলীল বাংলায় অনুবাদসহ বিভিন্ন আয়াতের মৌলিক শিক্ষণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত এ তাফসীরে। অনুবাদের ক্ষেত্রে আল-বায়ান ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত আল-কুরআনের সরল অর্থানুবাদ-এর আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। বক্ষ্যমান প্রবন্ধে সূরা আল-বাকারা-এর ১নং আয়াত থেকে ২০নং আয়াত পর্যন্ত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
ইসলাম ব্যক্তি ও সমাজের জন্য নিয়ে এসেছে সনুন্দরতম দিকনির্দেশনা, যা ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি অর্জনের একমাত্র পাথেয়। প্রবন্ধটি এবিষয়কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত।
মাহে রমজানের বিদায় সম্পর্কিত কিছু ভাবনা স্থান পেয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে। রমজান থেকে আমরা কি পেলাম, যে ব্যক্তি মাহে রমজানের শিক্ষা ভুলে গেল সে অই নারীর মতো হয়ে গেল যে দিবস শেষে তার বুননকৃত সুতো খুলে ফেলল, এ বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে। ঈদের কিছু আহকামও স্থান পেয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে।
এ প্রবন্ধে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন যে, সেই ব্যক্তি বুদ্ধিমান নয় যে রমযান মাস চলে গেলে ইবাদাত ছেড়ে দেয় এবং পাপের পথে ফিরে যায়। বরং বুদ্ধিমান হল সেই ব্যক্তি যে তার নিকট মৃত্যু আসা পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদাত করে।
এ প্রবন্ধে লিখক আল্লাহর সৃষ্টির অনুপম সৌকর্ষের নানা দিক তুলে ধরেছেন। সৃষ্টি যার এত সুন্দর সেই স্রষ্টা ও তার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করে মহা সত্যে উপনীত হওয়ার প্রতি তিনি উদ্বুদ্ধ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা কেন মানুষকে সৃষ্টি করলেন? এ জন্য যে তারা পশুর মত খাওয়া-দাওয়া করবে? না তাদের জীবনের কোন লক্ষ-উদ্দেশ্য আছে? এ প্রবন্ধে বস্তুবাদী জীবন-দর্শনের অসারতা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিটি গুনাহের কিছু উপকরণ রয়েছে যা মানুষকে তাতে লিপ্ত হওয়ার প্রতি আহবান করে। গুনাহ থেকে পরহেয থাকার জন্যে সে উপকরণসমূহ সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবন্ধে বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে।
রজব মাস সম্পর্কে জ্ঞাতব্য : বিভিন্ন সময় ও মাসকে কেন্দ্র করে এবাদত কেন্দ্রিক যে সমস্ত অপসংস্কার ও বেদআত গড়ে উঠেছে- রজব মাস, তাতে নানাবিধ এবাদত পালন, রোজা রাখা, রাত জাগা, সামাজিকভাবে উদযাপনের আয়োজন করা তার অন্যতম। শরিয়তের সুস্থ বিচারে এ ব্যাপারে আমরা কোন প্রকার দলীল পাই না। বিষয়টি নিয়ে কুরআন ও হাদিস দ্বারা একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এটি। পাঠক খুবই মুগ্ধ হবেন আশা করি।
এ প্রবন্ধে লিখক শবে বরাত তথা শা’বান মাসের ১৫ তারিখের ইবাদাত অনুষ্ঠান পালন করার বিষয়টি আল-কুরআন, সুন্নাহ ও সালাফের জীবন চরিতের আলোকে তুলে ধরেছেন। শবে বরাত পালন বিদ’আত বলেই তার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে।