ইবাদাতের ফিকহ

এ বইতে সহীহ হাদীসের আলোকে সাওম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পাঠক এতে সাওম, তারাবীহ, ই‘তিকাফ ও সালাতুল ঈদ সম্পর্কে সহীহ হাদীসসমূহ জানতে পারবেন এবং কোন প্রকার তাফসীরী ও ফিকহী ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ছাড়াই সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহীহ হাদীসের উপর আমল করতে সক্ষম হবেন। কিতাবটি ফিকহী অধ্যয় অনুযায়ী সাজানো হয়েছে এবং সহীহ বুখারীকে এর মূল উৎস হিসেবে রাখা হয়েছে। এছাড়াও বুখারীর হাদীস ও বাবের সাথে সাথে অন্যান্য সহীহ হাদীসের কিতাব যেমন: মুসলিম ও অন্যান্য সুনানসমূহ থেকে -আল্লাহ যা সহজ করেছেন- সহীহ হাদীস সংযোজন করা হয়েছে। তবে এটা দাবী করা যাবে না যে, এ কিতাবে সাওম সম্পর্কিত রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সব সহীহ হাদীসই সংকলিত হয়েছে।

এ প্রবন্ধে সালাতুল আউয়াবীনের পরিচিতি, ফযিলত, ওয়াক্ত, রাকা‘আত সংখ্যা ও এ সালাতের হুকুম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

আলোচ্য নিবন্ধে রোযার গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য কুরআন সুন্নাহর আলোকে বর্ণনা করা হয়েছে; এছাড়াও রোযার মৌলিক শিক্ষাসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি রমযানে আমাদের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরার প্রয়াস চালানো হয়েছে।

এ প্রবন্ধে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ে সাওম এবং সমাজে এর প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইতিহাস ও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পর্যালোচনা করে দেখা যায় ইসলাম ধর্মে যেমন সাওম পালনের বিধান আছে, তেমনিভাবে অন্যান্য জাতি ও সম্প্রদায়ের ধর্মেও সাওমের বিধান রয়েছে। সুন্দর সমাজ গঠনে সাওমের ভূমিকা অপরিসীম।

হজ ও উমরার পদ্ধতি সংক্ষেপে সন্নিবেশিত হয়েছে এ ছোট্ট পুস্তিকাটিতে।

গ্রন্থটিতে সংক্ষিপ্তভাবে ঈদুর ফিতরের বিবিধ বিধি-বিধান ও যাকাতুল ফিতরের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।

লেখক বলেন, রোযা ও রমযানের মত একটি মহান উৎসাহ ও উদ্দীপনা তথা আনন্দমুখর মৌসুমকে ঘিরে যে সকল জানা ও মানার কথা এতে পরিবেশিত হয়েছে- তার সবই মুসলিমের জন্য প্রয়োজনীয়। হয়তো নতুন কথা কিছু নয় তবে অনেক কথা জানার আছে, মানার আছে। বইটির কলেবর বৃহৎ হলেও কোনো কথা ফেলনার নয়; নয় অপ্রাসঙ্গিক। আশা করি পাঠকমাত্রই অলসতা ছেড়ে পড়ে নেবেন আর ইমাম সাহেবান পারলে মুসল্লিদের শুনিয়ে দেবেন, এতে করে অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।

বইটিতে গ্রন্থকার কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে যিলহজের প্রথম দশদিনের ফযীলত ও করণীয়, ঈদুল আযহার করণীয়-বর্জনীয়, আইয়ামে তাশরীকের আমলসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

এ গ্রন্থে লেখক হজ্জ ও উমরার বিধি-বিধান বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। তিনি এ গ্রন্থে প্রতিটি কথার পক্ষে কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবা, তাবেয়ীনদের বাণী তুলে ধরেছেন এবং এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রদান করেছেন।

গ্রন্থটিতে লেখক দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় যিকিরসমূহ, নামাযের বিভিন্ন মাসআলা ও আরও কিছু প্রয়োজনীয় বিষয়াদি উল্লেখ করেছেন।

এটি সাওম বিষয়ক একটি ফাতওয়া সংকলন। যেখানে সাওম, রমযান, রমযানের করণীয়, মহিলাদের সাওমের মাসআলা, তারাবীহ সংক্রান্ত মাসআলা, সাওমের কাযার বিধি-বিধান, যাকাতুল ফিতরের মাসআলাসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসআলায় সৌদী আরবস্থ বড় বড় আলেম ও সর্ব্বোচ্চ উলামা পরিষদের ফাতাওয়া তুলে ধরা হয়েছে।

