এ প্রবন্ধে কারামতের সংজ্ঞা ও আল্লাহর ওলীগণের কারামত যে একটি বাস্তব সত্য বিষয় তা তুলে ধরা হয়েছে এবং এর কিছু বাস্তব নমূনা পেশ করা হয়েছে। তাছাড়া কারামত ও শয়তানের কারসাজির মধ্যেও পার্থক্য নির্ণয় করা হয়েছে।
প্রবন্ধকার কুরআনুল কারীমের বর্ণনার আলোকে নূহ আলাইহিস সালামের পরিচয় এবং কিভাবে তিনি দাওয়াত দিয়েছেন তা তুলে ধরেছেন। আর তার জাতি তার দাও‘য়াতের জবাবে কি করেছিল তাও বর্ণিত হয়েছে।
এ প্রবন্ধে মানুষের উপর কুরআনের যে সকল অধিকার রয়েছে তা বিস্তারিত বিবৃত হয়েছে। বিশেষ করে কুরআন পাঠ করা, অধ্যয়ন করা, কুরআনের নির্দেশ পালন ও নিষেধ থেকে দূরে অবস্থান। আর কুরআনের অধিকার সম্পর্কে অসচেতনতার কুফল বর্ণিত হয়েছে।
প্রবন্ধটিতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসার মানদণ্ড উল্লেখ করা হয়েছে। সাথে সাথে কি কি কারণে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ভালবাসার দাবী মিথ্যা হয়, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে।
এমন কিছু আমল আছে, যার কোনো একটিও যদি কোনো মুসলিম সম্পাদন করে তবে সে দীন থেকে বের হয়ে গেছে বলে বিবেচিত হবে। ফলে তার সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে এবং চিরস্থায়ীভাবে (জাহান্নামের) আগুনে প্রবেশ করবে। সেসব গুনাহ মহান আল্লাহ তাওবা ব্যতীত ক্ষমা করেন না। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আমলগুলো সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে।
যে কয়েকটি কুস্বভাব সরাসরি কুরআন হাদীসে নিন্দা করা হয়েছে গীবত বা পরচর্চা তার মাঝে অন্যতম। কুরআনে একে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে কুরআন ও হাদীসের আলোকে গীবতের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করার পাশাপাশি অন্যান্য মুসলিম বিশেষ করে আলেমগণের সাথে ঈমানের দাবিতে সুসম্পর্ক স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন, এর মাধ্যমেই উম্মতের আক্বীদা ও আমল পরিশুদ্ধ থাকতে পারে। উম্মতের মধ্যে শাখা মাস’আলায় মতবিরোধ থাকতেই পারে, তা যেন তাদের ঐক্য বিনষ্ট না করে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। কারণ শাখা-প্রশাখায় মতভেদ থাকার সুনির্দিষ্ট কিছু কারণও রয়েছে। প্রবন্ধটিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে মাধ্যম মানার ব্যাপারটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফকির, দরবেশ, কবর, মাজার, ইত্যাদিকে মাধ্যম বানিয়ে আল্লাহকে পেতে যাওয়া খুবই ঘৃণিত, শিরকপূর্ণ একটি কাজ যা অনেক মুসলিম দেশেই মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ব্ক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ ধরনের উসিলা সাব্যস্ত করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ইবাদত, লেন-দেন ও অন্যান্য বিষয়ে বান্দা যে বিধানুযায়ী চলে তা নির্ধারণ করার একমাত্র অধিকার আল্লাহ তাআলার, বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে বিষয়টি সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হয়েছে।