(1) শপথ ফজরের,
(2) শপথ (যুলহাজ্জের প্রথম) দশ রাতের,
(3) শপথ জোড় ও বিজোড়ের।(১)
(4) শপথ রাতের, যখন তা বিদায় নেয়।
(5) নিশ্চয়ই এগুলোর মধ্যে কি বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তির জন্য শপথ রাখা হয়েছে?
(6) (হে রাসূল!) তুমি কি দেখোনি তোমার রব কিরূপ আচরণ করেছেন, ‘আদ জাতির সাথে?
(7) (যারা ছিলো) ইরাম গোত্রভুক্ত, তারা ছিল সুউচ্চ স্তম্ভের (মতো দেহাবয়বের) অধিকারী?
(8) যাদের সমতুল্য (অন্য কোন জাতিকে) কোন দেশে সৃষ্টি করা হয়নি।
(9) আর (তোমার রব কীরূপ আচরণ করেছিলেন) সামূদ সম্প্রদায়ের প্রতি, যারা উপত্যকায় পাথর কেটে বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছিল?
(10) আর (তোমার রব কীরূপ আচরণ করেছিলেন) কীলক গেঁথে শাস্তি প্রদানকারী ফির‘আউনের প্রতি?
(11) যারা দেশে দেশে সীমালঙ্ঘন করেছিল।
(12) অতঃপর তারা সেখানে (কুফরী ও পাপাচার ছড়ানোর মাধ্যমে) বিপর্যয় বৃদ্ধি করেছিল।
(13) ফলে তোমার রব তাদের ওপর শাস্তির কশাঘাত করলেন।
(14) নিশ্চয় তোমার রব (মানুষের আমলগুলোর প্রতি) সতর্ক দৃষ্টি রাখেন।
(15) আর মানুষ তো এমন যে, যখন তার রব তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর তাকে সম্মান দান করেন এবং (সম্পদ ও সন্তানাদি দ্বারা) অনুগ্রহ প্রদান করেন, তখন সে বলে: ‘আমার রব আমাকে সম্মানিত করেছেন।’
(16) পক্ষান্তরে যখন তিনি তাকে পরীক্ষা করেন এবং তার ওপর তার রিযককে সঙ্কুচিত করে দেন, তখন সে বলে: ‘আমার রব আমাকে অপমান করেছেন।’
(17) কখনো নয়; বরং তোমরা ইয়াতীমদের প্রতি দয়া-অনুগ্রহ প্রদর্শন করো না।
(18) আর তোমরা মিসকীনদের (অভুক্তদেরকে) খাদ্যদানে পরস্পরকে উৎসাহিত করো না।
(19) আর উত্তরাধিকারের সম্পত্তি উত্তরাধিকারদেরকে না নিয়ে) সম্পূর্ণরূপে তোমরাই ভক্ষণ করো।
(20) আর তোমরা ধন-সম্পদকে অতিশয় ভালোবাস।
(21) কখনোই (ব্যাপারটি এমন) নয়; (বরং তোমরা সে সময়ের কথা স্মরণ করো) যখন জমিনকে সম্পূর্ণরূপে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা হবে।
(22) আর যখন (বান্দাদের মাঝে ফায়সালার জন্যে হাশরের মাঠে) তোমার রব ও ফিরিশতাগণ উপস্থিত হবেন সারিবদ্ধভাবে।
(23) আর সেদিন (সকলের সামনে) জাহান্নামকে উপস্থিত করা হবে, সেদিন মানুষ (আল্লাহর হকের ব্যাপারে সংঘটিত ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা) স্মরণ করবে; কিন্তু সেই স্মরণ কী তার কোন উপকারে আসবে?
(24) সে (আফসোস করে) বলবে: ‘হায়! যদি আমি আমার এ জীবনের জন্য কিছু (নেক আমল) আগে পাঠাতাম!’
(25) অতঃপর সেদিন আল্লাহর শাস্তির মতো (কঠিন) শাস্তি কেউ দিতে পারবে না।
(26) আর কেউ (শিকল দিয়ে) তাঁর বাঁধার মতো বাঁধতে পারবে না।
(27) (মু;’মিনদেরকে কিয়ামত দিবসে বলা হবে,) হে প্রশান্ত আত্মা!
(28) তুমি তোমার (প্রাপ্ত মহা প্রতিদান নিয়ে) রবের প্রতি সন্তুষ্টচিত্তে ফিরে এসো, তাঁর প্রিয়ভাজন হয়ে।
(29) অতঃপর আমার (নেককার) বান্দাদের মধ্যে শামিল হয়ে যাও।
(30) আর আমার জান্নাতে প্ৰবেশ করো।