“ফজর সালাত ও কিয়ামুল লাইলের জন্য সহায়ক উপকরণ” গ্রন্থে লেখিকা নিম্নের বিষয়গুলো উপাস্থাপন করেছেন: ক. ফজরের সালাতের প্রতি শিথিলতা প্রদর্শন। খ. ফজরের সালাতে উপস্থিতির সুফল ও অনুপস্থিতির কুফল গ. কিয়ামুল লাইলের ফজিলত। ঘ. কিয়ামুল লাইলের দুনিয়া ও আখেরাতের উপকারিতা। ঙ. কিয়ামুল লাইলের সহায়ক উপকরণ। চ. কিয়ামুল লাইল ত্যাগকারীকে সতর্ক করা। ছ. কিয়ামুল লাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ।

লেখক বলেন: “আমার এ গ্রন্থ রাতের সালাত সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত রচনা। এখানে আমি তাহাজ্জুদের অর্থ, কিয়ামুল লাইলের ফযিলত, উত্তম সময়, রাকাত সংখ্যা, আদব ও কিয়ামুল লাইলের সহায়ক উপকরণ উল্লেখ করেছি। অনুরূপ তারাবীর সালাতের অর্থ, হুকুম, ফযিলত, সময়, রাকাত সংখ্যা ও তাতে জামাতের বিধান উল্লেখ করেছি। আরো উল্লেখ করেছি বেতের সালাত, বেতের সালাতের হুকুম, ফযিলত, সময় ও বিভিন্ন প্রকার, রাকাত সংখ্যা ও তাতে কিরাতের বর্ণনা ইত্যাদি। প্রত্যেকটি মাসআলা আমি দলিলসহ বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি।”

কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান: প্রবন্ধটিতে কুরবানী প্রচলনের ইতিহাস, কুরবানীর প্রকারভেদ, উদ্দেশ্য, গুরুত্ব, বিধান, পশু-বাছাইয়ের নিয়ম-পদ্ধতি, কুরবানীতে অংশীদ্বারিত্বের হুকুম, যবেহের নিয়মাবলি ইত্যাদি বিধানসমূহ স্থান পেয়েছে।

আলোচ্য রচনায় আল-কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে হজের কিছু শিক্ষা ও মর্মার্থ তুলে ধরা হয়েছে।

সংক্ষিপ্ত হজ্জ উমরা ও যিয়ারত: গ্রন্থটিতে হজ উমরা ও যিয়ারত সংক্রান্ত কাজসমূহের দলীলভিত্তিক আলোচনার স্থান পেয়েছে। এটি মূলত কয়েকজন গবেষকের সম্মিলিত প্রচেষ্টার সংক্ষিপ্ত রূপ, যাদের অন্যতম ছিলেন, ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া -গবেষক ও সম্পাদক হিসেবে এবং নুমান আবুল বাশার ও আলী হাসান তৈয়ব -তারা এ গবেষণা কর্মটির পিছনে যথেষ্ট শ্রম দিয়েছেন। গ্রন্থটি সম্পর্কে আমরা এটুকু বলতে পারি যে, বাংলা ভাষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন এবং এ সংক্রান্ত সবচেয়ে সুন্দর গ্রন্থ।

আলোচ্য রচনায় আল-কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে হজ্জ, উমরা ও যিয়ারতের সঠিক পদ্ধতি বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে এবং পাশাপাশি মাসনূন কিছু দো’আ উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রবন্ধটিতে উমরার বিশুদ্ধ পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। অর্থাৎ শরী‘আত বর্ণিত সঠিক পদ্ধতিতে একজন উমরাকারী মীকাত থেকে কীভাবে ইহরাম বাঁধবে, মক্কায় কাবার কাছে গিয়ে কি করবে, তাওয়াফ ও সাঈ কিভাবে সম্পন্ন করবে।

সালাতের সময়সূচি: গ্রন্থকার শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন সালাতের ওয়াক্তসমূহের দলীলভিত্তিক আলোচনা উপস্থাপনা করেছেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মাসআলার সুন্দর সমাধান পেশ করেছেন।

আযান ও ইকামত: লেখক এ কিতাব সম্পর্কে বলেন: “এ বইটি একটি ছোট পুস্তিকা, এতে আমি অতি সংক্ষেপে আযান ও ইকামতের হুকুম, অর্থ, ফযিলত, নিয়ম-পদ্ধতি, মুয়াজ্জিনের আদব, আযান ও মুয়াজ্জিনের শর্তসমূহ, সুবহে সাদেকের পূর্বে প্রথম আযান, কাযা ও দুই সালাত এক সাথে আদায় করার সময় আযান ও ইকামতের বিধান, মুয়াজ্জিনের জবাব দেয়ার ফযিলত, আযানের পর মসজিদ থেকে বের হওয়ার হুকুম এবং আযান ও ইকামতের মাঝখানে বিরতি ইত্যাদি বিষয়গুলো দলিলসহ আলোচনা করার প্রয়াস পেয়েছি।