(1) (হে রাসূল!) তুমি তোমার সুমহান রবের নামের তাসবীহ পাঠ করো,
(2) যিনি (সুসামঞ্জস্য করে) সৃষ্টি করেন, অতঃপর (তার অবয়বকে) সুঠাম করেন।
(3) আর যিনি (সৃষ্টির প্রকার, ধরন ও গুণাগুণ) নির্ধারণ করেন, অতঃপর (তাদেরকে মানানসই) পথনির্দেশ দেন।
(4) আর যিনি (জমিন থেকে) ঘাস ও তৃণ-লতা উৎপন্ন করেন।
(5) অতঃপর তা (সবুজ ও সজীব থাকার পর) কালো শুষ্ক খড়-কুটায় পরিণত করেন।
(6) (হে রাসূল!) আমি অচিরেই তোমাকে (আল-কুরআন) পড়িয়ে দিবো, অতঃপর তুমি তা ভুলবে না।
(7) তবে আল্লাহ (তাঁর হিকমত অনুযায়ী) যা চান তা ছাড়া। নিশ্চয় তিনি জানেন, যা প্রকাশ্য এবং যা গোপনীয়।
(8) আর আমি তোমাকে (আল্লাহর সন্তুষ্টিমূলক আমলকে) সহজ করে দিবো।
(9) অতঃপর (হে রাসূল! তুমি আল-কুরআন দ্বারা মানুষকে) উপদেশ দাও, যদি উপদেশ ফলপ্রসু হয়।
(10) অচিরেই সে-ই উপদেশ গ্রহণ করে, যে (আল্লাহকে) ভয় করে।
(11) আর হতভাগাই তা এড়িয়ে যায়।
(12) যে (জাহান্নামের) ভয়াবহ আগুনে প্রবেশ করবে।
(13) অতঃপর সে সেখানে মরবেও না এবং (বাঁচার মতো) বাঁচবেও না।
(14) অবশ্যই সে ব্যক্তি সফলতা অর্জন করেছে, যে (শিরক ও পাপাচার থেকে) পবিত্রতা লাভ করেছে।
(15) আর সে তার রবের নাম স্মরণ করে, অতঃপর সালাত আদায় করে।
(16) বরং তোমরা দুনিয়ার জীবনকে (পরকালের জীবনের ওপর) প্রাধান্য দিচ্ছ।
(17) অথচ আখিরাতই সর্বোত্তম ও স্থায়ী।
(18) নিশ্চয় এটা (এ নির্দেশ ও সংবাদগুলো) পূর্ববর্তী সহীফাসমূহে (লিখিত) আছে।
(19) ইবরাহীম ও মূসার সহীফাসমূহে।