বর্তমান যুগে মুসলিমরা সাওয়াবের নিয়ত ব্যতীত কোনো উদ্দেশ্যে কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত করে না বললেই চলে, তাই তিলাওয়াতের সময় কুরআনুল কারিমের ইলম ও জ্ঞানের দিকে তাদের মন ধাবিত হয় না। অথচ ইলম, হিদায়েত ও রহমত লাভের নিয়তে তিলাওয়াত করে সওয়াবসহ অনেক উদ্দেশ্য হাসিল করা যায়। প্রবন্ধটি পড়ে এ জাতীয় আরো অনেক নিয়ত সম্পর্কে জানা যাবে, যা ব্যক্তিকে কুরআনুল কারিম তিলাওয়াতের প্রতি উদ্যোগী ও মনোযোগী হতে সাহায্য করবে, ইনশাআল্লাহ।
হাল্লাজ এমন এক ব্যক্তি ছিল, যার কুফরী ও যিন্দিক হওয়ার হওয়ার ব্যাপারে আলেমগণ একমত হয়েছেন। তৎকালীন বিচারকরা তার কুফরী ও হত্যাযোগ্য অপরাধ হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। তার বিশ্বাসে ছিল হিন্দু, খৃষ্টান ও পৌত্তলিকতার সমাহার। সে হুলুল ও ইত্তেহাদে বিশ্বাসী ছিল। ‘আনাল হক্ব বা ‘আমিই ইলাহ’ এ জঘন্য কথাটি ইসলামে সেই প্রচার-প্রসার করেছিল। এ ফতোয়াটিতে তার পরিচয়, কর্মকাণ্ড ও তার সম্পর্কে সত্যনিষ্ঠ আলেমগণের মতামত তুলে ধরা হয়েছে।
গৃহ মানব জীবনের একটি অন্যতম প্রধান চাহিদা। আল্লাহ তা‘আলা গৃহের ব্যবস্থাপনা করে মানুষকে দয়া প্রদর্শন করেছেন। তবে এ গৃহ নির্মাণে ইসলামের রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা। এ প্রবন্ধে আবাসন সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি আলোচনা করা হয়েছে।
প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাদের প্রতি রয়েছে অন্যদের দায়িত্ব। এ প্রবন্ধে ইসলামে প্রতিবন্ধীর অধিকার, সম্মান, মর্যাদা ও তাদের প্রতি আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ইয়াযীদ ইবন মু‘আবিয়া সম্পর্কে মানুষ বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত হয়েছে। ইয়াযীদ নিজেও একজন অস্বস্তিকর ব্যক্তিত্ব। এ প্রবন্ধে ইয়াযীদ ইবন মু‘আবিয়া সম্পর্কে আলেমগণের সুচিন্তিত মতামত এবং আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে।
হজের কাজ শুরু হয় ইহরাম থেকে, আর শেষ হয় বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে। আবার হজের কাজও তিন প্রকারের। ইফরাদ হজকারী, তামাত্তু হজকারী, কিরান হজকারী। তাই এ প্রবন্ধে আটই যিলহজ থেকে শুরু করে আইয়ামে তাশরীকের শেষ দিন পর্যন্ত কিভাবে হজের কাজগুলো সম্পন্ন করবেন তা সংক্ষিপ্ত অথচ পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।
সালাত দীনের স্তম্ভ। যার সালাত নেই তার দীন নেই। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তুমি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় কর, যদি না পার তবে বসে, যদি তাও না পার তবে পার্শ্বে।” সুতরাং যে কেউ বসে সালাত আদায় করবে তাকে এতদসংক্রান্ত নিয়মনীতিগুলোও জেনে নেওয়া দরকার। আর তাই এ প্রবন্ধটি লেখা হয়েছে যাতে করে মুসল্লি সঠিক জ্ঞানের উপর থাকে যখন সে যমীনে বসে সালাত আদায় করবে অথবা চেয়ারে বসে সালাত আদায় করবে।
