প্রবন্ধটিতে মুসলিম জাতির বিপর্যয়ের কারণসমূহ কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

প্রবন্ধকার এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষাদান পদ্ধতি, সিলেবাস ও শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য কি ছিল তা তুলে ধরেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শিক্ষার উদ্দেশ্য ছিল আখেরাতমুখিতা, যা বর্তমান অনেক শিক্ষাক্রমে অনুপস্থিত। তিনি এ ব্যাপারে বেশ কিছু বাস্তব উদাহরণ পেশ করেছেন। তাছাড়া আমাদের প্রচলিত শিক্ষাক্রম কেন উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে তাও বর্ণনা করেছেন।

‘ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপন : মুসলিমদের করণীয়’ প্রবন্ধটিতে বাংলা নববর্ষ উৎসব ‘পহেলা বৈশাখ’ উদযাপনের মতো যে অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে এবং তাতে যেসব কুসংস্কার ও দ্বীন-বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে থাকে তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে প্রত্যেক মুসলিমের করণীয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

এ নিবন্ধে কুরআন-সুন্নাহর মিডিয়ার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে।

ইসলামের দৃষ্টিতে ভালবাসার মর্যাদা এবং ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’টির উৎপত্তি ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে এ-প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।

প্রবন্ধটিতে সৎ-কাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর সংশোধনের গুরুত্ব নির্দেশ করা হয়েছে। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কীভাবে উম্মাহকে সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজ থেকে নিষেধ করার মাধ্যমে সংশোধন করতেন তারও বর্ণনা এসেছে।

এ নিবন্ধে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামী মিডিয়ার প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব ও এর তীব্র প্রয়োজনীয়তার কথা কুরআন-সুন্নাহ ও বাস্তবতার আলোকে তুলে ধরা হয়েছে।

উৎসব পালন, মানুষের একটি স্বভাবজাত আচরণ, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে একটি সামগ্রিক ফিনমিনন। তবে ইসলাম-প্রবর্তিত উৎসব মেজাজে, ধরন-ধারণে সম্পূর্ণ ভিন্ন; কেননা তা হল আন্তর-বিশ্বাস ও জীবনসংলগ্ন। বিজাতীয় দিবস-উৎসবে অংশগ্রহণ মুসলমানের জন্য সাজে না, বৈধ নয়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে লেখক এ বিষয়গুলোকেই উন্মোচিত করেছেন যৌক্তিক ভাষায়।

মানবজীবনে সময়ের গুরুত্ব খুব চমৎকারভাবে বিশ্লিষ্ট হয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে। সময়ই জীবন, অতঃপর যে ব্যক্তি তা অবহেলায় কাটালো সে জীবনকেই ধ্বংস করল, আর যে ব্যক্তি তা ইহ-পরকালীন কল্যাণে ব্যয় করল সে সফলকাম হল।

বান্দার উপর আল্লাহর অনুগ্রহের একটি হল, তিনি তার বান্দাদের জন্য ইবাদত-বন্দেগীর কিছু মৌসুম রেখেছেন, যেখানে তারা সৎ কাজ অধিকমাত্রায় পালন করবে, আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়ক কর্মসমূহ সম্পাদনে তারা প্রতিযোগিতায় নামবে। অতঃপর সে ব্যক্তি সৌভাগ্যবান যে এ মৌসুমগুলো যথার্থরূপে কাজে লাগাবে, অবহেলায়, গুরুত্বরহিত হয়ে তা অতিক্রান্ত হতে দেবে না। এ অনন্য বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত মৌসুমগুলোর একটি হল যিলহজের প্রথম দশক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহজের এ দিনগুলোকে পৃথিবীর সর্বোত্তম দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং এ সময়ে সৎ কাজ করার প্রতি তিনি উৎসাহ দিয়েছেন। শুধু তাই নয় বরং স্বয়ং আল্লাহ তাআলা এ দিবসগুলো নিয়ে শপথ করেছেন। ফজিলত ও মর্যাদায় অনন্য হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট; কেননা যিনি মহান তিনি মহিমান্বিত বিষয় ছাড়া শপথ করেন না। অতএব বান্দার উচিত এ দিনগুলোয় সৎ কর্ম বাড়িয়ে দেয়া, এ ক্ষেত্রে অধিকমাত্রায় শ্রম দেয়া, উত্তমভাবে এ দিনগুলোকে স্বাগত জানানো। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে যিলহজের প্রথম দশক সংক্রান্ত কিছু ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, সাথে রয়েছে ঈদুল আযহা ও কুরবানীর কিছু আহকাম।

