এ কিতাবটিতে কবর যিয়ারতের পদ্ধতি, বৈধ ও অবেধ অসীলা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। এতে লেখক ওসীলা ও দো‘আ সংক্রান্ত প্রচলিত কতিপয় প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন, এমনকি কুতুব, গাউস ও পূণ্যবান ব্যক্তিদের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।
অত্র ভিডিও বক্তব্যটিতে কবর যিয়ারতের শরী‘আত সম্মত এবং শরী‘আত বিরোধী পন্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কুরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে শরী‘আত সম্মত পন্থায় কীভাবে কবর যিয়ারত করতে হয় এবং কোনো উপায়ে কবর যিয়ারত শরী‘আত অনুমোদন করে না তা বলা হয়েছে কখনো কখনো কবর যিয়ারত একজন বান্দাকে কীভাবে একদম মুশরিক বানিয়ে ফেলে তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
একটি প্রশ্নের উত্তরে ফাতওয়াটি প্রদান করা হয়। প্রশ্নটি হলো: নারীদের জন্য কবর যিয়ারত করা কি হারাম, মৃত ব্যক্তি যদিও তাদের আপন কেউ হয়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, لعن الله المرأة النائحة والمستمعة এ হাদীসে المستمعة শব্দের অর্থ কী? এর দ্বারা কি সে নারী উদ্দেশ্য যে ইনিয়ে-বিনিয়ে মানুষের কথা নকল করে অথবা সে নারী উদ্দেশ্য যে গান-বাজনা শ্রবণ করে অথবা সে নারী উদ্দেশ্য যে টেলিভিশন দেখে ও রেডিও শোনে? আশা করি এর ব্যাখ্যা দেবেন।
মাযার ও কবরের উদ্দেশ্যে কুরবানী, মান্নত ও হাদিয়া পেশ করা এবং এগুলোর প্রতি সম্মান প্রদর্শন একটি শরিয়তবিরুদ্ধ শিরকপূর্ণ আচার। মুসলিম উম্মাহকে এ ধরনের আচার থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম সতর্ক করেছেন খুবই জোড়ালভাবে। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধটি এ বিষয়েই একটি গুরুত্বপূর্ণ রচণা।
উহুদ: মদীনার একটি প্রসিদ্ধ পাহাড়। এ উহুদে সেই ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল, যাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চাচা হামযা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুসহ মুসলিমদের সত্তর জন শহীদ হন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাঁত ভাঙ্গে ও তাঁর সম্মানিত চেহারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ প্রবন্ধটিতে উহুদ শহীদগণের কবরস্থানে গিয়ে তাদের প্রতি সালাম ও তাদের জন্য দো‘আ করার উদ্দেশ্যে যিয়ারত করার শরী‘আত সম্মত বিধি-বিধান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।