প্রিয়নবী (সাঃ) এর জীবন-চরিত ও চারিত্রিক গুণাবলী সম্বলিত সুহিত সারসংক্ষেপ: এটি একটি বাংলা ভাষায় রচিত গ্রন্থ। যা সংকলন করেছেন ড. জামিল সারহান। উক্ত গ্রন্থটি সহজলভ্য শব্দাবলি দ্বারা রচিত। যারা নবী (সাঃ) এর মহৎ গুণাবলী, নীতিমালা ও গুরুত্বপূর্ণ চারিত্রিক ও শারীরিক বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং তাঁর সহধর্মিণী ও নিকটাত্মীয় প্রসঙ্গে নূন্যতম জ্ঞানার্জনে অভিপ্রায়ী, তাদের জন্য এই বইটি একান্ত প্রয়োজনীয়। ছকাকৃতি ও প্রকারভেদ বর্ণনার মাধ্যমে চমৎকারভাবে গ্রন্থকার বইটিকে রচনা করেছেন। এবং প্রত্যেক অধ্যায়ের পরে পরখ করার জন্য প্রশ্নপত্র সংযোজন করেছেন। এই গ্রন্থের সকল বিষয় মাত্রারিক্ত সংক্ষিপ্তকরন ও বিরক্তিকর দৈর্ঘ্যকরন থেকে মুক্ত।
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শ হচ্ছে এ দ্বীনের কার্যগত বাস্তবায়ণ। কারণ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শে ইসলামের সেসব বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ ঘটেছে যা এ দ্বীনকে সহজ, গ্রহণযোগ্য, প্রায়োগিক ও চিত্তাকর্ষক করে তুলে ধরেছে। কারণ এতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের বিধি-বিধান পূর্ণাঙ্গভাবে বিবৃত হয়েছে। এ দ্বীনের ইবাদত, লেনদেন, চারিত্রিক, বাহ্যিক ও আত্মিক সার্বিক দিকের পরিপূর্ণ চিত্র সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বস্তুত এ গ্রন্থটি ইমাম ইবনুল কাইয়্যেম কতৃক রচিত ‘যাদুল মা‘আদ ফী হাদীয়ে খাইরিল ইবাদ’ গ্রন্থের সংক্ষিপ্তরূপ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সীরাত সম্পর্কে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রিসালা। এখানে পাঠকদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের বিভিন্ন দিকগুলো অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি বিষয় আলোচনা করার সাথে সাথে হাদিস থেকে তার উপর এক বা একাধিক প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি একজন পাঠক রিসালাটি পড়ে উপকৃত হবেন এবং তার জীবনকে রাসূলের জীবন হিসেবে গ্রহণ করবেন।
আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পর তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ঈমান আনা, তাঁর আনুগত্য করা, তাঁর সম্পর্কে সঠিক ও সু-ধারণা পোষণ করা এবং তাঁকে মানতে গিয়ে কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জিত না করাই হচ্ছে রাসুল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসার মাপকাঠি। “আমরা কীভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসবো” শীর্ষক এ ভিডিও লেকচারটিতে সম্মানিত আলোচক ড. মানজুরে ইলাহী এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরেছেন।
মুমিনের জন্য সুন্নতে রাসূল অনুসরণের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা সুন্নাতী তরীকা ব্যতীত কোনো আমল কবুল হয় না। কিন্তু সুন্নাহের অনুসরণ করতে হলে সুন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। কোনটি সুন্নাহ আর কোনটি বিদ‘আত তা জানা না থাকলে উভয়ের মধ্যে পার্থক্য করা যেমন কঠিন হবে তেমনি বিদ‘আতকে সুন্নাহ আর সুন্নাহকে বিদ‘আত বলে চালিয়ে দেওয়া হবে। তখন সুন্নাহ যেমন কলুষিত হবে, অনুরূপভাবে ইসলামী শরী‘আতে বিদ‘আতের অনুপ্রবেশের ফলে শরী‘আতের মূল ভীত দুর্বল হয়ে পড়বে, দীনের মধ্যে বিকৃতি ঘটবে। সম্মানিত আলোচক “সুন্নতে রাসূল অনুসরণের সঠিক পদ্ধতি” বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরেছেন এ ভিডিও লেকচারটিতে।
উক্ত বইটিতে উম্মতের ওপর নবী মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে সকল অধিকার রয়েছে যেমন, তাঁর প্রতি ঈমান আনয়ন, তাঁর আনুগত্য ও মহব্বত করা, তাঁকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা, তাঁর দাওয়াতকে সম্প্রসারণ করা, যখনই তাঁর আলোচনা হবে তখনই দুরূদ পাঠ করা, তাঁর বন্ধুদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করা এবং শত্রুদেরকে ঘৃণা করার বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।
