সালাত বা নামায

সালাত (নামাজ) এর শর্তসমূহ পর্ব।

সালাত (নামাজ) এর ওয়াজিবসমূহ পর্ব।

ওযু এর বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ পর্ব।

সালাত (নামাজ) এর রুকনসমূহ পর্ব।

প্রার্থনা

“সালাত নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা” শীর্ষক আলোচ্য ভিডিও লেকচারটিতে সম্মানিত আলোচক প্রফেসর ড. খন্দকার আ.ন.ম আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সালাতের তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। সালাত আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় আমল ও তাঁর নৈকট্য লাভের ও মর্যাদা বৃদ্ধির কারণ। আল্লাহ তা‘আলা মানুষ ও জিন্ন উভয় জাতিকে তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। সালাত এমন এক ইবাদত যা সারা বছর দৈনিক পাঁচবার আদায় করতে হয়, মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অবস্থাতেই তা মাফ হয় না এমনকি মৃত্যুশয্যাতেও সালাত হতে বিরত থাকার কোনো বিধান নেই। আর সালাত বাস্তবায়িত হয় তার বিধানাবলী তথা রুকন ও ওয়াজিবসমূহ শিক্ষা, সালাতে একাগ্রতা ও পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যমেই।

সালাত ইসলামের দ্বিতীয় রুকন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সব কিছুর মূল হচ্ছে ইসলাম, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে সালাত। সালাত আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় ও সর্বোত্তম আমল। কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম বান্দার সালাতের হিসাব হবে। যদি তার সালাত ঠিক হয় তবে তার সব আমল-ই ঠিক হবে। আর তার সালাত বিনষ্ট হলে, তার সব আমল বিনষ্ট হবে। দৈনন্দিন পাঁচবার আমাদের সালাত আদায় করতে হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেভাবে আমাদের সালাত আদায় করতে শিক্ষা দিয়েছেন, সেভাবে তা আদায় করা আমাদের কর্তব্য। সম্মানিত আলোচক সালাতের বিস্তারিত বিষয়সমূহ তুলে ধরেছেন এ ভিডিও লেকচারটিতে।

এই ভিডিওতে নামাযের গুরুত্বের কথা আলোচনা করা হয়েছে

এই ভিডিওতে নামাযের গুরুত্বের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে

চাশতের নামাজ হলো একটি নফল নামাজ

জামাতে নামাজ পড়ার সময় ইমামের অনুসরণ করার প্রয়োজন রয়েছে

নামাজের অবস্থায় সিজদার বিবরণ

এ ভিডিও লেকচারটিতে সালাতের গুরুত্ব, তাৎপর্য, সালাতের ফরয হওয়া এবং সালাত ত্যাগকারীর বিধান সম্পর্কে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যেমন, আল্লাহ বলেন, “নিশ্চই সালাত মুমিনদের ওপর নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা ফরয।” রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ১. “কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব হবে।” ২. “যে ইচ্ছা করে সালাত ছেড়ে দিল সে কুফুরী করল।” ৩. “আমাদের মাঝে আর কাফিরদের মাঝে পার্থক্য হচ্ছে সালাত।” ইত্যাদি।

এ ভিডিওতে ফরয সালাতের ফজিলত, যেমন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত তার মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফফারা স্বরূপ; পাঁচ ওয়াক্ত সালাত চলমান নহরের মত, যাতে দিনে পাঁচ বার গোসল করলে শরীরে কোনো ময়লা থাকে না এবং সালাত ত্যাগকারীর শাস্তির বর্ণনাও স্থান পেয়েছে এতে।

প্রতিটি ইবাদত আদায়ের রয়েছে সুনির্দিষ্ট ধরন ও পদ্ধতি। এসব পদ্ধতির কিছু স্বয়ং আল্লাহ তাআলা নিজ দায়িত্বে স্পষ্ট করেছেন। আর কিছু ওহীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী স্পষ্ট করে গেয়েছেন প্রিয় মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তন্মধ্যে অন্যতম একটি হলো নামাজ। বক্ষ্যমাণ ভিডিওটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামাজ আদায় পদ্ধতিকে কেন্দ্র করেই উপস্থাপিত। আশা করি ভিডিওটি দেখে সুধীদর্শক নামাজ আদায়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণে সচেষ্ট হবেন; কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:‘তোমরা নামাজ পড়ো যেভাবে আমাকে নামাজ পড়তে দেখেছ’(বুখারী)।

নামাজের মধ্যে রুকু ও সিজদার একটি জিকির

অত্র ভিডিওটিতে কিয়ামুল লাইল তথা রাত্রি জাগরণ করে ইবাদাত করা সালাত কিংবা অন্য ইবাদাত হোক বিশেষ করে রমযানের রাতে ইবাদত করার ফযীলত সম্পর্কে সূরা সাজদাহর ১৬ ও ১৭ নং আয়াত, আয়াতের ব্যাখ্যা ও বিভিন্ন হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে। তম্নধ্য হতে একটি হচ্ছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের নিয়তে রমযান মাসে রাত্রি জেগে ইবাদাত করবে তার পেছনের জীবনের সমস্ত গুণাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে ” কুরআন-সুন্নাহর আলোকে তারাবীহর সালাত ও রাতের অন্যান্য নফল সালাতের বিধি-বিধান এবং এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

উক্ত ভিডিও বক্তব্যটিতে কোনো কোনো মুসল্লী স্বীয় সালাতে যেসব ভুল করে থাকেন সেগুলোর বিবরণ পেশ করা হয়েছে। যথা: একদম পাতলা পোষাক পরিধান করা, প্রাণীর ছবি সম্বলিত পোষাক পরে সালাত আদায় করা, অযথা মুখে নিয়ত করা, উপরের দিকে তাকিয়ে সালাত আদায় করা, ডানে-বামে তাকানো, রুকনগুলো আদায়ে অতিরিক্ত তড়াতাড়ি করা ইত্যাদি উল্লেখ করার পর সঠিকভাবে সালাত আদায়ের পন্থাও উপস্থাপন করা হয়েছে।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামাআতে সালাতের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতেন, সাহাবাদের মাঝেও এ ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। ভি, ডি, ও ফুটেজটিতে এ বিষয়টিই উপস্থাপন করা হয়েছে।