(1) গ্রহ-নক্ষত্র শোভিত আসমানের শপথ!
(2) আর প্রতিশ্রুত দিনের (কিয়ামত দিবসের) শপথ!
(3) আর শপথ সাক্ষ্যদাতার (নবীর) এবং যার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়া হবে তার (উম্মতের)!(১)
(4) ধ্বংস হয়েছে গর্তের অধিপতিরা,(১)
(5) (যে কুণ্ডে ছিলো) ইন্ধনপূর্ণ আগুন।
(6) যখন তারা অগ্নিভরা কুণ্ডের কিনারায় উপবিষ্ট ছিলো।
(7) আর মুমিনদের সাথে তারা যা করছিল তার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলো।(১)
(8) আর তারা মু’মিনদেরকে নির্যাতন করেছিল শুধুমাত্র এ কারণে যে, তারা মহাপরাক্রমশালী প্রশংসিত আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছিলো।
(9) (সেই আল্লাহ) যিনি আসমানসমূহ ও জমিনের সর্বময় কর্তৃত্বের একচ্ছত্র অধিপতি। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের প্রত্যক্ষদর্শী।
(10) নিশ্চয় যারা মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন নারীদেরকে (এক আল্লাহর উপর ঈমান আনার কারণে) শাস্তি দিয়েছে, তারপর তারা (এ অন্যায়ের জন্য) তাওবা করে নি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি। উপরন্তু তাদের জন্য রয়েছে আগুনে দগ্ধ হওয়ার শাস্তি।
(11) নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত; যার তলদেশে প্রবাহিত হবে ঝর্ণাসমূহ। এটাই বিরাট সফলতা।
(12) নিশ্চয় তোমার রবের পাকড়াও বড়ই কঠিন।
(13) নিশ্চয় তিনি সৃষ্টির সূচনা করেন এবং তিনিই এগুলো পুনরায় সৃষ্টি করবেন।
(14) আর তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, প্রেমময়।
(15) মহা সম্মানিত আরশের অধিপতি,
(16) তিনি তা-ই করেন, যা তিনি চান।
(17) (হে রাসূল!) তোমার কাছে কি সৈন্যবাহিনীর সংবাদ পৌঁছেছে?
(18) ফির‘আউন ও সামূদের?
(19) বরং কাফিররা মিথ্যারোপে লিপ্ত।
(20) আর আল্লাহ তাদের পেছন দিক থেকে তাদেরকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন।
(21) বরং এটা সম্মানিত আল-কুরআন।
(22) সুরক্ষিত ফলকে (আল-লাওহুল মাহফূযে) লিপিবদ্ধ।