প্রশ্ন: আমি দুবাই বসবাস করি, আমাদের আশে-পাশে অনেক শিয়া রয়েছে, তাদের সর্বদা বলতে শুনি: মুাহর্রমের নয় ও দশ তারিখে শিয়াদের কর্মকাণ্ড হুসাইনের প্রতি তাদের মহব্বতের বহিঃপ্রকাশ। তাতে কোনো সমস্যা নেই ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে, যেমন ইতোপূর্বে পুত্র ইউসুফকে হারিয়ে ইয়াকূব আলাইহিস সালাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন। অতএব, আমাদেরকে শিয়াদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানিয়ে বাধিত করবেন, আরও বলবেন বুকে আঘাত করার বিধান কী?
আমি প্রায় পড়ি “এটা বড় শির্ক ওটা ছোট শির্ক”, কিন্তু বিষয়গুলো আমার নিকট স্পষ্ট নয়, আপনি কি আমাকে শির্কের হাকিকত এবং ছোট ও বড় শির্কের মাঝে পার্থক্য স্পষ্ট করে বলবেন? এ ফতোয়ায় তারই উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
ফতোয়া প্রদানকারী এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মীলাদুন্নবী অনুরূপ অন্যান্য বিদআতি অনুষ্ঠানসমূহকে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করা, নতুন প্রজন্মের মাঝে পরস্পর সম্পর্ক সৃষ্টি করা, দ্বীনের প্রতি তাদের গর্ব ও আত্মসম্মান বৃদ্ধি করা এবং সন্তানদের চরিত্র ও আচরণের উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী বিধর্মীদের মনগড়া উৎসব যেমন ভালবাসা দিবস ইত্যাদি থেকে সুরক্ষার উদ্দেশ্যে মীলাদুন্নবী উদ্যাপন করা বিদআত ও হারাম।
একটি প্রশ্নের উত্তরে ফাতওয়াটি প্রদান করা হয়। প্রশ্নটি হলো: নারীদের জন্য কবর যিয়ারত করা কি হারাম, মৃত ব্যক্তি যদিও তাদের আপন কেউ হয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, لعن الله المرأة النائحة والمستمعة এ হাদীসে المستمعة শব্দের অর্থ কী? এর দ্বারা কি সে নারী উদ্দেশ্য যে ইনিয়ে-বিনিয়ে মানুষের কথা নকল করে অথবা সে নারী উদ্দেশ্য যে গান-বাজনা শ্রবণ করে অথবা সে নারী উদ্দেশ্য যে টেলিভিশন দেখে ও রেডিও শোনে? আশা করি এর ব্যাখ্যা দেবেন।
জনৈক প্রশ্নকারী কোনো এক জুমু‘আর খুৎবায় বলেন: খতিব সাহেব ‘কালেমা’ প্রসঙ্গে খুৎবা প্রদান করেন। তিনি বলেন: কালেমার বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। আলেমগণ নয়টি অথবা তার সমপরিমাণ কতক শর্ত উল্লেখ করেছেন। আপনি কি এ সংক্রান্ত কোনো বিষয় জানেন? জানলে উল্লেখ করুন? আমি আপনার কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ থাকব -ইনশাআল্লাহ। এ ফতোয়ায় তার উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
ইহা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া। সূরা আয-যারিয়াতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন: “অতঃপর সেখানে যারা মুমিন ছিল, আমরা তাদেরকে বের করে নিয়ে আসলাম, তবে একটি বাড়ি ব্যতীত সেখানে কাউকে আমরা মুসলিম পাই নি” -এ আয়াতে মুমিন ও মুসলিম দু’টি শব্দ আল্লাহ তা‘আলা ব্যবহার করেছেন, মুমিন ও মুসলিম তথা ইসলাম ও ঈমানের পার্থক্য সম্পর্কে উক্ত ফতোয়ায় আলোচনা করা হয়েছে।
এ ফাতওয়াটি মা তার নিজ ছেলেকে যাকাত দেওয়া প্রসঙ্গে, যার বয়স ২১ বছর এবং সে মায়ের সাথেই থাকে, তবে তার পড়া-লেখা এখনও শেষ হয় নি, আর পড়া-লেখা পূর্ণ করার জন্য সে ঋণ নিতেও আগ্রহী নয়। সাপ্তাহিক ছুটিতে কাজ করে, তবে সে বেতন তার জন্য যথেষ্ট নয়। এ অবস্থায় মা কি নিজের ছেলেকে যাকাত দিতে পারবে?