প্রতিটি মানুষের কর্তব্য তার নবীর পরিচয় জানা। কেননা আমাদের যে কেউ মারা গেলে তাকে কবরে শোয়ানোর পর তার দেহে প্রাণ ফিরিয়ে দেয়া হবে। অতপর দু’জন ফিরিশতা আসবেন। তারা তাকে বসিয়ে তার নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। এ পুস্তিকায় কুরআন-সুন্নাহর উদ্ধৃতি নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে।
উক্ত ভিডিওটিতে একজন মুমিনের জন্য আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজের সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসা, ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁর আনুগত্য করা, অন্যান্য নবী-রাসূলগণকেও ভালোবাসা, ভালোবাসার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি না করা এবং কোনো নবী-রাসূলের সম্মানহানিও না করা ইত্যাদি বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
একটি নিবন্ধে প্রকাশ করা হয়েছে যে, “আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকিদা: ১. নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত এবং তাকে সর্বদা চাক্ষুষভাবে দেখা যায়। ২. তিনি সবকিছু জানেন ও আল্লাহর মখলুক পর্যবেক্ষণ করেন। ৩. একই সময়ে তিনি বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমান ও উপস্থিত হতে পারেন”। তাদের বক্তব্য কি সঠিক? এ ফতোয়াতে তার উত্তর প্রদান করা হয়েছে।
এ ফতোয়ায় নিম্নের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে: “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নূরের তৈরি ছিলেন, না-মানুষ ছিলেন। এটা কি সত্য যে, তার কোনো ছায়া ছিল না, যদিও তিনি রৌদ্রে থাকতেন”?
এটি একটি অডিও ফাইল। এ ফাইলটিতে আল্লাহর আনুগত্য করা, তার রাসূলের অনুসরণ করা এবং শাসকের আনুগত্য করার বিষয়ে সূরা আন-নিসার ৫৯ ও ৬০ নং আয়াতের আলোকে আলোচনা করা হয়েছে।
এ ফতোয়ায় নিম্নের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে: আমি দু’টি কিতাবে পড়েছি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি, আল্লাহ তাকে স্বীয় নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন, এবং তার কারণে তিনি অন্যান্য মখলুক সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে আমার জ্ঞান পরিপক্ব নয়, অতএব আমাকে স্পষ্ট করে বলুন। শোকরান।
এ বইটিতে দরূদ শরীফ সম্পর্কে কুরআন ও সূন্নাহের সঠিক ও বিশুদ্ধ দিক নির্দেশনা কি তা তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়াও বইটিতে দরূদ পড়ার ফযিলত, গুরুত্ব, দরূদ পাঠের নিয়ম ও দরূদের শব্দসমূহ কি তা কুরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করা হয়েছে।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, “রাসূলুল্লাহর জীবনে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।” আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোট শিশুদের সাথে ভালোবাসা ও স্নেহপূর্ণ আচরণত করতেন, তাদের সাথে সহানুভুতিশীল হতেন, তাদের অনুভূতির প্রতি লক্ষ্য রাখতেন। এ প্রবন্ধে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন থেকে শিশু-কিশোরদের সাথে তাঁর আচরণের কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে।
প্রত্যেক মানুষের অপরিহার্য কর্তব্য হলো, নবী করীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পৃথিবীর সব কিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসা। দুনিয়া ও আখেরাতে এই ভালোবাসার বহুমূল্য প্রতিদান রয়েছে। কিন্তু তাঁর ভালোবাসার অনেক দাবীদারই হয় সীমালঙ্ঘন করে থাকে, নতুবা একে সীমিত নজরে দেখে। এই পুস্তকে তাই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসার গুরুত্ব, প্রকৃতি ও ফলাফল আলোচনা করা হয়েছে। পুস্তকটির শেষে মূল্যবান পুরস্কারের প্রতিযোগিতার প্রশ্ন রয়েছে।