এ ফতোয়ায় নিম্নের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে: আমি দু’টি কিতাবে পড়েছি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি, আল্লাহ তাকে স্বীয় নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন, এবং তার কারণে তিনি অন্যান্য মখলুক সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান পরিপক্ব নয়, অতএব আমাকে স্পষ্ট করে বলুন। শোকরান।
ফাতওয়াটি মদীনায় গমনকারীদের মারফতে রাসূল সালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সালাম পাঠানোর বিধান প্রসঙ্গে। প্রশ্নটি হলো: হাজীদের মধ্যে যারা মদীনায় গমন করে তাদের মারফতে রাসূল সালল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য সালাম প্রেরণের বিধান কী?
এটি রাজকীয় সৌদী আরবের ফতোয়া ও ইলমী গবেষণা বিভাগের স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা। যাতে ‘দক্ষিন আফ্রিকাস্থ আহলে কিতাব ইনস্টিটিউট’ নামক খ্রিষ্টান সংস্থার পক্ষ থেকে ইসলামের মূল ও সর্বশেষ দুর্গ আরব উপদ্বীপের বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চিঠির মাধ্যমে পেশকৃত শিক্ষা গ্রহণ পদ্ধতির প্রতিবাদ। যা বিনামূল্যে তারা মানুষের কাছে প্রেরণ করে থাকে এবং তাদের দাবী মোতাবেক তারা এর মাধ্যমে তাওরাত, যাবূর ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়ে থাকে। এ গ্রন্থে সেসবের বিরুদ্ধে মুসলিমের অবস্থান কেমন থাকা উচিত তা পরিস্কার করে বর্ণনা করা হয়েছে।
এ প্রবন্ধে ইসলামি রাজনীতি কী ও কীভাবে করা যাবে, কাফের দেশে কি ইসলামি রাজনীতি করা যাবে এসব প্রশ্নের উত্তর সৌদি আরবের ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটির কিছু ফতোয়ার আলোকে দেয়া হয়েছে।
কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের ‘ঈসালে সাওয়াব’ বা সাওয়াব পৌঁছানো সংশ্লিষ্ট তিনটি ফতোয়া: (১) জীবিত ব্যক্তির তিলাওয়াত বা ঈসালে সাওয়াব দ্বারা কি মৃত-ব্যক্তি উপকৃত হয় ? কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করতেন ? (২) তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা কি বৈধ ? বিনিময়দাতা কি এ জন্য গুনাহগার হবে ? (৩) কুরআন অথবা অন্যান্য ইবাদাতের সাওয়াব কি মৃতদের নিকট পৌঁছে?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন রমজানে ইফতার করেছি, এখন ৬০ জন মিসকিনকে খাদ্য দান করতে চাই। প্রশ্ন : এক সাথে দান করা জরুরী, না প্রতিদিন ৪ বা ৩ জন মিসকিন খাওয়ানোর সুযোগ রয়েছে, আমার পরিবারভুক্ত কেউ যদি গরিব হয়, তাদেরকে খাদ্য দান কি বৈধ হবে? যেমন আমার মা ও ভাই বোন?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল : আমার স্ত্রী মারা গেছেন এই চিঠি লেখার তারিখ থেকে দু’সাপ্তাহ পূর্বে। আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন। তার জিম্মায় গত রমজানের সাতটি কাজা রোজা ছিল, যা তিনি মাসিকের কারণে পালন করতে পারেনি। কাজা করার পূর্বেই তিনি মারা গেছেন। এখন আমি তার পক্ষ থেকে রোজ পালন করব কি না ? প্রকাশ থাকে যে আমার উপরও এক মাসের কাজা রোজা রয়েছে। আমি কি আমারগুলো আগে পালন করব, অতঃপর তার পক্ষ থেকে পালন করব ?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: জনৈক ব্যক্তি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত প্রায় ছিল। অতঃপর দীর্ঘ সময় পর সুস্থ হয়, যাতে পার হয়েছে রমজানও, সে তখন কিছুই জানত না। দীর্ঘ দিন পর আল্লাহ তাকে সুস্থতা দিয়েছেন, এখন সে পরিপূর্ণ সুস্থ। তার উপর কোন কোন সালাত ও সিয়াম কাজা করা ওয়াজিব?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল : আমার মা মারা গেছেন, তিনি তার জীবদ্দশায় আমাকে বলেছেন যে, তার জিম্মায় দু’বছরে দু’রমজানের কাজা রোজা রয়ে গেছে। যখন রমজান এসেছে, তখন তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। তিনি তার কাজা আদায় না করেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করব, না খাদ্য দান করব ? খাদ্য দান করার পদ্ধতি কি ? কিছু ছাগল যবেহ করে তা ষাট ঘরে বণ্টন করে দেব, না খাদ্য পরিমাণ নগদ অর্থ দেব?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: আমার পিতা মারা গেছেন। অসুস্থতার কারণে গত বছর তিনি রমজানের দু’টি রোজা পালন করতে পারেননি। তিনি মারা গেছেন শাউয়ালে। আমাদেরকে বলেছেন, তিনি এ দু’দিনের পরিবর্তে খাদ্য দান করবেন। তার ব্যাপারে এখন আমাদের করণীয় কি ? আমরা কি তার পক্ষ থেকে রোজা রাখব ও খাদ্য দান করব, অথবা শুধু খাদ্য দান করলেই চলবে ? উলে¬¬খ্য যে আমাদের জানা নেই, তিনি খাদ্য দান কিংবা রোজা পালন করেছেন কি না। তিনি ডায়াবেটিস আক্রান্ত ছিলেন, তবুও রমজানের সিয়াম পালন করতেন।
যে ব্যক্তি রমজান মাসে কষ্টসাধ্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তার জন্য রোজা ভঙ্গ করা কি বৈধ হবে? ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ-জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, যা হল নিম্নরূপ: এক ব্যক্তি কৃষিক্ষেত্রে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে । রোজা রাখা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এমতাবস্থায় তার জন্য কি রোজা ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি রয়েছে?
আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতের অনুসরনে রমজা মাসে ইতিকাফ করতে চাই। ইতিকাফের আহকাম ও শর্তসমূহ যদি বর্ণনা করতেন তবে খুব ভালো হত। এ জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন ইলমী গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি, যা হল এইরূপ : ইতিকাফকারীর জন্য কি মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ যার উদ্দেশ্য হবে : রোগী দেখা, খাবার দাওয়াত কবুল করা, আত্মীয়-স্বজন দেখতে যাওয়া, জানাজায় অংশ নেয়া।
মাহে রমযানে সাওম ভঙ্গের হুকুম কী? ইলমী গবেষণা ও ফাতওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, যা হলো নিম্নরূপ: যে ব্যক্তি সাওম ভঙ্গের কোনো একটি বিষয়ের সাথে জড়িত হলো তার ভাঙ্গা সাওমের কাফফারা কীভাবে প্রদান করা সম্ভব হবে জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।
যে ব্যক্তি রমযান মাসে কষ্টসাধ্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে তার জন্য সাওম ভঙ্গ করা কি বৈধ হবে? ইলমী গবেষণা ও ফাতওয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এ জাতীয় একটি প্রশ্নের উত্তর দেন, যা হলো নিম্নরূপ: এক ব্যক্তি কৃষিক্ষেত্রে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সাওম রাখা তার পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এমতাবস্থায় তার জন্য কি সাওম ভেঙ্গে ফেলার অনুমতি রয়েছে ?