শুধু রমজানে নয়, বরং মুমিনের উচিত সকল মাসেই আল্লাহর ইবাদত-আরাধনায় নিজেকে ব্যস্ত রাখা। কেননা আল্লাহ তাআলা শুধু রমজানের নন বরং সকল মাসেরই রব। তাই শুধু রমজান মাসকে ইবাদতের জন্য সুনির্দিষ্ট করা বোকামী বৈ অন্য কিছু নয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টিরই আলোচনা স্থান পেয়েছে।
মাহে রমজানে সালাফে সালেহীনদের আমল চর্চার রূপ-আকৃতি কেমন ছিল, মাহে রমজানে তাদের ইমান ও তাকওয়া চর্চার ধরন-ধারণ কেমন ছিল। আমল কবুল হওয়ার আলামত কি এবং কিভাবে মাহে রমজানকে বিদায় জানানো উচিত হবে এসব বিষয় নিয়েই সাজানো হয়েছে বর্তমান প্রবন্ধটি। রোজাদার মাত্রই উপকৃত হবেন বলে বিশ্বাস।
সদকায়ে ফিতর দরিদ্র্, গরীব ও অসহায়দেরকে সাহায্য করে, বিশেষ করে ঈদের দিনটি যাতে তারা স্বচ্ছন্দে কাটাতে পারে, উদরপূর্তির তাকাজা নিয়ে মানুষে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে না হয় সেব্যাপারে তাদেরকে সাহায্য করে। সদকায়ে ফিতর রোজাদারের অন্তরাত্মায় বয়ে আনে বিশুদ্ধতা। প্রবন্ধটি সদকায়ে ফিতরের গুরুত্বকে সামানে রেখেই সাজানো হয়েছে।
মাহে রমজানের বিদায় সম্পর্কিত কিছু ভাবনা স্থান পেয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে। রমজান থেকে আমরা কি পেলাম, যে ব্যক্তি মাহে রমজানের শিক্ষা ভুলে গেল সে অই নারীর মতো হয়ে গেল যে দিবস শেষে তার বুননকৃত সুতো খুলে ফেলল, এ বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে। ঈদের কিছু আহকামও স্থান পেয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে।
এ প্রবন্ধে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন যে, সেই ব্যক্তি বুদ্ধিমান নয় যে রমযান মাস চলে গেলে ইবাদাত ছেড়ে দেয় এবং পাপের পথে ফিরে যায়। বরং বুদ্ধিমান হল সেই ব্যক্তি যে তার নিকট মৃত্যু আসা পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদাত করে।
সৎ ব্যক্তিরা কীভাবে রমজান যাপন করতেন। আমল কবুল হওয়ার আলামত কি-কি, আমরা কীভাবে মাহে রমজান শেষ করব, ঈদের রাতের আমল কি? এসব বিষয়ে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
একজন নারী কীভাবে মাহে রমজানের দিবস-রজনী যাপন করবে, নিজ ও পরিবার-পরিজন বিষয়ে, এ পবিত্র মাসে, নারীকে কী ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হবে তার অনুপূঙ্খ বর্ণনা রয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে।
ঈদের নামাজে নারীদের উপস্থিতি ইসলামি শরিয়ায় অনুমোদিত একটি বিষয়। তবে শর্ত হল যথার্থরূপে পর্দা বজায় রাখা, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও ইসলামের আচার-অনুষ্ঠানের প্রদর্শনী প্রক্রিয়াকে উদ্দেশ্য হিসেবে নেয়া। সৌন্দর্য প্রদর্শন ও পুরুষ সম্প্রদায়কে আকৃষ্টকরণের মানসিকতা যেন কখনো স্থান না পায় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা। বর্তমান প্রবন্ধে এবিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
ইসলামে নারীর রয়েছে সম্মানজনক অবস্থান, যা নারীর প্রকৃতির সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যশীল। ইসলাম নারীকে যেভাবে মূল্যায়ন করেছে, মর্যাদা দিয়েছে অন্য কোনো মতবাদ, মতাদর্শ তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান প্রবন্ধে পরিবার ও সমাজে নারীর ইসলাম-প্রদত্ত মর্যাদা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
রমজানের ফজিলত, রমজানের সুযোগগুলোর সঠিক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা, মাহে রমজানের কিছু বরকত ইত্যাতি বিষয়কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছে এ প্রবন্ধের আলোচনা। সবাই উপকৃত হবেন বলে আশা।
প্রবন্ধটি মুসলমান মা-বোনদের জন্য নিবেদিত। সংক্ষিপ্ত হলেও এতে স্থান পেয়েছে রমজান ও সিয়াম বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য। আশা করি মুসলমান মা-বোন মাত্রই প্রবন্ধটি পড়ে উপকৃত হবেন।
যেভাবে স্বাগত জানাব মাহে রমজানকে: রমজান বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ, যাতে রয়েছে রমজানের ফজিলত ও রোজার হাকীকত-মাহাত্ম্য সম্পর্কে আলোচনা। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান অবস্থা ও তা থেকে নিষ্কৃতির পথ ও পদ্ধতির বর্ণনা। রমজানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উসওয়া-আদর্শের উপরেও আলোকপাত করা হয়েছে।
প্রত্যেক বাবা-মায়ের দায়িত্ব হলো সন্তানকে আদর যত্ন করে বড় করা। ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত সন্তান কখন কি করে, কোথায় যায়, কাদের সাথে আড্ডা দেয়, ইত্যাদি বিষয়ে বাবা-মায়ের সজাগ দৃষ্টি থাকতে হবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে বিষয়টি সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে।
নেতৃত্ব এক মহান দায়িত্ব। যে ব্যক্তির ঘাড়ে এ দায়িত্ব বর্তাবে অবশ্যই তাকে নেতৃত্বের শর্ত পূরণ করে প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে, যাপন করতে হবে প্রতিটি ক্ষণ আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করে। কেননা কেয়ামতের ময়দানে তাকে এ দায়িত্ব বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হতে হবে।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আদর্শ মা হিসেবে নারীর ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আদর্শ মা হতে হলে একজন নারীকে কি কি যোগ্যতা অর্জন করতে সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে।
মানুষের জীবন সবসময় অভিন্ন গতিতে চলে না। মানুষকে বরং মুখোমুখি হতে হয় নানা সমস্যার। চিন্তা ও উৎকন্ঠায় হৃদয় যখন বিষাদময় হয়ে ওঠে, সম্মুখের সকল দরজা বন্ধ মনে হয়, ইসলামের দৃষ্টিতে তখন কী করণীয় তা বর্ণিত হয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে।
এ প্রবন্ধে লিখক আল্লাহর সৃষ্টির অনুপম সৌকর্ষের নানা দিক তুলে ধরেছেন। সৃষ্টি যার এত সুন্দর সেই স্রষ্টা ও তার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করে মহা সত্যে উপনীত হওয়ার প্রতি তিনি উদ্বুদ্ধ করেছেন।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে নবজাতকের কিছু আহকাম বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেমন শিশুর জন্মকে সুসংবাদ হিসেবে নেয়া, খেজুর চিবিয়ে শিশুর চোয়ালে ঘর্ষণ করা, শিশুর মাথার চুল মণ্ডন করা এবং চুলের ওজনে রূপা সদকা করা, শিশুর সুন্দর নাম রাখা ইত্যাদি।