কার ইবাদত করব ও কেন করব? এ প্রবন্ধটিতে প্রথমে যৌক্তিক দিক থেকে সৃষ্টি ও স্রষ্টা সংক্রান্ত মানুষের মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গীসমূহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তারপর যা বিবেকের পক্ষে যায় অর্থাৎ সৃষ্টির জন্য স্রষ্টার প্রয়োজন পড়ে এটা সাব্যস্ত করা হয়েছে। তারপর যিনি স্রষ্টা হবেন তার জন্য সৃষ্টির কি কোনো করণীয় আছে কি না? তাও বর্ণনা করা হয়েছে।
মসজিদ আল্লাহর ঘর। এখানে আমরা রোজ পাঁচবার মিলিত হয়ে রবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি পারস্পরিক খোঁজ-খবর রাখি। গড়ে তুলি ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সমাজে ছড়িয়ে পড়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভালোবাসার আবেশ। গড়ে উঠে এক সুশীল সমাজ। সেহেতু মুসলিম সমাজে মসজিদের গুরুত্ব অপরিসীম। সঙ্গত কারণেই মসজিদের মতো এর পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার গুরুত্বও অনস্বীকার্য। বক্ষমাণ নিবন্ধে মসজিদ পরিচালনা কমিটির কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এ নিবন্ধে আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকার জন্য লেখালেখির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। যারা লেখালেখি করেন তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত, তার প্রতিও ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এ নিবন্ধে আল-কুরআনুল কারীম ও সুন্নাহের আলোকে নারীর প্রতি ইসলামের সম্মান ও মর্যাদাসূচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের কিছু দিক তুলে ধরে তা প্রতিরোধে ইসলামের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক ও অবদানের প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে।
এ নিবন্ধে লেখকের একটি মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মৃত্যু বিষয়ক কিছু জরুরী উপলব্ধি এবং শাশ্বত ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সংক্ষেপে মৃত্যুর প্রস্তুতির বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
এ নিবন্ধে প্রচলিত মিডিয়ার নেতিবাচক ভূমিকা আলোচনা করা হয়েছে। মিডিয়ার অপরিসীম প্রভাবের কথা তুলে ধরে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে এর ইতিবাচক ভূমিকা ও করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে ।
আমরা সাধারণত সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শত অন্যায়-অবিচার দেখেও কথা বলি না, অন্যায়ের প্রতিবাদ জানানো দূরের কথা যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ জানান তাদের অন্তত সমর্থন পর্যন্ত করি না। অথচ অন্যায় করা আর অন্যায়ের সঙ্গে আপোস করা একই অপরাধ। সত্য উপলব্ধি করেও তা উচ্চারণ না করা এবং মিথ্যাকে প্রশ্রয় দেয়া গর্হিত কাজ। বক্ষমাণ নিবন্ধে এ বিষয়টি কুরআন-হাদীসের আলোকে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবন্ধকার এখানে মৃত ব্যক্তির জন্য কোন কোন কাজ করলে তা সুন্নাত মোতাবেক হবে ও কাজে লাগবে, তা নির্দেশ করেছেন। সাথে সাথে প্রচলিত কিছু বিদ‘আতের ব্যাপারে সাবধান করেছেন।
একটি মুসলিম দেশে ইসলাম শুধু মুসলিমদের অমুসলিমদের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস করতেই বলে না, রাষ্ট্রে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সুখ-সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করে। পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহয় একাধিক স্থানে অমুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকার তুলে ধরা হয়েছে। অমুসলিমরা নিজ নিজ উপাসনালয়ে উপাসনা করবেন। নিজ ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মালয়কে সুরক্ষিত রাখবেন। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তারা সমান। তাদের প্রতি কোনো প্রকার বৈষম্য ইসলাম বরদাশত করে না।
এ প্রবন্ধে শরীয়াহ্ এর পরিচয়, উৎস এবং শরীয়াহ্ আইন যে কুরআনেরই বিধান এবং কুরআন থেকে উৎসারিত সে বিষয়টি তুলে ধরার পাশাপাশি শরীয়াহ্ যে প্রগতিশীল, আধুনিক ও উন্নয়নধর্মী সেটিও তুলে ধরা হবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশে বোরকা পরেন এমন নারীর সংখ্যা নগন্য নয়। মুসলিম নারীদের অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ পর্দা করেন। কিন্তু ইসলামী পর্দা সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা ও সঠিক চর্চা না থাকায় বোরকা রক্ষা কবচ হবার পরও ইদানীং অনেক বোরকাবৃতা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। অনেকে আবার বোরকাধারীদের কিছু ব্যতিক্রমী নেতিবাচক দৃষ্টান্ত দিয়ে শয়ীয়তের একটি ফরয বিধানকে কটাক্ষ বা অবহেলা করে গুনাহগার হচ্ছেন। আলোচ্য নিবন্ধে বোরকাধারী কিছু বোনের আচরণ সম্পর্কে যেমন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, তেমনি এসবকে কেন্দ্র করে বোরকার সমালোচনার অসারতাও তুলে ধরা হয়েছে। অবশেষে খোদ বোরকাধারী, তাদের অভিভাবক ও সমাজের করণীয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা হয়েছে।
ঘটনার শুরু, সিনেমায় কী ছিল দেখানো হয়েছে, প্রতারক বাসেলি, পৃথীবির সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি, বিশ্ব মানবতার প্রতি শান্তির ধর্ম ইসলাম ও মহানবীর অবিস্মরণীয় অবদান, আমেরিকার খোঁড়া যুক্তি, কেন এই ঘটনা, টার্গেট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট মধ্যপ্রাচ্য, আমাদের করণীয়- এসব উপশিরোনামে সম্প্রতি ইন্টারনেটে প্রচারিত মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইসলামের প্রতি বিষোদগারপূর্ণ সিনেমার পূর্বাপর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে এবং এ ধরনের ঘটনায় আমাদের করণীয় তুলে ধরা হয়েছে।
প্রবন্ধটিতে লেখক বাংলাদেশে সম্প্রতি খ্রিষ্টধর্ম প্রচারক ও মিশনারিদের উল্লেখযোগ্যভাবে লক্ষণীয় অপতৎপরতা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। অতঃপর তিনি এর মোকাবেলায় আলেম ও সুধীজনের ভূমিকা সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।