মৃত্যু প্রত্যেক প্রাণীর অনিবার্য পরিণতি। প্রতিটি মানুষেরই মৃতের প্রতি কিছু করণীয় রয়েছে। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, তার উপর জানাযার নামায পড়া ও তার জন্য দো‘আ করা। কিন্তু এমন বহু মানুষ রয়েছে যারা জানাযার সালাতের সঠিক নিয়মটি জানে না। তাতে কি পড়তে হয় তারও জ্ঞান নেই। তাই লেখক এ বুকলেটটি বের করেছেন যাতে করে প্রতিটি মুমিন-মুসলিমের পক্ষে সেগুলো মুখস্থ করা ও আমল করা সহজ হয়।
মানুষের অন্তর কঠোর হওয়ার অর্থই হচ্ছে তার জন্য কঠোর পরিণতি অপেক্ষায় থাকা। কুরআন ও হাদীসে কঠোর হৃদয়ের নিন্দা করা হয়েছে। অনেকেই জানে না অন্তর কেন কঠোর হয়। আলোচ্য প্রবন্ধে অন্তর কঠোর হওয়ার কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে।
কুরবানী ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। কুরবানীর ইতিহাস ও বিধি-বিধান জানা না থাকলে যে কোনো প্রকার ভুলে পতিত হতে পারে। আলোচ্য প্রবন্ধে কুরবানীর ফযীলত ও বিধি-বিধান সম্পর্কে দলীল-প্রমাণসহ আলোচনা করা হয়েছে।
সাওমের উপকারীতা অপরিসীম। যেমনিভাবে তা ইবাদত, তেমনিভাবে তা অনের রোগ থেকে প্রতিরোধও করে থাকে। আধুনিক ডাক্তারি বিদ্যা তার উপকারীতা তুলে ধরেছে। এ প্রবন্ধে এতদসংক্রান্ত বেশ কিছু আলোচনা স্থান পেয়েছে।
সাওমের উপকারীতার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তা বান্দার জন্য ঢালস্বরূপ। বান্দাকে গুনাহ ও অবাধ্যতা থেকে হেফাযত করে, সাথে সাথে তা সমাজকেও অপরাধমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। এ প্রবন্ধে সহীহ হাদীসের আলোকে সাওমের এ মহান তাৎপর্যটি তুলে ধরা হয়েছে।
পৃথিবীতে যত রকমের গুনাহের কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় মহান আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার বা শরীক সাব্যস্ত করা। এরপর সবচেয়ে বড় গুনাহ অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা। হন্তারকের জন্য মহান আল্লাহ দুনিয়ায় বড় শাস্তি এবং আখেরাতে তীব্র আযাবের ঘোষণা দিয়েছেন। কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন উদ্ধৃতির আলোকে বক্ষমান নিবন্ধে সে বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে।
নবী-রাসূলদের কাহিনীর মধ্যে অনেক শিক্ষা বিদ্যমান। তা থেকে তারাই শিক্ষা নিতে পারে যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা সে শিক্ষা নেওয়ার তাওফীক দান করেন। তাদের কাহিনীতে ফুটে উঠেছে তাওহীদপন্থীদের অবস্থা ও তাদের বিরোধীদের অবস্থান। কিভাবে তাদের কাউকে আল্লাহ নাজাত দিয়েছেন, আর অন্যদের কিভাবে ধ্বংস করেছেন। এ কাহিনীর শিক্ষাগুলো জানার মাধ্যমে যে কোনো লোকের পক্ষে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও শাস্তি কোথায় রয়েছে তা জানা সম্ভব হবে। এ প্রবন্ধে সেসব শিক্ষা থেকে কিছু কিছু শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে।
এ প্রবন্ধে রমাদান মাসে আমাদের করনীয় কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। সাওম পালনে রয়েছে অপরিসীম সাওয়াব। কিন্তু সঠিকমত সাওম পালম না করলে আমরা সে সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হই। তাই আসুন রমাদানকে কাজে লাগিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের মহাসাফল্য অর্জন করি।