প্রশ্ন: যে ইমামকে রুকু অবস্থায় পেল এবং রুকুতেই ইমামের সাথে শরীক হলো, তার এ রাকাত গণ্য হবে কী না? শাইখ আব্দুল আযীয ইবন আব্দুল্লাহ ইবন বায রহ. উক্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেছেন এ ফাতওয়ায়।
জনৈক ব্যক্তির জিজ্ঞাসা: আল্লাহর প্রতি ঈমান গ্রহণের ফযীলত আমি অনেক শুনেছি ও অনেক পড়েছি, তাই আমি জানতে চাই ‘আল্লাহর প্রতি ঈমানের অর্থ কী’, যেন প্রকৃত ঈমান আমি পরিপূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হই এবং নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণের ঈমান পরিপন্থী ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে নিজেকে হিফাযত করতে পারি? এ ফতোয়ায় তার উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
বর্তমান যুগে রাষ্ট্রের মধ্যে এ প্রথা চালু হয়েছে যে, কোনো রাজা-বাদশাহ বা রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যু হলে ৩ দিন বা তাঁর চেয়েও কম অথবা এর চেয়েও বেশি দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অফিস-আদালত বন্ধ করা এবং পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। উক্ত ফতোয়ায় রাষ্ট্রীয় শোক পালনের শর‘ঈ বিধান কী? তা আলোচনা করা হয়েছে।
উমার রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু জাহেলী যুগে তাঁর কন্যাসন্তানকে জীবিত কবর দিয়েছেন বলে যে ঘটনা উল্লেখ আছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনাটি যে অসত্য উক্ত প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।
কুরআনুল কারীম অযু ব্যতীত স্পর্শ করা যাবে-কিনা এ সম্পর্কে আহলে ইলমগণ দ্বিমত পোষণ করেছেন; তবে যারা বলেন অযু ব্যতীত স্পর্শ করা বৈধ নয়, তাদের কথাই অধিক বিশুদ্ধ মনে হয়। এ মর্মে তিনজন শাইখের তিনটি ফাতওয়ার অনুবাদ পেশ করা হলো। ক. শাইখ আব্দুল্লাহ ইবন বায, খ. প্রফেসর ড. আহমদ ইবন মুহাম্মাদ আল-খলিল ও গ. শাইখ ইবন উসাইমীন রহ. প্রমুখদের ফাতওয়া।
কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত শেষে অনেককে দেখি ‘সাদাকাল্লাহুল আজিম’ বলেন, অথচ ইসলামি শরিয়তে তার কোনো প্রমাণ নেই, বরং এরূপ বলা বিদআত। এ বিষয়টি অত্র নিবন্ধে প্রমাণসহ পেশ করা হয়েছে।
আল্লাহ্ তা’আলা "كن" শব্দ বললেই যা ইচ্ছা একসঙ্গে সৃষ্টি হয়ে যায়, কিন্তু আদমের ক্ষেত্রে এরূপ করা হয়নি কেন, কেন তাকে বিভিন্নধাপে সৃষ্টি করা হয়েছে? এ ফতোয়ায় তার উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
প্রশ্নোত্তর : আমাদের সবার নিকট পরিচিত মীলাদুন্নবী বিদআত, কিন্তু অনেকেই মীলাদুন্নবী নামে অনুষ্ঠান করে নবীর জন্মানুষ্ঠান পালন করার জন্য নয়, বরং নবীর জীবন চরিত ও আনুষাঙ্গিক বিষয় আলোচনার জন্য, নবীর জন্ম দিন ও তারিখ মোতাবিক না হলে এ অনুষ্ঠান কি হারাম ? মীলাদ নামকরণই কি এ অনুষ্ঠান হারাম হওয়ার কারণ ? এসবের উত্তর এখানে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদাতের ‘ঈসালে সাওয়াব’ বা সাওয়াব পৌঁছানো সংশ্লিষ্ট তিনটি ফতোয়া: (১) জীবিত ব্যক্তির তিলাওয়াত বা ঈসালে সাওয়াব দ্বারা কি মৃত-ব্যক্তি উপকৃত হয় ? কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি করতেন ? (২) তিলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা কি বৈধ ? বিনিময়দাতা কি এ জন্য গুনাহগার হবে ? (৩) কুরআন অথবা অন্যান্য ইবাদাতের সাওয়াব কি মৃতদের নিকট পৌঁছে?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: আমি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন রমজানে ইফতার করেছি, এখন ৬০ জন মিসকিনকে খাদ্য দান করতে চাই। প্রশ্ন : এক সাথে দান করা জরুরী, না প্রতিদিন ৪ বা ৩ জন মিসকিন খাওয়ানোর সুযোগ রয়েছে, আমার পরিবারভুক্ত কেউ যদি গরিব হয়, তাদেরকে খাদ্য দান কি বৈধ হবে? যেমন আমার মা ও ভাই বোন?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল : আমার স্ত্রী মারা গেছেন এই চিঠি লেখার তারিখ থেকে দু’সাপ্তাহ পূর্বে। আল্লাহ তার উপর রহমত বর্ষণ করুন। তার জিম্মায় গত রমজানের সাতটি কাজা রোজা ছিল, যা তিনি মাসিকের কারণে পালন করতে পারেনি। কাজা করার পূর্বেই তিনি মারা গেছেন। এখন আমি তার পক্ষ থেকে রোজ পালন করব কি না ? প্রকাশ থাকে যে আমার উপরও এক মাসের কাজা রোজা রয়েছে। আমি কি আমারগুলো আগে পালন করব, অতঃপর তার পক্ষ থেকে পালন করব ?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: জনৈক ব্যক্তি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত প্রায় ছিল। অতঃপর দীর্ঘ সময় পর সুস্থ হয়, যাতে পার হয়েছে রমজানও, সে তখন কিছুই জানত না। দীর্ঘ দিন পর আল্লাহ তাকে সুস্থতা দিয়েছেন, এখন সে পরিপূর্ণ সুস্থ। তার উপর কোন কোন সালাত ও সিয়াম কাজা করা ওয়াজিব?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল : আমার মা মারা গেছেন, তিনি তার জীবদ্দশায় আমাকে বলেছেন যে, তার জিম্মায় দু’বছরে দু’রমজানের কাজা রোজা রয়ে গেছে। যখন রমজান এসেছে, তখন তখন তিনি গর্ভবতী ছিলেন। তিনি তার কাজা আদায় না করেই মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে সিয়াম পালন করব, না খাদ্য দান করব ? খাদ্য দান করার পদ্ধতি কি ? কিছু ছাগল যবেহ করে তা ষাট ঘরে বণ্টন করে দেব, না খাদ্য পরিমাণ নগদ অর্থ দেব?
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হল: আমার পিতা মারা গেছেন। অসুস্থতার কারণে গত বছর তিনি রমজানের দু’টি রোজা পালন করতে পারেননি। তিনি মারা গেছেন শাউয়ালে। আমাদেরকে বলেছেন, তিনি এ দু’দিনের পরিবর্তে খাদ্য দান করবেন। তার ব্যাপারে এখন আমাদের করণীয় কি ? আমরা কি তার পক্ষ থেকে রোজা রাখব ও খাদ্য দান করব, অথবা শুধু খাদ্য দান করলেই চলবে ? উলে¬¬খ্য যে আমাদের জানা নেই, তিনি খাদ্য দান কিংবা রোজা পালন করেছেন কি না। তিনি ডায়াবেটিস আক্রান্ত ছিলেন, তবুও রমজানের সিয়াম পালন করতেন।