প্রবন্ধটিতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসার মানদণ্ড উল্লেখ করা হয়েছে। সাথে সাথে কি কি কারণে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ভালবাসার দাবী মিথ্যা হয়, সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে।
যে ধর্মের নামেই রয়েছে শান্তির সুবাস, যে ধর্মের নবীকেই প্রেরণ করা হয়েছে জগতবাসীর জন্য শান্তি ও রহমত স্বরূপ, সে ধর্ম সম্পর্কে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের অভিযোগ তোলা হয় একান্তই বিদ্বেষপ্রসূতভাবে। ইসলাম বিদ্বেষী ভাইদের অপ্রচারে যাতে সরলমনা মুসলিম ভাই-বোনেরা বিভ্রান্ত না হন, তাই পবিত্র কুরআনে এদু’টি শব্দ কতভাবে এসেছে তা আলোচনা করে এ ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরার প্রয়াস চেষ্টা করা হয়েছে এ নিবন্ধে ।
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ যাতে আলোচিত হয়েছে ইসলামে মানবাধিকারের আদর্শিক ভিত্তি,বিভিন্ন জাতির মানবাধিকার বিষয়ক ধারণার ক্রমোন্নতি,মানাবধিকারের ক্ষেত্রে মানুষের দেয়া থিউরিসমূহের ত্রুটি ও এ ক্ষেত্র ইসলামি ভাবধারার পূর্ণাঙ্গতা,ভারসাম্য ও জীবন ও জগতের স্বচ্ছ প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণতা।
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন শেষ নবী ও রাসূল। তিনি প্রেরিত হয়েছেন জগৎবাসীর জন্য আদর্শ ও রহমত হিসেবে। তাঁর আবির্ভাবের সময় থেকে কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বাস ও আচরণের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র তাঁকেই অনুসরণ করে চলতে হবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি এসব বিষয়কে কেন্দ্র করেই সাজানো।
বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে : ১- আল্লাহ তাআলার জন্য দীনকে খালেছ করা ২- দুনিয়া ও আখেরাতের আজাব থেকে একমাত্র মুমিনরাই নিরাপদ থাকবে। ৩- ইবলিসের চক্রান্ত থেকে তারাই হেফাজতে থাকে।
মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা সবাই আদম সন্তান আর আদমকে বানানো হয়েছে মাটি দ্বারা। সুতরাং মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ নেই। হ্যাঁ যে মানুষ মানবতাবোধের অধিক মর্যাদা দিয়ে মানব তথা সৃষ্টির সেবার মাধ্যমে মহান স্রষ্টার নির্দেশ অধিক পালন করবে, সে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী হবে।
এমন কিছু আমল আছে, যার কোনো একটিও যদি কোনো মুসলিম সম্পাদন করে তবে সে দীন থেকে বের হয়ে গেছে বলে বিবেচিত হবে। ফলে তার সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে এবং চিরস্থায়ীভাবে (জাহান্নামের) আগুনে প্রবেশ করবে। সেসব গুনাহ মহান আল্লাহ তাওবা ব্যতীত ক্ষমা করেন না। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আমলগুলো সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হয়েছে।
যে কয়েকটি কুস্বভাব সরাসরি কুরআন হাদীসে নিন্দা করা হয়েছে গীবত বা পরচর্চা তার মাঝে অন্যতম। কুরআনে একে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা দেওয়া হয়েছে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে কুরআন ও হাদীসের আলোকে গীবতের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ যাতে লেখক আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতে দৃষ্টিতে এবিষয়ক আকিদার দালিলিক উপস্থাপনের প্রয়াস পেয়েছেন। আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আকিদা অনুযায়ী আল্লাহ আরশের উপরে আছেন এবং তাঁর আরশ হল আকাশের উপর।
আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করার পাশাপাশি অন্যান্য মুসলিম বিশেষ করে আলেমগণের সাথে ঈমানের দাবিতে সুসম্পর্ক স্থাপন করা একান্ত প্রয়োজন, এর মাধ্যমেই উম্মতের আক্বীদা ও আমল পরিশুদ্ধ থাকতে পারে। উম্মতের মধ্যে শাখা মাস’আলায় মতবিরোধ থাকতেই পারে, তা যেন তাদের ঐক্য বিনষ্ট না করে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। কারণ শাখা-প্রশাখায় মতভেদ থাকার সুনির্দিষ্ট কিছু কারণও রয়েছে। প্রবন্ধটিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে।
এ নিবন্ধে তাবিজ-কবচ, ঝাড়-ফুঁক ইত্যাদি বিষয় কুরআন, হাদিস ও পূর্বসূরীদের বাণী ও আদর্শের উপর নির্ভরশীল তথ্য ভিত্তিক আলোচনা পেশ করা হয়েছে। যা এ বিষয়ে পাঠকের সন্দেহ দূরীকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
সূরা আল আসর একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা। এ সূরায় এমন কিছু মৌলিক শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা রয়েছে যা অনুধাবন করতে পারলে, আমলে আনতে পারলে তাকওয়াপূর্ণ জীবনযাপন অনেকটাই সহজ হবে। ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেছেন, ‘মানুষ যদি এ-সূরাটি নিবিষ্ট হৃদয়ে অধ্যয়ন করে তবে তা তাদের জন্য যথেষ্ট হবে। বর্তমান প্রবন্ধটি এ বিষয়টিকে ঘিরেই।
স্রষ্টা ও সৃষ্টির মাঝে মাধ্যম মানার ব্যাপারটা অত্যন্ত বিপজ্জনক। ফকির, দরবেশ, কবর, মাজার, ইত্যাদিকে মাধ্যম বানিয়ে আল্লাহকে পেতে যাওয়া খুবই ঘৃণিত, শিরকপূর্ণ একটি কাজ যা অনেক মুসলিম দেশেই মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ব্ক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ ধরনের উসিলা সাব্যস্ত করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
এ নিবন্ধে ইসলামি আকিদার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেমন ইসলামি আকিদার ব্যাপকতা, স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও ভারসাম্যপূর্ণতা। এ সব বিষয় উদারহণসহ এ নিবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।