(1) হে বস্ত্রাবৃত (নবী)!
(2) রাতে (তাহাজ্জুদের) সালাতে দাঁড়াও, কিছু অংশ বাদ দিয়ে। ( রাতের বেশীর ভাগ সময় জেগে ইবাদাত করে।)
(3) রাতের অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কিছুটা কম (এক তৃতীয়াংশ)।
(4) অথবা তার চেয়ে আরো কিছু বাড়াও (দুই তৃতীয়াংশ)। আর স্পষ্টভাবে ধীরে ধীরে আল-কুরআন তিলাওয়াত করো।
(5) (হে রাসূল!) নিশ্চয় আমি তোমার প্রতি এক অতি ভারী (গুরুত্বপূর্ণ) বাণী (আল-কুরআন) নাযিল করছি।
(6) নিশ্চয় রাতের সময়গুলো আত্মসংযমের জন্য অধিক কার্যকর এবং (দু‘আ ও আল-কুরআন) স্পষ্টভাবে পাঠ করার জন্য অধিকতর উপযোগী।
(7) নিশ্চয় দিনের বেলায় তোমার জন্য রয়েছে দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা।
(8) আর তুমি তোমার রবের নাম স্মরণ করো এবং একাগ্রচিত্তে (তার জন্যেই) ইবাদাতকে খাঁটি করে) তাঁর প্রতি মনোনিবেশ করো।
(9) তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের রব, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। সুতরাং তাঁকেই তুমি কার্য সম্পাদনকারীরূপে গ্রহণ করো।
(10) আর (মিথ্যারোপকারী) লোকেরা (কটূক্তি ও গালমন্দ) যা-ই বলে, তাতে তুমি ধৈর্যধারণ করো এবং সৌজন্য সহকারে তাদেরকে পরিহার করে চলো।
(11) আর (ফয়সালার জন্যে) ছেড়ে দাও আমাকে এবং বিলাস সামগ্রীর অধিকারী মিথ্যারোপকারীদেরকে। আর তাদেরকে (মৃত্যু আসা পর্যন্ত) কিছুকাল অবকাশ দাও।
(12) নিশ্চয় (পরকালে এদেরকে শাস্তি দিতে) আমার নিকট রয়েছে ভারী শিকলসমূহ ও প্রজ্বলিত আগুন।
(13) আর কাঁটাযুক্ত খাদ্য, যা গলায় আটকে যায় এবং যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
(14) যেদিন জমিন ও পাহাড়সমূহ প্রকম্পিত হবে এবং পাহাড়গুলো চলমান উড়ন্ত বালুকারাশিতে পরিণত হবে।
(15) নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য স্বাক্ষীস্বরূপ(১) তোমাদের কাছে রাসূল (মুহাম্মাদকে) পাঠিয়েছি যেমনিভাবে ফির‘আউনের কাছে রাসূল (মূসাকে) পাঠিয়েছিলাম।
(16) কিন্তু ফির‘আউন রাসূলকে অমান্য করলো। তাই আমি তাকে অত্যন্ত শক্তভাবে (শাস্তি দিয়ে) পাকড়াও করলাম।
(17) অতএব তোমরা যদি কুফরী করো, তাহলে তোমরা (কিয়ামতের) সেদিন কীভাবে আত্মরক্ষা করবে, যেদিন কিশোরদেরকে বৃদ্ধে পরিণত করে দিবে?
(18) সেদিন আসমান হবে বিদীর্ণ, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে।
(19) নিশ্চয় এ এক উপদেশ। সুতরাং যে তার রবের সান্নিধ্যে পৌঁছার পথ অবলম্বন করতে চায়, সে তা অবলম্বন করুক।
(20) (হে রাসূল!) নিশ্চয় তোমার রব জানেন যে, তুমি কখনো রাতের দুই তৃতীয়াংশের কিছু কম, অথবা কখনো অর্ধরাত অথবা কখনো রাতের এক তৃতীয়াংশ সালাতে দাঁড়িয়ে থাকো এবং তোমার সাথে (মু’মিনদের) যারা আছে তাদের মধ্য থেকে একটি দলও। আর আল্লাহ রাত ও দিন নিরূপণ করেন। তিনি জানেন যে, তোমরা তা (নিরূপণ ও আয়ত্ত) করতে সক্ষম হবে না। তাই তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করলেন। অতএব তোমরা (সালাতে) আল-কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু তিলাওয়াত করো। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে। আর কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকার) সন্ধানে পৃথিবীতে ভ্রমণ করবে, আর কেউ কেউ আল্লাহর পথে লড়াই করবে। অতএব তোমরা (সালাতে) আল-কুরআন থেকে যতটুকু সহজ ততটুকু তিলাওয়াত করো। আর সালাত কায়িম করো, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে কার্যে হাসান (উত্তম ঋণ) দাও। আর তোমরা নিজেদের জন্য কল্যাণমূলক যা কিছু অগ্রে পাঠাবে তোমরা তা আল্লাহর কাছে উৎকৃষ্টতর ও বড় প্রতিদান হিসেবে পাবে। আর তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।