(1) শপথ রাতের, যখন তা (অন্ধকার দিয়ে সবকিছু) ঢেকে দেয়।
(2) শপথ দিনের, যখন তা আলোকিত হয়।
(3) শপথ তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন।
(4) (হে মানব সমাজ!) নিশ্চয় তোমাদের কর্মপ্রচেষ্টা বিভিন্ন ধরনের।(১)
(5) সুতরাং যে দান করলো এবং (আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে তাঁর) তাকওয়া অবলম্বন করলো,
(6) আর উত্তম বিষয়কে সত্য বলে গ্রহণ করলো,
(7) তাহলে আমি তার জন্য সহজ পথে চলা(১) সুগম করে দিবো।
(8) পক্ষান্তরে যে (আল্লাহর পথে ব্যয় না করে) কার্পণ্য করলো এবং নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ (অমুখাপেক্ষী) মনে করলো,
(9) আর উত্তম বিষয়কে মিথ্যারোপ করলো,
(10) তবে আমি তার জন্য কঠিন পথে চলা(১) সুগম করে দিবো।
(11) আর তার (রাশি রাশি) ধনসম্পদ তার কোন কাজে আসবে না, যখন সে অধঃপতিত (ধ্বংস) হবে।
(12) নিশ্চয় সঠিক পথ প্রদর্শন করাই আমার (আল্লাহর) দায়িত্ব।
(13) আর অবশ্যই আমার মালিকানাতেই রয়েছে পরকাল ও ইহকাল।
(14) অতএব আমি তোমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি (জাহান্নামের) প্রজ্বলিত আগুন সম্পর্কে,
(15) তাতে নিতান্ত হতভাগা ছাড়া কেউ প্রবেশ করবে না,
(16) যে (নবী মুহাম্মাদের আনিত বিষয়সমূহকে) মিথ্যারোপ করেছে এবং (আল্লাহর আদেশ পালন থেকে) মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
(17) আর তা (জাহান্নাম) থেকে দূরে রাখা হবে পরম মুত্তাকীকে।(১)
(18) যে তার সম্পদ (আল্লাহর পথে) ব্যয় করে নিজেকে আত্মশুদ্ধির উদ্দেশ্যে,
(19) আর (তার সম্পদ ব্যয়র পেছনে) তার প্রতি কারো এমন কোন অনুগ্রহ নেই, যার প্রতিদান তাকে দিতে হবে।
(20) (সে স্বীয় সম্পদ ব্যয় করে) কেবল তার মহান রবের সন্তুষ্টির প্রত্যাশায়।
(21) আর অচিরেই সে (সম্মানজনক প্রতিদান লাভে) সন্তুষ্ট হবে।