এ প্রবন্ধে লিখক আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন শিক্ষক কীভাবে শিক্ষকতায় সফল হতে পারেন তা তুলে ধরেছেন।

রাসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘরে ঈদের আনন্দ উৎসবের আকার-প্রকৃতি, ধরন-ধারণের উপর সাজানো হয়েছে বর্তমান প্রবন্ধটি। আশা করি পাঠক মাত্রই উপকৃত হবেন।

মাহে রমজানে সালাফে সালেহীনদের আমল চর্চার রূপ-আকৃতি কেমন ছিল, মাহে রমজানে তাদের ইমান ও তাকওয়া চর্চার ধরন-ধারণ কেমন ছিল। আমল কবুল হওয়ার আলামত কি এবং কিভাবে মাহে রমজানকে বিদায় জানানো উচিত হবে এসব বিষয় নিয়েই সাজানো হয়েছে বর্তমান প্রবন্ধটি। রোজাদার মাত্রই উপকৃত হবেন বলে বিশ্বাস।

মাহে রমজানের বিদায় সম্পর্কিত কিছু ভাবনা স্থান পেয়েছে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে। রমজান থেকে আমরা কি পেলাম, যে ব্যক্তি মাহে রমজানের শিক্ষা ভুলে গেল সে অই নারীর মতো হয়ে গেল যে দিবস শেষে তার বুননকৃত সুতো খুলে ফেলল, এ বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে। ঈদের কিছু আহকামও স্থান পেয়েছে বর্তমান প্রবন্ধে।

সৎ ব্যক্তিরা কীভাবে রমজান যাপন করতেন। আমল কবুল হওয়ার আলামত কি-কি, আমরা কীভাবে মাহে রমজান শেষ করব, ঈদের রাতের আমল কি? এসব বিষয়ে বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে।

ঈদের নামাজে নারীদের উপস্থিতি ইসলামি শরিয়ায় অনুমোদিত একটি বিষয়। তবে শর্ত হল যথার্থরূপে পর্দা বজায় রাখা, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ও ইসলামের আচার-অনুষ্ঠানের প্রদর্শনী প্রক্রিয়াকে উদ্দেশ্য হিসেবে নেয়া। সৌন্দর্য প্রদর্শন ও পুরুষ সম্প্রদায়কে আকৃষ্টকরণের মানসিকতা যেন কখনো স্থান না পায় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা। বর্তমান প্রবন্ধে এবিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

এ নিবন্ধে রজব মাস ও তাতে রোজার ফজিলত সম্পর্কে প্রচলিত বিভিন্ন হাদিসের শুদ্ধতা ও অশুদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যাতে প্রতীয়মান হয় যে, রজব সংক্রান্ত কিছু হাদিস রয়েছে জয়িফ আর কিছু রযেছে জাল, যার ওপর আমল করা দুরস্ত হবে না।

একজন সফল গার্ডিয়ানের কিছু মৌলিক গুণাবলি রয়েছে যা অর্জিত হলে ছেলেমেয়ে ও পোষ্যদেরকে, মননে-আখালাকে-চরিত্রে যথার্থরূপে বড় করে তোলা অনেকটাই সম্ভব হয়ে ওঠে। বর্তমান প্রবন্ধে এগুণগুলো সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা কর্তৃক পৃথিবীবক্ষে প্রতিস্থাপিত পরিবেশ খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, বৃক্ষ-লতা, কীট-পতঙ্গ পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের সুনিপুন ভারসাম্য রক্ষায় পালন করে যাচ্ছে নিরবাচ্ছিন্ন ভূমিকা। আল কুরআন পৃথিবীর এ পরিবেশকে অক্ষণ্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছে, এবং এতে যেকোনো প্রকার বিপর্যয় সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে স্পষ্ট ভাষায়। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধ এ বিষয়টির উপরই আলোকপাত করেছে।

মানুষ এমন এক সৃষ্টি যার মাঝে ঘটেছে বৈপরিত্যের বিপুল সমাহার। একই সঙ্গে সে প্রখর মেধা, তীক্ষ্ন জ্ঞান, নব সৃজন, নয়া উদ্ভাবন ও নিজেকে নিয়ে চিন্তা করার মতো শক্তির অধিকারী। তেমনি সে রূপকথা ও কল্পকাহিনী নির্মাণ এবং তার যথেচ্ছ ব্যবহারেও সক্ষম। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে এ বিষয়টির উপরই আলোকপাত করা হয়েছে।