এ ফতওয়াটিতে একটি হাদিসের বিশুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে। হাদীসটি হচ্ছে, ‘কেউ যদি জুমু‘আর দিনে আশিবার দুরূদ পড়ে, তার আশি বছরের গুনাহ ক্ষমা করা হবে’ এটা কি বিশুদ্ধ?
অত্র ফাতওয়ায় নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে: সম্ভব হলে অনুগ্রহপূর্বক আমাদেরকে বলুন, পুনরুত্থানের সময় মানুষের অবস্থা কেমন হবে? তারা কি পোশাক অবস্থায় থাকবে না পোশাকহীন? মৃত্যুর পর জীব-জন্তুও কি উপস্থিত হবে?
অত্র ফাতওয়ায় নিম্নোক্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যখন বায়তুল মাকদিসে নিয়ে যাওয়া হয়, তিনি সেখানে নবীদের ইমামত করেন, জিজ্ঞাসা হচ্ছে সালাতের জন্য নবীদেরকে কি তাদের কবর থেকে জীবিত করা হয়েছিল?
জনৈক ব্যক্তির জিজ্ঞাসা: আল্লাহর প্রতি ঈমান গ্রহণের ফযীলত আমি অনেক শুনেছি ও অনেক পড়েছি, তাই আমি জানতে চাই ‘আল্লাহর প্রতি ঈমানের অর্থ কী’, যেন প্রকৃত ঈমান আমি পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হই এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণের ঈমান পরিপন্থী ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে নিজেকে হিফাযত করতে পারি? এ ফতোয়ায় তার উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু জাহেলী যুগে তাঁর কন্যাসন্তানকে জীবিত কবর দিয়েছেন বলে যে ঘটনা উল্লেখ আছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনাটি যে অসত্য উক্ত প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
হাল্লাজ এমন এক ব্যক্তি ছিল, যার কুফরী ও যিন্দিক হওয়ার হওয়ার ব্যাপারে আলেমগণ একমত হয়েছেন। তৎকালীন বিচারকরা তার কুফরী ও হত্যাযোগ্য অপরাধ হওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছিলেন। তার বিশ্বাসে ছিল হিন্দু, খৃষ্টান ও পৌত্তলিকতার সমাহার। সে হুলুল ও ইত্তেহাদে বিশ্বাসী ছিল। ‘আনাল হক্ব বা ‘আমিই ইলাহ’ এ জঘন্য কথাটি ইসলামে সেই প্রচার-প্রসার করেছিল। এ ফতোয়াটিতে তার পরিচয়, কর্মকাণ্ড ও তার সম্পর্কে সত্যনিষ্ঠ আলেমগণের মতামত তুলে ধরা হয়েছে।
আল্লাহ্ তা’আলা "كن" শব্দ বললেই যা ইচ্ছা একসঙ্গে সৃষ্টি হয়ে যায়, কিন্তু আদমের ক্ষেত্রে এরূপ করা হয়নি কেন, কেন তাকে বিভিন্নধাপে সৃষ্টি করা হয়েছে? এ ফতোয়ায় তার উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
এটি সাওম বিষয়ক একটি ফাতওয়া সংকলন। যেখানে সাওম, রমযান, রমযানের করণীয়, মহিলাদের সাওমের মাসআলা, তারাবীহ সংক্রান্ত মাসআলা, সাওমের কাযার বিধি-বিধান, যাকাতুল ফিতরের মাসআলাসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসআলায় সৌদী আরবস্থ বড় বড় আলেম ও সর্ব্বোচ্চ উলামা পরিষদের ফাতাওয়া তুলে ধরা হয়েছে।
প্রশ্নোত্তর : আমাদের সবার নিকট পরিচিত মীলাদুন্নবী বিদআত, কিন্তু অনেকেই মীলাদুন্নবী নামে অনুষ্ঠান করে নবীর জন্মানুষ্ঠান পালন করার জন্য নয়, বরং নবীর জীবন চরিত ও আনুষাঙ্গিক বিষয় আলোচনার জন্য, নবীর জন্ম দিন ও তারিখ মোতাবিক না হলে এ অনুষ্ঠান কি হারাম ? মীলাদ নামকরণই কি এ অনুষ্ঠান হারাম হওয়ার কারণ ? এসবের উত্তর এখানে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।