(1) সে (রাসূল) ভ্রূ-কুঞ্চিত করলো এবং মুখ ফিরিয়ে নিলো।
(2) কারণ, তার কাছে অন্ধ লোকটি(১) আগমন করেছে।
(3) আর (হে রাসূল!) কিসে তোমাকে জানাবে যে, সে (অন্ধ লোকটি) হয়ত পরিশুদ্ধ হত।
(4) অথবা উপদেশ গ্রহণ করত, ফলে সে উপদেশ তার উপকারে আসত।
(5) পক্ষান্তরে যে (ঈমান না এনে) বেপরোয়া হয়েছে,
(6) তুমি তার প্রতি মনোযোগ দিচ্ছো।
(7) অথচ সে পরিশুদ্ধ না হলে তোমার ওপর কোন দায়-দায়িত্ব বর্তাবে না (এতে তোমার কিছুই যায়-আসে না)।
(8) পক্ষান্তরে, যে তোমার কাছে (কল্যাণের অনুসন্ধানে) ছুটে আসল,
(9) এমতাবস্থায় যে, সে (তার রবকে) ভয় করে,
(10) অথচ তুমি তার প্রতি উদাসীন হলে।(১)
(11) কখনো নয়, নিশ্চয় এটা উপদেশ বাণী।
(12) কাজেই আল্লাহকে যে স্মরণ করতে চায়, সে যেন তাঁকে স্মরণ করে।(১)
(13) এ আল-কুরআন আছে সম্মানিত সহীফাসমূহে।
(14) যা সুউচ্চ স্থানে উত্থিত ও পবিত্রাবস্থায় রয়েছে।
(15) যা রয়েছে (ফিরিশতাদের মধ্যকার) বার্তাবাহকদের হাতে(১),
(16) যারা মহাসম্মানিত, পুণ্যবান।
(17) মানুষ ধ্বংস হোক, সে কতইনা অকৃতজ্ঞ!
(18) আল্লাহ তাকে কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?(১)
(19) তিনি তাকে তো সামান্য শুক্র বিন্দু থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে সুগঠিত করেছেন।
(20) তারপর তিনি তার পথ সহজ করে দিয়েছেন।(১)
(21) তারপর তিনিই তাকে মৃত্যু দেন এবং তাকে কবরস্থ করেন।
(22) অতঃপর যখন তিনি ইচ্ছা করবেন, তাকে পুনরুত্থিত করবেন।
(23) কখনো নয়, তিনি তাকে যে আদেশ দিয়েছিলেন, সে এখনো তা পুরোপুরি পালন করেনি।
(24) কাজেই মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক।(১)
(25) (১ ) নিশ্চয় আমি (আসমান থেকে খাদ্যের মূল উৎস) মুষলধারে বৃষ্টির পানি বর্ষণ করি।
(26) তারপর আমি (শস্য উৎপাদনের সুবিধার জন্য) জমিনকে যথাযথভাবে বিদীর্ণ করি।
(27) অতঃপর তাতে আমি শস্য উৎপন্ন করি,
(28) আঙ্গুর ও শাক-সবজি,
(29) (আরো উৎপন্ন করছি) যায়তূন ও খেজুর,
(30) ঘন বৃক্ষ বিশিষ্ট উদ্যানসমূহ।
(31) (আরো উৎপন্ন করলাম) ফলমূল ও পশুখাদ্য (তৃণগুল্ম।)।
(32) এগুলো তোমাদের ও তোমাদের চতুষ্পদ জন্তুগুলোর জীবনোপকরণস্বরূপ।
(33) অতঃপর যখন বিকট আওয়াজ (দ্বিতীয় শিঙ্গাধ্বনি) আসবে,
(34) সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাইয়ের কাছ থেকে,
(35) এবং তার মা ও তার বাবা থেকে,
(36) তার স্ত্রী ও তার সন্তান-সন্ততি থেকে।
(37) সেদিন তাদের প্রত্যেকেরই একটি গুরুতর অবস্থা থাকবে, যা তাকে (অন্যদের কথা বাদ দিয়ে) সম্পূর্ণরূপে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত করে রাখবে।
(38) সেদিন কিছু কিছু চেহারা উজ্জ্বল হবে।
(39) (আল্লাহর প্রস্তুতকৃত নি‘আমত দেখে) তারা সহাস্য, প্রফুল্ল থাকবে।
(40) আর সেদিন কিছু কিছু চেহারা হবে ধূলায় ধূসরিত।
(41) কালিমা-মলিনতায় সেগুলোকে আচ্ছন্ন করবে।
(42) তারাই কাফির, পাপাচারী।