(1) (আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মাদকে তাদের কাছে প্রেরণ করার পরও) তারা কোন্ বিষয় সম্পর্কে পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করছে?
(2) মহাসংবাদটি সম্পর্কে(১),
(3) যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে।(১)
(4) কখনো না, অচিরেই তারা (আল-কুরআন অস্বীকারের নিকৃষ্ট পরিণতি সম্পর্কে) জানতে পারবে।
(5) তারপর কখনোই না, তারা অচিরেই জানতে পারবে।
(6) আমি কি জমিনকে তাদের জন্যে শয্যা বানাইনি?
(7) আর পর্বতসমূহকে পেরেক?
(8) আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি (নারী-পুরুষে) জোড়ায় জোড়ায়।
(9) আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে (কর্মবিরতীর মাধ্যমে) বানিয়েছি বিশ্রাম।
(10) আর আমি রাতকে (অন্ধকারাচ্ছন্ন করে তোমাদের জন্যে) আবরণ করেছি।
(11) আর আমি দিনকে বানিয়েছি জীবিকার্জনের সময়।
(12) আর আমি তোমাদের ওপরে বানিয়েছি সাতটি সুদৃঢ় আকাশ।
(13) আর আমি সৃষ্টি করেছি উজ্জ্বল একটি প্রদীপ (সূর্য)।
(14) আর আমি মেঘমালা থেকে মুষলধারে (বৃষ্টির) পানি বর্ষণ করেছি।
(15) যাতে তা দিয়ে আমি শস্য ও উদ্ভিদ উৎপন্ন করতে পারি।
(16) আর ঘন উদ্যানসমূহ।
(17) নিশ্চয় বিচার-ফয়সালার দিন নির্ধারিত আছে।
(18) সেদিন শিঙ্গায় (দ্বিতীয়বার) ফুঁক দেয়া হবে, তখন তোমরা দলে দলে উপস্থিত হবে।
(19) আর সেদিন আসমানকে খুলে দেওয়া হবে, ফলে তা বহু খোলা দরজায় পরিণত হবে।
(20) আর পর্বতমালাকে চালিত করা হবে। ফলে সেগুলো (ধুলিকণার রূপ ধারণ করে) মরিচিকায় পরিণত হবে।
(21) নিশ্চয় জাহান্নাম (তার অধিবাসীদের জন্য) গোপন ফাঁদ,
(22) সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য প্রত্যাবর্তন স্থল।
(23) সেখানে তারা অনন্তকাল ধরে অবস্থান করবে।
(24) সেখানে তারা কোন ঠাণ্ডা ও পানীয় (কিছুই) আস্বাদন করবে না।
(25) ফুটন্ত পানি ও (জাহান্নামীদের প্রবাহিত) পুঁজ ছাড়া।
(26) (কুফরী ও ভ্রষ্টতার) উপযুক্ত প্রতিফলস্বরূপ।
(27) নিশ্চয় তারা (দুনিয়ার জীবনে) হিসাব-নিকাশের ভয় করত না।
(28) আর তারা আমার আয়াতসমূহকে সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল।
(29) আর আমি (তাদের আমলনামার) সব কিছুই লিখিতভাবে সংরক্ষণ করেছি।
(30) সুতরাং তোমরা (স্থায়ী শাস্তির) স্বাদ গ্রহণ করো। আর আমি তো কেবল তোমাদের (শাস্তির ওপর) শাস্তিই বৃদ্ধি করবো।
(31) নিশ্চয় (আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মান্যকারী) মুত্তাকীদের জন্য রয়েছে সফলতা (জান্নাত)।
(32) উদ্যানসমূহ ও আঙ্গুরসমূহ।
(33) আর সমবয়স্কা উঠন্ত যৌবনা তরুণী।
(34) আর পরিপূর্ণ পানপাত্র।
(35) তারা সেখানে কোন অসার ও মিথ্যা কথা শুনবে না।
(36) তোমার রবের পক্ষ থেকে প্রতিফল, যথোচিত দানস্বরূপ।
(37) যিনি আসমানসমূহ, জমিন ও এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর রব, পরম করুণাময়। তারা তাঁর সামনে কথা বলার সামর্থ্য রাখবে না।
(38) সেদিন রূহ (জিবরীল) ও ফিরিশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, যাকে পরম করুণাময় অনুমতি দিবেন সে ছাড়া অন্যরা কোন কথা বলবে না।(১) আর সে সঠিক কথাই বলবে।
(39) ঐ দিনটি সত্য। অতএব যে (মুক্তি লাভ করতে) চায়, সে তার রবের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করুক।
(40) নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে একটি নিকটবর্তী শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করলাম। যেদিন মানুষ দেখতে পাবে, তার দু’হাত কী (আমলনামা) অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কাফির (আফসোস করে) বলবে: ‘হায়, আমি যদি মাটি হতাম!’