(1) (হে রাসূল!) তোমার কাছে কি আচ্ছন্নকারীর (কিয়ামত দিবসের) সংবাদ এসেছে?
(2) সেদিন অনেক চেহারা হবে লাঞ্ছিত অপমানিত-অবনমিত ।
(3) কর্মক্লান্ত, পরিশ্রান্ত।
(4) তারা প্রবেশ করবে (জাহান্নামের) জ্বলন্ত আগুনে।
(5) তাদেরকে ফুটন্ত ঝর্ণা থেকে পানি পান করানো হবে।
(6) তাদের জন্য কাঁটাবিশিষ্ট গুল্ম ছাড়া আর কোন খাদ্য থাকবে না।
(7) তা (ভক্ষণকারীকে) মোটা-তাজাও করবে না এবং ক্ষুধাও নিবারণ করবে না।
(8) সেদিন অনেক চেহারা হবে আনন্দোজ্জ্বল।
(9) তারা নিজেদের (দুনিয়ার) কাজের সাফল্যে থাকবে সন্তুষ্ট-পরিতৃপ্ত।
(10) সুউচ্চ জান্নাতে,
(11) সেখানে তারা কোন অসার বাক্য শুনবে না।
(12) সেখানে থাকবে প্রবাহমান ঝর্ণাধারা,
(13) সেখানে থাকবে সুউচ্চ খাট-পালঙ্ক।
(14) আর সদা প্রস্তুত পানপাত্রসমূহ।
(15) আর সারি সারি বালিশসমূহ।
(16) আর বিস্তৃত বিছানো গালিচাসমূহ।
(17) তারা কি উটের প্রতি দৃষ্টিপাত করে না, কীভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে?
(18) আর আকাশের দিকে, কীভাবে তা ঊর্ধ্বে স্থাপন করা হয়েছে?
(19) আর পর্বতমালার দিকে (দৃষ্টি দেয় না যে,) কীভাবে তা স্থাপন করা হয়েছে?
(20) আর জমিনের দিকে, কীভাবে তা (মানুষের জন্য বসবাস উপযোগী করে) সমতল বিছানো হয়েছে?
(21) অতএব (হে রাসূল!) তুমি উপদেশ দাও, তুমি তো একজন উপদেশদাতা মাত্র।
(22) তুমি তাদের ওপর বল প্রয়োগকারী নও।
(23) তবে যে (ঈমান থেকে) মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং (আল্লাহ ও তদীয় রাসূলের সাথে) কুফরী করে,
(24) ফলে আল্লাহ তাকে (জাহান্নামে প্রবিষ্ট করে) কঠিন শাস্তি দিবেন।
(25) নিশ্চয় (মুত্যুর পর) আমারই নিকট তাদের প্রত্যাবর্তন।
(26) তারপর নিশ্চয় তাদের (আমলের) হিসাব-নিকাশ আমারই দায়িত্বে।