ইসলাম মহিলাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও প্রশিক্ষনের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছে। পিতা-মাতাকে মেয়ে সন্তানের ব্যাপারে এ সব বিষয়ে যত্নবান হওয়ার উৎসাহ দিয়ে তার সওয়াব বর্ণনা করেছে। বস্তুত মেয়েরা শিক্ষিত হলে তার দুনিয়াবী উপকারও রয়েছে। এর দ্বারা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হয়। কারণ শিক্ষিত মা অর্থই শিক্ষিত সন্তান। তাই এ প্রবন্ধে মহিলাদের শিক্ষিত করে তোলার গুরুত্ব ও সে ব্যাপারে কিছু দিক-নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এ নিবন্ধে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের প্রতি যত্ন ও দায়িত্বের বিষয়টি কুরআন ও হাদীছের আলোকে তুলা ধরা হয়েছে। কারণ, অতি গুরুত্বপূর্ণ এ সেবাখাতটি মুসলিমরা অমুসলিম এনজিওগুলোর ওপর ছেড়ে দেওয়ায় খ্রিস্টান মিশনারিগুলো বহু মানুষকে তাদের ধর্মে টেনে নিচ্ছে।
এ গ্রন্থে নারী শিক্ষার প্রতি উদ্বুদ্ধকারী কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশনাসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ থেকে হিজরী দশম শতাব্দি পর্যন্ত এই মুসলিম উম্মাতের মুহাদ্দিসা, ফকীহা ও আলেমাদের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
ফতোয়াটি একটি প্রশ্নের জবাব, আর তা হলো : আমার মাতার বয়স ৫৫ বছর। কিন্তু অজ্ঞতার কারণে কোন ওযর ছাড়াই কখনো কখনো তিনি সিয়াম ভঙ্গ করতেন। এখন তিনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখেন। তিনি কি নফলের নিয়ত করবেন না কাজার নিয়ত করবেন?
একটি প্র্রশ্নের উত্তের ফতোয়াটি প্রদান করা হয়। প্রশ্নটি হল: এখানে নারীদের কিছু পোশাক রয়েছে, যার আস্তীন লম্বা ও প্রশস্ত, এগুলো পরা কি বৈধ ? অনুরূপ মাহরাম পুরুষ ও অন্যান্য নারীদের সামনে সংকীর্ণ আস্তিন জাতীয় কাপড় পরা কি বৈধ ?
ফাতওয়াটি একটি প্রশ্নের উত্তরে প্রদত্ত হয়েছে। প্রশ্নটি হলো: একজন নারীর জন্য তিনজন অথবা চারজন পুরুষ বিয়ে করা কেন বৈধ নয়, অথচ পুরুষের জন্য তিনজন অথবা চারজন বিয়ে করা বৈধ ?
ফাতওয়াটি নারীদের পক্ষে মাহরাম ছাড়া শুধু মেয়েদের সাথে হজ করার বিধান প্রসঙ্গে। প্রশ্নটি হলো: আমি সৌদি আরবে বসবাস করি। সেখানেই আমার কর্মস্থল। গত বছর আমি আমার দুই বান্ধবীর সাথে হজ পালন করতে যাই, আমাদের সাথে কোনো মাহরাম ছিল না। এ বিষয়ে শরী‘আতের বিধান সম্পর্কে জানতে চাই।
ফাতওয়াটি মাহরামদেরকে সালাম দেওয়া প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের উত্তর। প্রশ্নটি হলো: মাহরামদেরকে সালাম দেওয়া এবং এ সময় চুম্বন ও করমর্দন করা কি জায়েয আছে? যদি জায়েয হয়ে থাকে তবে মাহরাম কারা? দুগ্ধপানের মাধ্যমে যারা মাহরাম হয় এ ক্ষেত্রে তাদেরও কি একই হুকুম ?
ঈদের নামাজে নারীদের উপস্থিতি ইসলামি শরিয়ায় অনুমোদিত একটি বিষয়। তবে শর্ত হল যথার্থরূপে পর্দা বজায় রাখা, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও ইসলামের আচার-অনুষ্ঠানের প্রদর্শনী প্রক্রিয়াকে উদ্দেশ্য হিসেবে নেয়া। সৌন্দর্য প্রদর্শন ও পুরুষ সম্প্রদায়কে আকৃষ্টকরণের মানসিকতা যেন কখনো স্থান না পায় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা। বর্তমান প্রবন্ধে এবিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।
আমাদের বর্তমান প্রকাশনাটি নারীর হজ ও উমরা বিষয়ে একটি মৌলিক গ্রন্থ। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযোজ্য বিধানাবলি বিশদভাবে বর্ণনার পাশাপাশি নারীর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য কিছু বিধানের অনুপুঙ্খ বর্ণনা স্থান পেয়েছে গ্রন্থটিতে। হজ পালনের পূর্বে এ গ্রন্থটির অধ্যয়ন বাংলা ভাষাভাষী নারী হজ পালনকারীদের ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক বলে মনে করি।
Follow us: