প্রবন্ধটিতে সৎ-কাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর সংশোধনের গুরুত্ব নির্দেশ করা হয়েছে। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কীভাবে উম্মাহকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ করার মাধ্যমে সংশোধন করতেন তারও বর্ণনা এসেছে।
পৃথিবীর সকল ধর্মের নারীদের প্রতি পর্দা বিষয়ে খোলা মনে চিন্তা ও সুবিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে এ নিবন্ধে। যারা যুক্তি ছাড়া কোনো কথাই মানেন না, ধর্মের কথাও গ্রহণ করতে চান না তাদের সবার হৃদয় শুভ বুদ্ধির উদয়ে রসদ যোগানোর চেষ্টা করা হয়েছে এতে।
প্রবন্ধটিতে ইসলামে ভেজালের বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। সাথে সাথে খাদ্য-দ্রব্য ও পণ্য-দ্রব্যে ভেজাল প্রসারের কারণসমূহ বিবৃত করেছেন এবং দলিল-প্রমাণাদির মাধ্যমে তা নিরসণে ইসলামী নির্দেশনা উপস্থাপন করেছেন। সবশেষে ভেজাল-প্রবণতা থেকে সমাজকে মুক্ত করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা পেশ করেছেন।
ইসলামের পূর্ব থেকে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মের মধ্যে যিয্য়াহ প্রথার বিধান ছিল। সব যুগেই বিজয়ী জাতি পরাজিত জাতি থেকে কর ও জিয্য়াহ আদায় করে আসছে। ইসলামও তা বহাল রেখেছে, কিন্তু বিভিন্ন জাতির ন্যায় ইসলাম এটাকে যুলম বা নির্যাতনের হাতিয়ার বানায়নি, বরং ইসলাম এটাকে সম্মানসূচক একটির চুক্তির রূপ দিয়েছে, সামান্য জিয্য়ার বিনিময়ে মুসলিমগণ অমুসলিমদের স্বার্থে তা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে বদ্ধ পরিকর। এর ফলে যিম্মিরা ইসলামি রাষ্ট্রে জান, মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা এবং ধর্মের স্বাধীনতা ভোগ করে। ইতিহাস ও বাস্তবতার নিরিখে তারই ব্যাখ্যা এ নিবন্ধে পেশ করা হয়েছে।
এ নিবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে যে, আল্লাহ তাআলা নিজ বান্দাদের রিযক বৃদ্ধি বা হ্রাস করেন। যাকে দিয়েছেন হিকমতের দাবিতে দিয়েছেন, যাকে বঞ্চিত করেছেন ইনসাফের ভিত্তিতে বঞ্চিত করেছে। এতে কাফের - মুমিন কোন বেদাভেদ নেই। এটা আল্লাহর সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির আলামত নয়।
এ নিবন্ধে হালাল রিযকের গুরুত্ব ও তা অনুসন্ধানের বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, যেমন তাকওয়া অবলম্বন করা, ইস্তেগফার ও দোয়া করা এবং তাকদীরের উপর সন্তুষ্ট থাকা। রিযক তলব করার একটি বড় উপায় হচ্ছে পাপ থেকে বেচে থাকা, কারণ পাপ দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিতকারী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “ব্যক্তি তার কৃত পাপের কারণে রিযক থেকে বঞ্চিত থাকে”। (আহমদ) এতে আরো স্থান পেয়েছে অভাবের সময় ধৈর্য ধারণের কিছু পদ্ধতি।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে কুরআন সুন্নাহর দলিলের নিরিখে গান-বাজনার হুকুম কী তা তুলে ধরা হয়েছে। মানুষের অন্তরে গান-বাজনার নেতিবাচক প্রভাব ও কিভাবে তা আল্লাহর যিকর থেকে ফিরে রাখে, অন্তরকে অন্ধ করে তাও আলোচনা করা হয়েছে।
নামাজের জন্য আযান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আযানের গুরুত্ব, বিশুদ্ধ হাদীসের আলোকে আযান শুরুর কাহিনী সুবিন্যস্ত উপস্থাপনায় আলোচনা করা হয়েছে।
নসীহত বা সদুপদেশ ও অন্যের জন্য কল্যাণ কামনার অর্থ-ক্ষেত্র-দিগন্ত বিষয়ক আলোচনা স্থান পেয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস, ‘দীন হলো নসীহত,’ আমরা বললাম, ‘কার জন্য? তিনি বললেন : আল্লাহ, তাঁর রাসূল, মুসলমানদের নেতৃবর্গ ও সাধারণ মানুষের জন্য।(মুসলিম)। এ হাদীসটির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণও স্থান পেয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে।
একটি সুখপাঠ্য প্রবন্ধ। এতে স্থান পেয়েছে কল্যাণ ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে পরস্পরে সহযোগিতা করার গুরুত্ব ও আবশ্যকতা, কল্যাণ ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে পরস্পরে সহযোগিতা করার বিভিন্ন দিক এবং যেসব ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়ানো নিষিদ্ধ তার আলোচনা।
লক্ষ্য মানুষের জীবনের গতি নির্ধারক। লক্ষ্য মানুষকে দেয় সফল হওয়ার প্রেরণা। মরিয়া হয়ে চেষ্টা-সাধনা করার আকাঙ্ক্ষা। আর লক্ষ্য যত বড় হবে ত্যাগ ও তিতিক্ষাও সে অনুপাতে বেড়ে যাবে। কর্মচাঞ্চল্য বেড়ে যাবে। অর্জন হবে অভীষ্ট সফলতা যদি কেউ নিজেকে পরিষ্কার ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাঝে দৃঢ়তার সাথে ধরে রাখে। বর্তমান প্রবন্ধে একজন মুসলমানের জীবনে লক্ষ্য কি হওয়া উচিত এবং কিভাবে তা নির্ধারণ করতে হবে তাই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ইসলামে দাস প্রথা, ইতিহাসে দাস প্রথা শুরুর কাহিনী, সে সময় ইসলাম কর্তৃক দাস প্রথা বহাল রাখার কিছু ঐতিহাসিক ও বিজ্ঞানসম্মত কারণ। দাসমুক্তি তরান্বিত করার জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ ইত্যাদি নিয়ে বর্তমান প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
বিশ্বাসের উপকরণ-প্রকরণ-ধারা, প্রায়োগিক জীবন, মৌলিকতা, মধ্যপন্থা, ভারসাম্য, শৃঙ্খলা ইত্যাদি ইসলামকে করেছে অনন্য এক জীবনদর্শন। বর্তমান প্রবন্ধে সংক্ষেপে এ বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে নেক আমলের প্রতি যত্ন, সর্বাবস্থায় নেক আমল ধরে রাখার গুরুত্ব ও আবশ্যকতা কুরআন-সুন্নাহর আলোকে তুলে ধরা হয়েছে। প্রবন্ধে সন্নিবেশিত প্রতিটি আয়াত ও হাদীসে-থাকা আহকাম ও মাসায়েলগুলোও সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।