প্রতিটি মানুষের কর্তব্য তার নবীর পরিচয় জানা। কেননা আমাদের যে কেউ মারা গেলে তাকে কবরে শোয়ানোর পর তার দেহে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়া হবে। অতপর দু’জন ফিরিশতা আসবেন। তারা তাকে বসিয়ে তার নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। এ পুস্তিকায় কুরআন-সুন্নাহর উদ্ধৃতি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
খাতা-কলমে দাস প্রথা পৃথিবীতে না থাকলেও বিশ্বজুড়েই এখনো মানুষকে দাস বানানোর রীতি অব্যাহত আছে। ইসলাম দাসপ্রথা নির্মূলে কার্যকর ও অব্যর্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করে মানুষকে বাঁচিয়েছে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে। এ নিবন্ধে বিশ্বে চলমান অমানবিক দাসপ্রথা ও সে সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে।
ইদানীং বিশ্ব জুড়ে, এমনকি মুসলিমদের মাঝেও ইসলামকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ তা এক ভয়ঙ্কর অপরাধ, যা ব্যক্তিকে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের করে দেয় এবং জাহান্নামকে তার ঠিকানা বানিয়ে দেয়। এ নিবন্ধে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলাম নিয়ে বিদ্রূপের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
যে ধর্মের নামেই রয়েছে শান্তির সুবাস, যে ধর্মের নবীকেই প্রেরণ করা হয়েছে জগতবাসীর জন্য শান্তি ও রহমত স্বরূপ, সে ধর্ম সম্পর্কে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের অভিযোগ তোলা হয় একান্তই বিদ্বেষপ্রসূতভাবে। ইসলাম বিদ্বেষী ভাইদের অপ্রচারে যাতে সরলমনা মুসলিম ভাই-বোনেরা বিভ্রান্ত না হন, তাই পবিত্র কুরআনে এদু’টি শব্দ কতভাবে এসেছে তা আলোচনা করে এ ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরার প্রয়াস চেষ্টা করা হয়েছে এ নিবন্ধে ।
সূরা আল আসর একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এ সূরায় এমন কিছু মৌলিক শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা রয়েছে যা অনুধাবন করতে পারলে, আমলে আনতে পারলে তাকওয়াপূর্ণ জীবনযাপন অনেকটাই সহজ হবে। ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, ‘মানুষ যদি এ-সূরাটি নিবিষ্ট হৃদয়ে অধ্যয়ন করে তবে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমান প্রবন্ধটি এ বিষয়টিকে ঘিরেই।
আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী মুসলিম মাত্রেই মক্কা শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। মক্কা শব্দটি উচ্চারিত হতেই তিনি হৃদয়ে এক গভীর ভালোবাসা অনুভব করেন। তার অন্তরে এ নগরীকে দুচোখ জুড়ে দেখার এবং এখানে অবস্থিত আল্লাহর মহাপবিত্র ঘর কা‘বা যিয়ারতের একান্ত আকাঙ্ক্ষা লালন করেন। আর যারা হজ বা উমরা করতে চান, তাদেরকে অবশ্যই এ পবিত্র ভূমিতে গমন করতে হয়। তাই এ সম্মানিত শহর সম্পর্কে জানা প্রতিটি মুসলিমের একান্ত কর্তব্য। বক্ষমাণ নিবন্ধে তাই পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এ মহান নগরীর কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে।
এটি দ্বীনী জ্ঞান অর্জন সম্পর্কিত ধারাবাহিক আলোচনার তৃতীয় কিস্তি। এতে ইখলাস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। নিয়তের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্যের কথা ভেবে আলোচনার বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করার গুরুত্ব, এর স্তম্ভসমূহ, অবস্থাদি ও প্রতিবন্ধকতাসমূহ ইত্যাদি
রোজা : রোজা ইসলামের এক শ্বাশত বিধান, যা মানুষের জৈবিক ও আধ্যাত্মিক নানা অনুষঙ্গে ঋজুতা সঞ্চার করে মানসিক ও শারীরিকভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করে তোলে। রোজার এ বৈশিষ্ট্য ও গুণাগুণ লাভের অন্যতম শর্ত হচ্ছে রোজার তাৎপর্য ও মাহাত্ম সঠিক উপায়ে উপলব্ধি করা এবং তদনুসারে আমলে ব্রতী হওয়া। বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে রোজার মাহাত্ম, তাৎপর্য ও বিধি-বিধান বর্ণনার প্রয়াস চালান হয়েছে।
বর্ষাকালে আমরা বহুমুখী দানে আপ্লুত হই। এসব নি‘আমতের দাবি হলো এর স্রষ্টা ও দাতাকে নিয়ে চিন্তা করা। নি‘আমত দাতার প্রতি আনত হয়ে তাঁর সব নির্দেশ পালনে ব্রতী হওয়া। বর্ষাকালে করণীয়, বর্ষার ভাবনা ও আমল তুলে ধরা হয়েছে এ নিবন্ধে কুরআন-সুন্নাহর উদ্ধৃতি দিয়ে।
মুমিন মাত্রই তার অন্তরে বাইতুল্লাহ দর্শনের সুপ্ত তামান্না লুকিয়ে থাকে। যাদের প্রতীক্ষার অবসান হয় এবং তামান্না পূরণ হয় তারা তো সৌভাগ্যবানই। যাদের প্রতীক্ষা ফুরোয় না এবং তামান্না অপূর্ণই থেকে যায় তারাও সৌভাগ্যবান। কেন নয় আল্লাহর ঘরের ভালোবাসা তো আল্লাহরই ভালোবাসা। এ নিবন্ধে কুরআন-সুন্নাহর উদ্ধৃতি দিয়ে বাইতুল্লাহ যিয়ারতের বাসনার কথা তুলা ধরা হয়েছে।
সাগর আল্লাহর এমন এক বিস্ময়কর সৃষ্টি যা মানুষের জন্য অফুরন্ত কল্যাণের ভাণ্ডার। মহান স্রষ্টার সৃষ্টির অন্যতম বিস্ময় এ সাগর। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের অনন্ত কৌতূহল জাগিয়ে রেখেছে সাগর। চলছে সাগর নিয়ে মানুষের নিরন্তর গবেষণা ও অনুসন্ধান। এ নিবন্ধে সাগর সংক্রান্ত কুরআন-সুন্নাহর বিবিধ বিষয় তুলা ধরা হয়েছে।