বইটি উম্মুল কুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের দাওয়া ও উসুলুদ্দীন ফ্যাকাল্টি কর্তৃক সংকলিত। বইটিতে পবিত্র মক্কায় অবস্থিত মাশায়েরসমূহের পরিচিতি ও ইতিহাস, সেখানে গমনকারীর করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা স্থান পেয়েছে। সাথে সাথে এ বিষয়ে প্রচলিত কুসংস্কার- ভুলত্রুটি সম্পর্কেও দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যথার্থভাবে। বইটি সাধারনভাবে সকল মানুষ, ও বিশেষভাবে হজ পালনকারীদের উপকারে আসবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা, এখানে লেখক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ তুলে ধরেছেন। একটি আদর্শ ও সুন্দর সমাজ গঠন করতে হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। কেননা তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, নানা, মুরব্বী, মুনীব ও আদর্শ স্বামী। অত্র গ্রন্থে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আদর্শ তুলে ধরা হয়েছে।
লেখক বলেন, সাহাবীগণ এখন কবরে, স্বীয় রবের প্রতিদান ভোগ করছেন। তাদের সম্পর্কে গোস্বা প্রকাশ, হিংসার বীজ বপন ও তাদের সম্মান নষ্ট করে কাফিরদের অনুসারী মুনাফিক বা যিন্দিক ব্যতীত কেউ প্রশান্তি পেতে পারে না। তাদের প্রতিবাদ করার উদ্দেশ্যেই সাহাবীগণকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পুস্তিকা লিখছি, যেন আমার ওপর থাকা তাদের হক কিছুটা হলেও আদায় হয় এবং উম্মত তার সঠিক নির্দেশনা খুঁজে পায়... ... আমার আরেক উদ্দেশ্য, ভুলে যাওয়া মুসলিমদেরকে সাহাবীগণের মর্যাদা স্মরণ করানো ও তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের রাগিয়ে তোলা।
এটি জুম‘আর দিনের আহকাম সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ বই। বইটিতে সংক্ষেপে জুম‘আর দিনের ফযিলত, জুম‘আর সালাতের ফযিলত, জুম‘আর দিনের করনীয়, বর্জনীয়, জুম‘আর সালাতের বিধান এবং আদব সমূহ সংক্ষেপে কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে আলোচনা করা হয়েছে।
তাওবা কাকে বলে, তাওবার গুরুত্ব, তাওবা করার প্রদ্ধতি, তাওবা কবুল হওয়ার শর্ত, তাওবার প্রতিবন্ধকতা, তাওবা কবুল হওয়ার আলামত ইত্যাদি বিষয়গুলো এ বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে
মসজিদ বিষয়ে এটি একটি সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকা, যাতে দলীল প্রমাণ সহকারে মসজিদের অর্থ, মসজিদ বানানোর ফযিলত, মসজিদের বিধান, মর্যাদা ও মসজিদে গমনের সাওয়াব ইত্যাদি আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়াও এখানে মসজিদের আদব, মসজিদের বিধান, মসজিদের মধ্যে তা’লীমের হালাকা কায়েম করার ফযিলত ইত্যাদি দলীল প্রমাণ সহকারে আলোচনা করা হয়েছে।
সাহাবীদের পেয়েছি, কিন্তু আহলে বাইতকে হারাই নি: এ পুস্তিকায় লেখক নিজের শিয়া জগত থেকে প্রকৃত ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা উন্নত ও সন্তোষজনক পদ্ধতিতে উপস্থাপন করেছেন।
ইসলামী আইন না মানার বিধান: গ্রন্থটিতে লেখক ইসলামী আইন না মানার বিধান বর্ণনা করেছেন। তারপর না মানার কারণে কি কি সমস্যা হয় তাও উল্লেখ করেছেন। সাথে সাথে তিনি সে সমস্ত প্রশ্নের উত্তরও প্রদান করেছেন ইসলামী আইন সম্পর্কে যা কোন কোন মানুষের মনে দানা বেঁধে আছে। তিনি দলীল ও যৌক্তিকতা তুলে ধরে সে সমস্ত সন্দেহ দূর করার চেষ্টা করেছেন।
কীভাবে আপনি জান্নাত লাভ করবেন? প্রবন্ধটিতে কিভাবে জান্নাতে যাওয়া যাবে তা বিবৃত হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারীমে জান্নাতে যাওয়ার অনেক পথ ও পন্থা বাতলে দিয়েছেন, অনুরূপভাবে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাঁর হাদীসে জান্নাতে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন, এ গ্রন্থে সে সব সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু মূল্যবান পুস্তক। প্রতিটি মানুষের উপর যা জানা একান্ত কর্তব্য, যা না জানলেই নয়, সেসব মূলনীতি এতে উপস্থাপিত হয়েছে। এ-পুস্তকে বর্ণিত মূলনীতিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: বান্দার জন্য তার রব সম্পর্ক জ্ঞান; তার রব তাকে কী রকম ইবাদাত পালনের নির্দেশ দিয়েছেন- সে জ্ঞান; দীন সম্পর্কে জ্ঞান; লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ এর শর্তাবলি; ইসলাম বিনষ্টকারী বেশ কিছু বিষয়াবলি; তাওহীদ ও এর প্রকারভেদ; তাওহীদের বিপরীতে শির্ক ও এর প্রকারভেদ ইত্যাদি।