প্রবন্ধকার কুরআনুল কারীমের বর্ণনার আলোকে নূহ আলাইহিস সালামের পরিচয় এবং কিভাবে তিনি দাওয়াত দিয়েছেন তা তুলে ধরেছেন। আর তার জাতি তার দাও‘য়াতের জবাবে কি করেছিল তাও বর্ণিত হয়েছে।
যে ধর্মের নামেই রয়েছে শান্তির সুবাস, যে ধর্মের নবীকেই প্রেরণ করা হয়েছে জগতবাসীর জন্য শান্তি ও রহমত স্বরূপ, সে ধর্ম সম্পর্কে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের অভিযোগ তোলা হয় একান্তই বিদ্বেষপ্রসূতভাবে। ইসলাম বিদ্বেষী ভাইদের অপ্রচারে যাতে সরলমনা মুসলিম ভাই-বোনেরা বিভ্রান্ত না হন, তাই পবিত্র কুরআনে এদু’টি শব্দ কতভাবে এসেছে তা আলোচনা করে এ ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরার প্রয়াস চেষ্টা করা হয়েছে এ নিবন্ধে ।
“ইসলামে ‘তাকওয়া’র স্বরূপ ও সমাজ জীবনে এর প্রভাব” শীর্ষক প্রবন্ধটিতে তাকওয়ার অর্থ, গুরুত্ব, তত্ত্ব ও প্রকৃত তথ্য সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। কুরআন কারীমে যে যে অর্থে তাকওয়া শব্দটি এসেছে, তার প্রতিও ইঙ্গিত করা হয়েছে। সব শেষে সমাজ জীবনে তাকওয়ার প্রভাব বর্ণিত হয়েছে।
যারা সাহিবে নিসাব তারা সকলেই যদি স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে নিয়মিত যাকাতের অর্থ ব্যয়ের জন্য উদ্যোগী হন তাহলে দেশে গরীব জনগণের ভাগ্যের চাকা যেমন ঘুরবে তেমনি সরকারের রাজস্ব ফান্ড হবে সমৃদ্ধ, আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিধি হবে আরও বিস্তৃত। আলোচ্য প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়েছে যাকাতের অর্থ, যাকাতের খাত, বন্টন ব্যবস্থা, কর ও সদকার মধ্যকার প্রার্থক্য। আরও তুলে ধরা হয়েছে যাকাত কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পারে তার কিছু বাস্তব উদাহরণ।
আলোচ্য প্রবন্ধে আল-কুরআন ও আল হাদীসের আলোকে শিশু সন্তানের ইসলামে পারিবারিক শিক্ষার গুরুত্ব, কতিপয় দিক নির্দেশনা বর্ণনার পাশাপাশি নৈতিক অবক্ষয় দূরীকরণে নারী–পুরুষের পর্দা অনুশীলনের বিধান তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হয়েছে।
নবী-রাসূলদের কাহিনীর মধ্যে অনেক শিক্ষা বিদ্যমান। তা থেকে তারাই শিক্ষা নিতে পারে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা সে শিক্ষা নেওয়ার তাওফীক দান করেন। তাদের কাহিনীতে ফুটে উঠেছে তাওহীদপন্থীদের অবস্থা ও তাদের বিরোধীদের অবস্থান। কিভাবে তাদের কাউকে আল্লাহ নাজাত দিয়েছেন, আর অন্যদের কিভাবে ধ্বংস করেছেন। এ কাহিনীর শিক্ষাগুলো জানার মাধ্যমে যে কোনো লোকের পক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও শাস্তি কোথায় রয়েছে তা জানা সম্ভব হবে। এ প্রবন্ধে সেসব শিক্ষা থেকে কিছু কিছু শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা ঘুষকে করেছেন হারাম। কুরআন ও সুন্নাহর বহু ভাষ্যে সে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধে ঘুষের ভয়াবহ পরিণতি তুলে ধরার পাশাপাশি তা থেকে পরিত্রাণের উপায় নির্দেশ করা হয়েছে।
বাংলাভাষায় পবিত্র কুরআনের অনুবাদ ও তাফসীর রচনার ইতিহাস, মূল আবরী থেকে কুরআনের মর্ম অনুধাবনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা এবং এ দু’ধারায় খেদমতের ভূত-ভবিষ্যৎ বেশ কিছু জরুরি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বক্ষমাণ নিবন্ধে সমাজের চাক্ষুস দৃষ্টান্ত ও পবিত্র কুরআনের আলোকে মুসলিম সমাজে বিশেষত বাংলাদেশে পশ্চিমা মূল্যবোধের কুপ্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। অবশেষে এ থেকে পরিত্রাণের পথও সংক্ষেপে ব্যক্ত করা হয়েছে।
প্রবন্ধকার তারাবীহ সালাতের মূল কী ছিল তা বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া তারাবীহ সালাতের রাকা‘আত সংখ্যার ব্যাপারে বিভিন্ন মাযহাবের মতামত ও তাদের দলীল প্রমাণাদি তুলে ধরেছেন। সবশেষে এ ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য আলেমদের মতামত পেশ করেছেন।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যাকাতের ভূমিকা: প্রবন্ধটিতে যাকাত প্রদানের গুরুত্ব ও না দেয়ার পরিণাম সম্পর্কে আলোকপাতের পাশাপাশি যাকাত ব্যয়ের খাতসমূহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখতে পারে তা তুলে ধরা হয়েছে।
সন্তান লালন-পালনে পিতা-মাতার করণীয়: সন্তান পিতা-মাতার কাছে প্রদত্ত আল্লাহর আমানত। এ আমানত সম্পর্কে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এ জবাবদিহিতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার জন্য দরকার সন্তানকে ইসলামের অনুপম আদর্শে গড়ে তোলা। এ নিবন্ধে ইসলামী আদর্শে সন্তানকে লালন-পালনে পিতামাতার করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।