এ প্রবন্ধে হাদীসের আলোকে একজন আদর্শ স্বামীর গুনাবলী আলোচনা করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গৃহে তাঁর স্ত্রীদের সাথে কি ধরণের আচরণ করতেন সে সম্পর্কে পাঠক ধারণা পাবেন।
প্রবন্ধটিতে মুসলিম পরিবার গঠন ও সংরক্ষনে যা যা প্রয়োজন তা বর্ণনা করা হয়েছে। কিভাবে জীবন যাপন করলে পারিবারিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে, পরিবারের উপর আঘাত আসবে না, সম্পর্ক বিনষ্ট হবে না তা তুলে ধরা হয়েছে। সাথে সাথে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সংঘটিত বিবাদ মীমাংসার শরীয়ত নির্দেশিত পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে।
জান্নাতে একজন পুরুষের স্ত্রীসহ হূর নারী থাকবে, এ বিষয়টি নিয়ে কোনো এক নারী প্রশ্ন করে বলেছিল যে, এটা তার কাছে ইনসাফপূর্ণ মনে হচ্ছে না, ফতোয়াটি তারই উত্তর।
এ বইয়ে লেখক কনে দেখা, দেন মোহর, বিবাহ বন্ধন, অলীমাহ, স্বামী-স্ত্রীর পরস্পর অধিকার, তালাক, ইদ্দত, ইস্তিহাযা, নিফাস, গর্ভ-ধারণ ও জন্মনিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বৈবাহিক ও দাম্পত্য জীবনের যাবতীয় বিষয়ে খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন।
শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমীন রা. একটি প্রশ্নের উত্তরে ফতোয়াটি দিয়েছেন। প্রশ্নটি হল -টেলিফোনে স্বামী-স্ত্রীর যৌনালাপে লিপ্ত হওয়া এবং একে অন্যকে উত্তেজিত করা, যাতে তাদের একজনের অথবা উভয়ের বীর্যপাত ঘটে ( হাত ব্যবহার না করেই; কেননা হাত ব্যবহার করা হারাম) - এরূপ করা কি বৈধ হবে? বিশেষ করে আমার স্বামী প্রায়শঃ সফরে থাকেন, ফলে প্রতি চার মাস পর-পর আমাদের দেখা-সাক্ষাৎ হয়।
একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরে ফাতওয়াটি প্রদান করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো: আমার স্বামীর সাথে আচরণের ক্ষেত্রে সমস্যায় ভুগছি। আমি জানি সে আমাকে আহ্বান করলে, মানসিকভাবে প্রস্তুত না থাকলেও, তার কক্ষে যাওয়া আমার জন্য আবশ্যক। আরও জানি যে মিথ্যা বলা ন্যক্কারজনক অপরাধ। তবে আমার স্বামীকে খুশি করা আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এমতাবস্থায়, আমি পরিতৃপ্ত হয়েছি বলে ভান ধরা কী জায়েয হবে? আসলে আমি এ সমস্যায় ভুগছি। আমি মিথ্যাও বলতে চাই না, আবার সে আমাকে পরিতৃপ্ত করতে পারে নি এ কথা বলে তাকে বিব্রতও করতে চাই না। এভাবে পরিতৃপ্তির ভান ধরা থেকে বিরতও হতে পারছি না, আবার সে বিব্রত বোধ করবে ভয়ে তাকে খোলাখুলি বলতেও পারছি না। আশা করি আপনি আমাকে এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিবেন।
সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রীর কোনো দোয়া বলা ওয়াযিব কি না ? আর প্রথম সহবাসের আগে মুসলিম স্বামী-স্ত্রী জন্য সালাত আদায় করা ওয়াযিব কি না ? এ বিষয়ে ইসলাম কিউ এ জবাব দিচ্ছে অত্র ফতোয়াটিতে।
দাম্পত্যজীবন, ইসলামি ভাবধারার আওতায়, কিছু উন্নত আদর্শ-প্রিনসিপলের উপর প্রতিষ্ঠিত, যার মাধ্যমে অর্জিত হয় আল্লাহ কর্তৃক নির্দিষ্ট করে-দেয়া পবিত্র কিছু উদ্দেশ্য। বর্তমান প্রবন্ধ এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই।
Follow us: