এ বইটিতে ইসলামী আকীদার পরিচিতি, আলোচ্য বিষয় অত্যন্ত প্রাঞ্জলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামী আকীদার গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাওহীদ সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা পেশ করা হয়েছে আল-কুরআন ও সহীহ হাদীসের আলোকে।
এ রিসালাটি মূলতঃ শাইখ সালেহ ইবন ফাওযান আল-ফাওযান রহ.-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ। এ ভাষণে তিনি দুনিয়াতে সংঘটিত হয় এমন বিভিন্ন ফিতনা ও তা থেকে মুক্তির উপায় সর্ম্পকে আলোচনা করেছেন।
"নারীদের প্রকৃত মর্যাদা প্রদানকারী দীন একমাত্র ইসলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কখনো শুধু নারীদের উদ্দেশ্য করেই উপদেশ প্রদান করতেন। ‘আরাফার ময়দানে তিনি নারীদের ওপর পুরুষদের হিতাকাঙ্ক্ষী হতে বলেন, যা প্রমাণ করে নারীরা বিশেষ যত্নের দাবিদার। বিশেষভাবে বর্তমান যখন মুসলিম নারীদের সম্মান হরণ ও মর্যাদাপূর্ণ স্থান থেকে বিচ্যুত করার নিমিত্তে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অতএব, তাদের সচেতন করা ও তাদের সামনে মুক্তির নির্দেশনা স্পষ্ট করার বিকল্প নেই। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ মুসলিম নারীদের সামনে সে নির্দেশনা স্পষ্ট করবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।"
‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ — আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ বা উপাস্য নেই। এটি ইসলামের চূড়ান্ত কালেমা, মানবজীবনের পরম বাক্য। এই বাক্যের মর্যাদা, ফযীলত, স্তম্ভ বা রুকন, শর্ত, অর্থ, চাহিদা বা দাবি, উপকারিতা ও প্রভাব আলোচিত হয়েছে এ ছোট কিন্তু মূল্যবান পুস্তিকায়।
লেখক এ গ্রন্থে সুন্নাতের গুরুত্ব, ইসলামের এর মর্যাদা, অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন, সাথে সাথে এটা যে অবশ্যই মানতে হবে সেটা তুলে ধরেছেন, এ ব্যাপারে যারা সন্দেহ প্রকাশ করে তাদের সন্দেহগুলো অপনোদন করেছেন
ইবাদত, লেন-দেন ও অন্যান্য বিষয়ে বান্দা যে বিধানুযায়ী চলে তা নির্ধারণ করার একমাত্র অধিকার আল্লাহ তাআলার, বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে বিষয়টি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
আহলে বাইতের প্রতি ভালোবাসা স্থাপন প্রত্যেক মুমিনের একান্ত কর্তব্য। প্রবন্ধে আহলে বাইতের ফযীলত, তাদের ব্যাপারে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে।
মাযার ও কবরের উদ্দেশ্যে কুরবানী, মান্নত ও হাদিয়া পেশ করা এবং এগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন একটি শরিয়তবিরুদ্ধ শিরকপূর্ণ আচার। মুসলিম উম্মাহকে এ ধরনের আচার থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম সতর্ক করেছেন খুবই জোড়ালভাবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি এ বিষয়েই একটি গুরুত্বপূর্ণ রচণা।
ঈমানের বিপরীত অবস্থানকে কুফুরী বলা হয়। কেননা কুফুরী হচ্ছে আল্লাহ ও রাসূলের প্রতি ঈমান না রাখা, চাই তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হোক কিংবা না হোক। কুফুরী মুসলিম ব্যক্তিকে মুসলিম মিল্লাত থেকে বের করে দেয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে কুফুরীর সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
ত্রিশটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে এই গ্রন্থের বিষয়বস্তু। মাহে রমজানের ফজিলত, সিয়াম সাধনায় ঐকান্তিকতা ও শ্রম, রোজার দিবস-রজনী উত্তমভাবে কাজে লাগানো এবং সিয়াম ও তারাবীহ এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসআলা-মাসায়েল স্থান পেয়েছে গ্রন্থটিতে।
আল্লাহর ব্যাপারে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, রাসূলের বিষয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা, আল্লাহর কোন আয়াত ও নিদর্শনের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করা কুফরী। বক্ষমান প্রবন্ধে এ বিষয়টি কুরআন ও হাদীসের আলোকে আলোচনা করা হয়েছে।