নবী-রাসূলগণ আলাইহিমুস সালাম

এটি একটি অডিও ফাইল। এ ফাইলটিতে আল্লাহর আনুগত্য করা, তার রাসূলের অনুসরণ করা এবং শাসকের আনুগত্য করার বিষয়ে সূরা আন-নিসার ৫৯ ও ৬০ নং আয়াতের আলোকে আলোচনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তালা বলেন: বল, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। বল, তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য কর। তারপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে নিশ্চয় আল্লাহ কাফিরদেরকে ভালবাসেন না। [ সূরা আল ইমরান:৩১-৩২] অতঃপর যে ব্যক্তি আল্লাহর মহব্বতের দাবি করে অথচ রাসূলুল্লাহর আনুগত্য করে না, সে তার দাবিতে মিথ্যা। বক্ষ্যমাণ অডিওটি এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই সাজানো হয়েছে।

নবী করীম সা. এর উপর দুরূদ পাঠ করা গুরুত্ব সম্পর্কে এ অডিওটি সাজানো হয়েছে। আশা করি শ্রোতা মাত্রই এর দ্বারা উপকৃত হবেন।

1. আলোচ্য অডিওটিতে সম্মানিত আলোচক উল্লেখ করেন, আদম আলাইহিস সালাম ছিলেন প্রথম মানুষ এবং প্রথম নবী। আল্লাহ তা‘আলা মাটি দিয়ে তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার (আদম) থেকে সকল মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, আর বিবি হাওয়া আলাইহাস সালামকে সৃষ্টি করেছেন তার (আদম) পাঁজর থেকে। অতঃপর তাদেরকে প্রবেশ করালেন জান্নাতে এবং তাদেরকে বললেন যা ইচ্ছা খেতে পারো, কিন্তু ঐ গাছটির নিকটেও যেও না। কিন্তু শয়তান তাদেরকে বিভ্রান্ত করলো, ফলে তারা আল্লাহর নিষেধ উপেক্ষা করে ঐ গাছের ফল ভক্ষন করলেন। আল্লাহর আদেশ অমান্য করার কারণে তিনি তাদেরকে জান্নাত থেকে বের করে দিলেন। তারা পৃথিবীতে আগমন করলেন। অতঃপর আদম আলাইহিস সালাম আল্লাহর কাছ থেকে কিছু শিখে নিলেন এবং তা আমল করলেন। ফলে আল্লাহ তাদের ক্ষমা দিলেন। এরপর থেকে তাদের থেকে একের পর এক সন্তান আসল। পৃথিবীতে সকল মানুষ তার সন্তান। তাই মানুষকে বলা হয় বনী আদম। 2. আলোচ্য অডিও লেকচারটিতে সম্মানিত আলোচক উল্লেখ করেন যে, আদম আলাইহিস সালামের পর পৃথিবীতে বেশ কয়েকজন ভালো মানুষ ছিলেন। এর মধ্যে পাঁচজন ব্যক্তি ছিলেন যাদেরকে সবাই তাদের ভালোবাসতো। তাদের মৃত্যুর পর শয়তানের প্ররোচনায় প্রথমে তাদের চিত্র অংকন, অতঃপর পাথর খোদাই করে তাদের মূর্তি বানিয়ে তাদের পূজা শুরু করলো। তখন আল্লাহ তা‘আলা নূহ আলাইহিস সালামকে পাঠালেন। নূহ আলাইহিস সালাম তাদেরকে মূর্তি পূজা করতে নিষেধ করলেন, তার কথা শুনে ধনী ব্যক্তিবর্গ তাকে চুপ করতে বললেন, কিন্তু দরিদ্র দুর্বল লোকেরা তাঁর প্রতি ঈমান আনল। তিনি ৯৫০ বছর মানুষকে আল্লাহর পথে ডেকেছেন। কিন্তু অধিকাংশই আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে নি। তখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে একটা নৌকা বানাতে নির্দেশ দিলেন, যা দেকে তার কাওমের লোকেরা উপহাস করছিল। নূহ আলাইহিস সালাম তার সাথীদের নিয়ে নৌকায় উঠলেন, বাকি যারা ছিল সবাই মহা প্লাবনে ডুবে মারা গেলেন।

আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার পর তাঁর রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ঈমান আনা, তাঁর আনুগত্য করা, তাঁর সম্পর্কে সঠিক ও সু-ধারণা পোষণ করা এবং তাঁকে মানতে গিয়ে কোনো বিষয়ে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জিত না করাই হচ্ছে রাসুল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসার মাপকাঠি। “আমরা কীভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবাসবো” শীর্ষক এ অডিও লেকচারটিতে সম্মানিত আলোচক ড. মানজুরে ইলাহী এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা তুলে ধরেছেন।

একটি গুরুত্বপূর্ণ অডিও। নবুওতপূর্বকালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনে অনেক এমন ঘটনা ঘটেছে যা পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত করে যে তিনি আল্লাহর পক্ষ প্রেরিত রাসূল হবেন। অডিওটি এ বিষয়কে কেন্দ্র করেই আবর্তিত।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নবুওতপূর্ব দিনগুলোতেও কোনো অন্যায়, অনাচার, অশালীনকর্ম, মিথ্যা, কপটতা ইত্যাদি থেকে সম্পর্ণভাবে পবিত্র ছিলেন। অডিওটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওতপূর্ব জীবনের ঘটনা-অনুঘটনাকে কেন্দ্র করেই উপস্থাপিত।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর জীবনের শেষ কয়টি দিন কিভাবে কেটেছে, উম্মতের জন্য তাতে কী কী শিক্ষা রয়েছে সে সম্পর্কে অডিওটিতে সংক্ষিপ্তাকারে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি সকলেই এর দ্বারা উপকৃত হবেন।